SANTHALDISHOM(সানতাল দিশোম)

Friday, 7 September 2018

অন্য রাজ্যে সংরক্ষণের সুবিধে পাবেন না SC, ST ও OBC রা, জানাল সুপ্রিম কোর্ট।

অন্য রাজ্যে সংরক্ষণের সুবিধে পাবেন না তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণীভুক্তরা, জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এক রাজ্যের দলিত, আদিবাসী কিংবা অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত ব্যক্তি পড়াশুনো বা চাকরির জন্য অন্য রাজ্যে গেলে সেখানে সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন না৷ ব্যতিক্রম শুধু দিল্লি৷ গত বৃহস্পতিবার ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ এমনই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, জাতিভিত্তিক সংরক্ষণের সুবিধা শুধুমাত্র নিজের রাজ্যতেই পাওয়া যাবে। উদাহরণ হিসেবে বিচারপতিরা বলেছেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশের কোনও তফশিলি জাতি-উপজাতি, দলিত বা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ যদি মহারাষ্ট্রে গিয়ে সংরক্ষণের দাবি জানান, তা হলে ওই রাজ্যের বাসিন্দাদের সংরক্ষণের সুযোগ কমে যাবে।’তাই একটি রাজ্যের দলিত, আদিবাসী, অনগ্রসররা শুধুমাত্র সেই রাজ্যেরই সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন৷ আদালতের বক্তব্য, এমনটা না হলে অরাজকতা দেখা দেবে৷ তবে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে এই রায় নিয়ে সম্পূর্ণ মতৈক্য হয়নি৷ বিচারপতি ভানুমতির মত ছিল, দিল্লিকে ব্যতিক্রম হিসেবে ধার্য করা ঠিক হয়নি।
বিচারপতি গগৈয়ের লেখা ১৬৩ পাতার রায়ে সবিস্তারে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন তাঁরা এক রাজ্যের মানুষকে অন্য রাজ্যের সংরক্ষণ থেকে দূরে রাখতে চাইছেন। রায়ে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের ৩৪১ ও ৩৪২ নম্বর ধারার ক্ষমতাবলে তৈরি তফশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের তালিকায় রদবদল একমাত্র সংসদই করতে পারে। সংবিধানের ১৬(৪) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির আদেশানুসারে তফশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রটি শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভৌগোলিক গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে৷ কোনও রাজ্য যদি এই নিয়মকে অন্য রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করতে চায়, তা হলে তাকে সংসদের অনুমতি নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হবে। অন্যথায় অরাজকতা তৈরি হবে।’

ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস।

ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস, সভাপতি রেখা সরেন ও সহ-সভাপতি সুবোধ টুডু নির্বাচিত। গত বুধবার ০৫/০৯/২০১৮ ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস। দ্বিতীয়বারের জন্য সভাপতি পুনঃনির্বাচিত হলেন রেখা সরেন। সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন সুবোধ টুডু।
ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ৩০টি। ১৮টি আসনে তৃণমূল ও ১২টি আসনে বিজেপি জয়ী হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে তৃণমূলেই বোর্ড গঠন করল। ভোটাভুটিতে রেখা সরেন সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন সুবোধ টুডু। সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনের পর আবির খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মীরা। দুই বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা ও চূড়ামণি মাহাত উপস্থিত থেকে নতুন বোর্ডকে সংর্বধনা জানান। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক সুকুমারবাবু বলেন, জঙ্গলমহলের মানুষ তৃণমূলের পক্ষেই রয়েছে। দ্বিতীয়বার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পরে রেখাদেবী বলেন, ব্লকের এখনও যে সমস্ত অবহেলিত মানুষ রয়েছেন, তাঁদের কাছে যাব। বিশেষ করে প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রামগুলিতে গিয়ে মানুষের জন্য আরও কাজ করব।

পুরুলিয়ার মানবাজারে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক জাতীয় পুরস্কারে পুরস্কৃত।

এবার এই রাজ্য থেকে ৫ সেপ্টেম্বর  শিক্ষক দিবসে জাতীয় শিক্ষকের সম্মানের জন্য নির্বাচিত হলেন পুরুলিয়ার আদিবাসী অধ্যুষিত মানবাজার এক নম্বর ব্লকের গোবিন্দপুর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র। এই রাজ্যে তিনিই একমাত্র শিক্ষক, যাকে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এই সম্মানের জন্য বেছে নিয়েছেন। গোটা দেশ থেকে এবার এই সন্মান পাচ্ছেন ৪৫ জন শিক্ষক–শিক্ষিকা। সেই তালিকায় পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত এলাকার এই শিক্ষকের নাম নির্বাচিত হতেই খুশি জেলার শিক্ষক মহল থেকে শিক্ষা অনুরাগীরা। মানবাজারের গোবিন্দপুর প্রাথমিক স্কুল গোটা দেশের কাছে পরিচিত। স্কুলকে নির্মল বিদ্যালয়, শিশু মিত্র, যামিনী রায়, রাজ্য সেরা বিদ্যালয় ও দেশের সেরা সম্মান স্বচ্ছ বিদ্যালয়ের পুরস্কার এনে দেওয়া ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র এবার নিজে পাচ্ছেন শিক্ষকতার সেরা সম্মান রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। গত রবিবার ০২/০৯/২০১৮ পুরস্কার নিতে দিল্লি রওনা হয়েছিলেন তিনি। যাওয়ার আগে তিনি বলেন, ‘‌স্কুলের জন্য প্রায় সব পুরস্কার এনেছি। এবার নিজে শিক্ষকতার সেরা সন্মান নিতে যাচ্ছি। খুব ভাল লাগছে। যে কোনও শিক্ষকের কাছে এই সম্মান জীবনের সেরা সম্মান।’‌ তিনি আরও বলেন, ‘‌রাজ্য থেকে আমি একা এই পুরস্কার পাচ্ছি। সত্যি ভাল লাগছে। কারণ আমি না পেলে খুব খারাপ লাগত, কারণ রাজ্য থেকে আর কেউ পুরস্কারপ্রাপকদের মধ্যে নেই।’‌ দেশে এমন রাজ্য অনেক আছে, যে সব রাজ্য থেকে একজনও এবার এই পুরস্কার পাচ্ছেন না। পুরুলিয়ার জেলাশাসক অলোকেশপ্রসাদ রায় বলেছেন, ‘‌এটা আমাদের কাছে আনন্দের বিষয়। রাজ্য থেকে একমাত্র অমিতাভবাবুই এই সম্মান পাচ্ছেন। তাঁর এই কৃতিত্বে আমরা গর্বিত।’‌
অমিতাভবাবু পুরুলিয়ার গোবিন্দপুর স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ২০০৬ সালে। তখন কয়েকজন পড়ুয়াকে নিয়ে স্কুল ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। আজ স্কুল দেখলে মনে হবে বিদেশের কোনও অত্যাধুনিক একটি স্কুল। বর্তমানে এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১১৮ জন। আদিবাসী অধ্যুসিত গ্রামে স্কুলের পড়ুয়াদের দেখলে যে কেউ অবাক হয়ে যাবেন। স্কুলের চেহারা বদলে দেওয়া শিক্ষককেই এবার দেওয়া হচ্ছে শিক্ষকতার সেরা সম্মান। স্থানীয় বাসিন্দা সমাজসেবী মনোজ মুখার্জি বলেন, ‘‌অমিতাভবাবুর জন্য ওই এলাকায় শিক্ষায় একটা বিশাল পরিবর্তন এসেছে। তাঁর স্কুল দেখলে যে কেউই মুগ্ধ হয়ে যাবেন।’‌
গত বুধবার ০৫ ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ জাতীয় শিক্ষক দিবসে নয়াদিল্লির বিজ্ঞানভবনে উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। ছিলেন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর প্রমুখ। এ দিন সম্মানিত হওয়া শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাতে পঞ্চাশ হাজার টাকা, রৌপ্য পদক ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।
আগের দিন মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বার জাতীয় শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত দেশের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষকদের সঙ্গে মিলিত হন। প্রধানমন্ত্রী অমিতাভ মিশ্রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর সঙ্গে তোলা ছবি টুইট করেন। তিনি টুইটে লেখেন —‘‘বাসিন্দাদের উৎসাহীত করে তিনি স্কুলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছেন। তিনি প্রান্তিক এলাকার পড়ুয়াদের ক্লাসের পরে, এমনকী ছুটির দিনেও পড়ান শুনে খুশি হয়েছি।’’
বস্তুত, মানবাজার ১ ব্লকের এই স্কুল ইতিপূর্বেই নির্মল বিদ্যালয়, যামিনী রায় পুরস্কার, শিশুমিত্র পুরস্কার প্রভৃতি স্বীকৃতি পেয়েছে। এ বার তাই মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতাভবাবুকে জাতীয় শিক্ষকের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা শোনার পর থেকেই উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে এলাকায়। এ দিন সম্মানপ্রাপ্তির পরে নয়াদিল্লি থেকে তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার আমরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এক চা চক্রে মিলিত হয়েছিলাম। সেখানে অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলেন। আমাদের স্কুলে আদিবাসী পড়ুয়া কত জন, তাদের কী ভাবে পাঠ দেওয়া হয়, এই সব বিষয়ে জানতে চান তিনি। পরে পিছিয়ে থাকা জনজাতির পড়ুয়াদের আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।’’
মানবাজার শহর থেকে তিন কিমি দূরে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় স্কুলটি অবস্থিত। পড়ুয়ার সংখ্যা ১১৮। প্রধান শিক্ষক ও দুই শিক্ষিকা রয়েছেন স্কুলে। পড়ুয়াদের ৯৫ শতাংশ আদিবাসী। মন্দির ও আশ্রমের মিশেলে স্কুলটি গড়া হয়েছে। স্কুলে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্যে দূরবীন থেকে সৌর শক্তির বিদ্যুতের ব্যবস্থা, পরিশোধিত পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে পাখিরালয় পর্যন্ত রয়েছে। স্কুল-পত্রিকা রয়েছে। সেখানে নিয়মিত কচিকাঁচাদের লেখা প্রকাশিত হয়। পড়ুয়ারাই বাড়িতে শৌচালয় গড়া, খাবার আগে হাত ধোয়ার কথা বলে গ্রামেও পরিবর্তন এনেছে। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে অমিতাভবাবু বলেন, ‘‘এই স্বীকৃতি শুধু আমার নয়, স্কুলের সব শিক্ষক, পড়ুয়াদেরও। সবাই মিলে আমরা স্কুলের সঙ্গে এলাকার পরিবর্তনের কাজ করে যাচ্ছি।’’

SC/ST অত্যাচার নিরোধক আইন পুনরায় কঠোর করার বিরুদ্ধে ০৬/০৯/২০১৮ ভারত বনধ।


SC/ST অত্যাচার নিরোধক আইন পুনরায় কঠোর করার বিরুদ্ধে ০৬ ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ ভারত বনধ পালন উচ্চবর্ণদের সংগঠনগুলির।
তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি অত্যাচার নিরোধক আইন, ১৯৮৯ বা The Scheduled Castes And The Scheduled Tribes (Prevention Of Atrocities) Act, 1989 পুনরায় সংশোধন করে পূর্বকার অবস্থায় ফিরিয়ে আনার বিরুদ্ধে গত ৬ ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ ভারত বন ধের ডাক দিয়েছিল উচ্চবর্ণদের কয়েকটি সংগঠন। এই সংশোধনীর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চালাল উচ্চবর্ণের একাধিক সংগঠন। উচ্চবর্ণ সংগঠনগুলির ডাকা ভারত বন্‌ধে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান-সহ একাধিক রাজ্যে গোলমাল ছড়ায়। ভোটের আগে উচ্চবর্ণের এই বিক্ষোভ চিন্তা বাড়িয়েছে বিজেপির।
মধ্যপ্রদেশ, বিহার, উত্তরপ্রদেশের নানা জায়গায় টায়ার, কুশপুতুল পোড়ানো হয়। রেল অবরোধ হয়। বহু জায়গায় ক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নেতারা। মার খান বিহারের সাংসদ পাপ্পু যাদব। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রেও বিক্ষিপ্ত গোলমাল হয়। রাজস্থানে তিন ধর্মঘটী গ্রেফতার হন।
সব চেয়ে বেশি অশান্তি হয়েছে বিহারে। জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকান। রেললাইন অবরোধ করা হয়। মুজফ্‌ফরপুরে হেনস্থার মুখে পড়েন জন অধিকারী পার্টির প্রধান ও বিহারের সাংসদ রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব। গুরুতর জখম পাপ্পু বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন, ‘‘ওরা জাত জানতে চাইল। মুখ খুলতেই মার।’’ পটনায় বিহার বিজেপির সদর দফতরও ঘেরা হয়।
মধ্যপ্রদেশে কিছু দিন ধরেই মোরেনা, ভিন্দ, গ্বালিয়র, মন্দসৌর প্রভৃতি জায়গায় বিক্ষোভ চলছিল। আগেই কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি হয়। মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ছিল উত্তরপ্রদেশ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানান, এই ভারত বন্‌ধের মানে নেই। সংশোধিত আইনের যাতে অপব্যবহার না হয়, খেয়াল রাখবে তাঁর সরকার। জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান রামশঙ্কর কাঠেরিয়ার অভিযোগ, একটি বিশেষ গোষ্ঠী একই সঙ্গে তফশিলি ও উচ্চবর্ণের আন্দোলনে ইন্ধন দিয়ে আখেরে বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
মধ্যপ্রদেশজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি। মোতায়েন রয়েছে ৩৪ কোম্পানি নিরাপত্তাবাহিনী এবং ৫০০০ নিরাপত্তাকর্মী। স্থগিত ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবা। বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশে বন্ধ দোকানপাট, স্কুল, কলেজ সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও বিক্ষোভ দেখান শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা। ভোপালে পেট্রোল পাম্পগুলি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা রাখার কথা জানানো হয়েছে পাম্প কর্তৃপক্ষের তরফে।
গ্বালিয়রে নজরদারি চালাচ্ছে ড্রোন। বিহারের মোকামায় বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আরা, দ্বারভাঙা, মুঙ্গেরের মসুদনে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। মধ্যপ্রদেশ এবং বিহারে রেললাইনজুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি হয়েছে। রাজস্থানের কোটায় বন্‌ধ সমর্থকরা সাধারণ মানুষের হাতে ফুল দিয়ে তাঁদেরও বন্‌ধ সমর্থনের আবেদন জানান। মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান পুরো পরিস্থিতি হেলিকপ্টারে পরিদর্শন করেন। মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশে বিক্ষোভকারীরা সরকারের কুশপুতুল পোড়ায়।
বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাসভবনের সামনেও বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন বনধ সমর্থকেরা। আগাম সতর্কতা হিসেবে এদিন বিহারের সব স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছিল। এছাড়া বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
গোটা মধ্যপ্রদেশেই এদিন বন্ধ পালিত হয়। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান আগেই হুমকি দিয়েছিলেন, তিনি থাকতে রাজ্য থেকে সংরক্ষণ তুলে দেওয়া যাবে না। যদিও রাজ্যবাসীর উদ্দেশে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, ‘মধ্যপ্রদেশ শান্তির জায়গা। আমি আশা করব আমরা সবাই মিলে রাজ্যের সেই শান্তি বজায় রাখব। তাই কারও যদি কোনও বক্তব্য থাকে তাহলে তিনি শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলুক। আমার কাছে আসার রাস্তা সবসময়েই খোলা।’ ভিন্দ, শিবপুরী, গোয়ালিয়রের মতো বেশ কয়েকটি জেলায় আগাম সতর্কতা হিসেবে আগে থেকেই স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবেই রাজ্যে বন্ধ পালিত হয়েছে। কোনও জায়গা থেকে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি।
ব্রহ্মা সমাগম স্বর্ণ জনকল্যাণ সংগঠনের জাতীয় সভাপতি ধর্মেন্দ্র শর্মা বলেন, মোট ১৫০টি সংগঠন এই বনধের ডাক দিয়েছে বলে তিনি জানান। গোটা রাজ্যেই বনধের খুব ভালোমতো সাড়া মিলেছে বলে শর্মা দাবি করেন। বিশেষ করে কাটনি, বিদিশা, সেহোর, দেওয়াস, ইন্দোর, গোয়ালিয়র, ঝাবুয়া, ছাত্তারপুর, মন্দসৌর, সাগর, উজ্জয়ীন প্রভৃতি শহরে পুরোপুরি বন্ধ পালন করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও ছিন্দওয়াড়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা কালো পোশাক পরে প্রতিবাদ জানান। পুলিস সুপার অতুল সিং বলেন, আগে থেকেই এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন ছিল।
এই বনধের বিরোধিতা করেও গোয়ালিয়র, ভোপাল এবং অন্যান্য শহরে মানুষকে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিরোধীরা তাঁদের মাথার টুপিতে লেখেন, ‘আমিই সেই মায়ের ছেলে’। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন, ‘আমি থাকতে কোন মায়ের ছেলের এত ক্ষমতা যে সংরক্ষণ তুলে দেবে।’ এদিন বনধের সমর্থনে বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যকে ইঙ্গিত করে প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। উল্লেখ্য, রাজ্য পুলিসের ইন্টেলিজেন্স বিভাগের আইজি মকরন্দ দিউসকর বুধবারই জানিয়েছিলেন, আগাম সতর্কতা হিসেবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৩৪ কোম্পানি বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

Saturday, 1 September 2018

আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে৷

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে বন্ধুদের সাথে মিলে গণধর্ষণের অভিযোগ আদিবাসী নাবালিকাকে। আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে৷ খড়গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত কয়তা গ্রামের ওই নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে গিয়ে গ্রামের পাশে একটি পাম্প হাউসে আটকে রাখা হয়েছিল৷ রাজু মান্ডি নামে এক ব্যক্তি নাবালিকাকে সেখানে তিনদিন আটকে রাখে। ৬ বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ ৯ অগস্ট সকালে গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তার পাশে অচৈতন্য অবস্থায় ওই নাবালিকাকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিয়ে উদ্ধার করে৷ অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে৷
খড়গপুরের ২ নম্বর ব্লকের কয়তা গ্রামের এক আদিবাসী নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৬ অগস্ট, ২০১৮ বাড়ি থেকে নিয়ে যায় ওই গ্রামের বাসিন্দা রাজু মান্ডি৷ রাজুর সঙ্গে ওই নাবালিকার পুরনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয়রা জানান৷ ৬ তারিখ থেকে মেয়েকে নিখোঁজ দেখে আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ করছিলেন ওই নাবালিকার মা৷ কোথাও কেউ তাঁর সন্ধান দিতে পারছিলেন না৷ এর পরে ৮ অগস্ট খড়গপুর গ্রামীণ থানাতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন তিনি৷ পুলিশও খোঁজ শুরু করে৷ এরই মাঝে ৯ অগস্ট গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার পাশে ওই নাবালিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা৷ গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে৷ সেখানে পুলিশের কাছে ওই নাবালিকা সমস্ত কিছু খুলে বলে৷
ওই নাবালিকা পুলিশকে জানায়পুরনো প্রেমের সম্পর্ক থেকেই রাজু মান্ডি তাঁকে বিয়ে করবে বলে ডেকেছিল৷ সেই মতো ৬ অগস্ট রাজুর সঙ্গে বেরিয়ে পড়েছিল বাড়ি থেকে৷ রাজু সন্ধার সময়‌ে গ্রামের পাশে একটি পাম্প হাউসে তাঁকে নিয়ে ওঠে৷ সেখানে রাতে তাঁকে ধর্ষণ করে৷ পরে আরও ৫ বন্ধু মিলে তাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ সেদিন থেকেই তিন দিন ধরে ওই পাম্প হাউসে তাকে আটকে রেখে গণধর্ষণ চালায় ৬ জন আদিবাসী যুবক৷ পরে ওই নাবালিকার পরিস্থিতি খারাপ মনে হওয়াতে রাস্তার পাশে ফেলে পালায় তারা৷ ওই নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাজু মান্ডি-সহ চর যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ বাকি দুজন অভিযুক্ত ফেরার৷

বীরভূম জেলার আবাসিক স্কুলে শিক্ষার নামে আদিবাসী নাবালক ছাত্রদের বেদম মারধরের অভিযোগ, প্রতিবাদ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

আদিবাসী শিশুদের শিক্ষা সামাজিক উন্নয়নে কেন্দ্রের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে একাধিক বিদ্যালয়। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে এলে তাদের আর্থিক সাহায্য করছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই রকমেই এক বিদ্যালয়েই শারীরিক অত্যাচারের শিকার আদিবাসী শিশুরা। ঘটনাটি বোলপুরের মির্জাপুরের ‘বিবেকানন্দ এডুকেশনাল কালচারাল অ্যান্ড সোশ্যাল ইনস্টিটিউট’ নামের এক বেসরকারি বিদ্যালয়ে। এখানে শিশুদের গরুর গোয়াল পরিষ্কার, বালি সিমেন্ট মাখানোর কাজ করানো হচ্ছে। এমনকী, লাঠি দিয়ে পেটানো হচ্ছে বাচ্চাদের। পুরো বিষয়টির ভিডিও সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের সম্পাদক শৈলেন্দ্রনাথ ডিঙ্গল শিশুদের মারধরের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তবে তাঁর বক্তব্য, তিনি স্থানীয় শাসক দলের রাজনীতির শিকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে ১৩ নভেম্বর মির্জাপুরে ‘বিবেকানন্দ  এডুকেশনাল কালচারাল অ্যান্ড সোশ্যাল ইনস্টিটিউট’ বিদ্যালয়ের উদ্বোধন হয়। বর্তমানে এখানে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আদিবাসী শিশুদের ইংরেজি মাধ্যামে পড়ানো হয়। ১৯০ জন ছাত্র রয়েছে এবং ২৩ জন স্থায়ী-অস্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই আদিবাসী শিশুদের পারিবারিক এবং আর্থিক অসহায়তার সুযোগ নিয়ে বিদ্যালয়ের ভিতর বিভিন্ন ধরনের কাজ করানো হয়।
সম্প্রতি একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাচ্চারা গরুর গোয়াল ঘর পরিষ্কারের কাজ করছে। কয়েকটি বাচ্চা বালি-সিমেন্ট মাখাচ্ছে। সব থেকে নির্মম অত্যাচার, ৮-১০ জন বাচ্চাকে পরপর সারি দিয়ে দাঁড় করিয়ে লাঠি দিয়ে পেটানো হচ্ছে। বাচ্চারা অনেকেই চিৎকার করছে। আর এই কাজ করছেন বিদ্যালয়ের সম্পাদক শৈলেন্দ্রনাথ ডিঙ্গল।
এদিকে এই বিষয়টি সামনে আসতেই  ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসী আনন্দ গোপাল রক্ষিত বলেন, ‘‘বাচ্চাদের পরিমাণ মতো খাবার দেওয়া হয় না। বিভিন্ন কাজ করানো হয়, না করলেই মার। ছোট ছোট বাচ্চাগুলি প্রাণের ভয়ে চিৎকার করতে পারে না।’’
স্থানীয় আদিবাসী নেতা ভিম কিসকু বলেন, ‘‘বিদ্যালয় যখন তৈরি হয়, তখন শুনেছিলাম অনাথ আদিবাসী বাচ্চাদের পড়ানো হবে। কিন্তু এখন দেখছি বাচ্চাদের মারধর করা হচ্ছে, কাজ করানো হচ্ছে। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।’’
অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের সম্পাদক শৈলেন্দ্রনাথ ডিঙ্গল বলেন, ‘‘বাচ্চারা দুষ্টমি করেছিল। তাই তাদের একটু মারধর করা হয়েছে। গোপনে সেই ছবি তোলা হয়েছে। আমি তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর রাজনীতির শিকার।’’
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ প্রথম থেকে এই বিদ্যলয়কে সাহায্য করেছেন। সম্প্রতি তিনি ৫ বিঘা জমি বিদ্যালয়কে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তার পর থেকেই এই আশ্রম দখলের চেষ্টা চলছে।
বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোধারা বলেন, পুরো বিষয়টি শুনেছি। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার ভিডিও লিংক –

ছত্তিসগড়ে মাওবাদী দমনের নামে সাধারণ আদিবাসী খুনের অভিযোগ।

গত ৬ অগস্ট, ২০১৮ কাকভোরে ছত্তিসগড়ের গোম্পদে ১৫ জন মাওবাদীকে গুলি করে খতম করার খবর পাওয়া জায়। জঙ্গলে অভিজান চালিয়ে মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে খতম করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। খবরটা এ ভাবেই এসেছিল। মাও-সন্ত্রাস দমনে ছত্তিসগড় পুলিশের ‘সাফল্যে’ অভিভূত হয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু, যত সময় যাচ্ছে ততই প্রকট হয়ে পড়ছে এই মাওবাদী দমন-অভিযানের আসল চেহারাটা। আদিবাসী এই গ্রামের দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয়ে যাবে সেই সকালে কোন মাওবাদীদের শেষ করেছিল পুলিশ!
পাঁচ ‘মাওবাদী’র তো ১৮ বছর বয়সই হয়নি। আরেক ‘মাওবাদী’র বয়স আরও কম, ১২! ছত্তিসগড় পুলিশের দাবি অনুযায়ী, এরাই জড়ো হয়েছিলেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে। গ্রামবাসীদের দাবি, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র নয়, ওই রাতে চাষের জমির কাছে খাটিয়া বিছিয়ে একসঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন তাঁরা। ভোরে ওই ঘুমন্ত আদিবাসী মানুষগুলোর উপরই নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করা হয়েছিল। সংসারের একমাত্র রোজগেরে খুঁটি, তাঁর ১৭ বছরের ছেলেকে হারানোর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি মুচাকি লাকমা। সেই সকালের কথা জিজ্ঞাসা করতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। গ্রামের অন্য এক বাসিন্দা জানান, ঘটনার পর একটি তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গ্রামে এসেছিল। মানবাধিকার কর্মী থেকে সমাজকর্মী, অনেকেই ছিলেন ওই দলে। কিন্তু, দলটি গ্রামে ঢোকার আগেই পুলিশ এসে গ্রামবাসীদের জঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়। তাঁদের শাসিয়ে বলা হয়, মানবাধিকার কর্মী কিংবা সাংবাদিক, কারও সঙ্গেই যেন গ্রামবাসীরা কথা না বলেন। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে জঙ্গলেই ঘুরে বেড়াতে হয় অসহায় মানুষগুলোকে। তাঁদের সঙ্গে কথা না বলেই ফিরে যেতে হয় কমিটিকে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে।
আদিবাসী গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ঘটনার দু’দিন আগে গ্রামে আসে পুলিশের বিরাট বাহিনী। গ্রামের রীতি হল, পুরুষেরা হয় চাষের জমির কাছে তৈরি অস্থায়ী ছাউনিতে থাকেন, না হলে পাশের গ্রামে কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে। সে দিনও পরিস্থিতি তেমনই ছিল। পরের দিন কয়েকজন গ্রামে ফিরে পুলিশ দেখে আবার ওই চাউনিতে চলে যান। ৬ তারিখ গুলির শব্দে ঘুম ভাঙে গ্রামের। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, তাঁরা ছাউনির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের সরিয়ে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এমনকী, দেহ পর্যন্ত দেখতে দেওয়া হয়নি। পরে ময়নাতদন্তের পর নিজেদেরই ব্যবস্থা করে মৃতদেহ ঘরে ফেরাতে হয় গ্রামবাসীদের। তাতেও প্রশাসন কোনও সাহায্য করেনি বলেই অভিযোগ। নিহত সোয়াম চন্দ্রর বাড়ির লোকের দাবি, নিজেকে পঞ্চায়েতের সদস্য পরিচয় দিয়েও প্রাণে বাঁচতে পারেননি সোয়াম।
ঘটনা হল, এই অভিযানের পরই প্রশ্ন উঠেছিল পুলিশের মাওবাদী তত্ত্ব ঘিরে। কংগ্রেস বিধায়ক কাওয়াসি লাখমা দাবি করেছিলেন, ‘নিহত ১৫ জনই সাধারণ গ্রামবাসী। বিজেপি সরকার নিরীহ আদিবাসীদের হত্যা করছে।’ কড়া প্রতিক্রিয়ায় তখন বিজেপি বলেছিল, এমন কথা বলে নিরাপত্তা বাহিনীর কৃতিত্বকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস। কিন্তু, এবার সেই কথাই শোনা গেল গ্রামবাসীদের মুখে। রক্তাক্ত নাল্কটং এখন বিচারের অপেক্ষায়।

ঝাড়খণ্ড পিপলস পার্টি (JHARKHAND PEOPLES PARTY – JPP) – এর দাবিপত্র পেশ।

বাঁকুড়ার খাতরা কলেজ কতৃপক্ষের কাছে দাবিপত্র পেশ করল ঝাড়খণ্ড পিপলস পার্টি (Jharkhand Peoples Party – JPP) – এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি।
দাবিগুলি –
১) আদিবাসী মহাকবি সাধু রাম চাঁদ মুরমুর মূর্তি স্থাপন,
২) কলেজের একটি ভবনকে স্বাধীনতা সংগ্রামী “বাবা তিলকা মুরমু”-র নামে নামাঙ্কিত করতে হবে,
৩) মহান সাঁওতাল বিদ্রোহের অমর নায়ক “সিধু মুরমু ও কানহু মুরমু” –র প্রতি সন্মান প্রদর্শন করতে হবে।

বীরভূম জেলার রামপুরহাটে আদিবাসী পরিবারকে গ্রামে ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ।


গ্রামছাড়া এক আদিবাসী পরিবারকে ফেরানোর দাবিতে গত মঙ্গলবার ২৮/০৮/২০১৮ দুপুরে রামপুরহাটের ঝাড়খণ্ড ঘেঁষা পাথর শিল্পাঞ্চলের চাদনি গ্রামে অবস্থান-বিক্ষোভ ও মিছিল করে এলাকার শতাধিক আদিবাসী। মিছিলে ছিলেন বীরভূম আদিবাসী গাঁওতার কনভেনর সুনীল সোরেন। তিনি বলেন, বাইকা সোরেনের বিরুদ্ধে তোলাবাজির মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমনকী তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। তাই এলাকাবাসীর সঙ্গে এই আন্দোলনে শামিল হয়েছি।
জানা গিয়েছে, পাথর লোড করতে আসা গাড়ির চালকদের কাছ থেকে জোর করে দীর্ঘদিন ধরে তোলা আদায় করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তোলা না দেওয়ায় শিল্পাঞ্চলে যাওয়ার রাস্তায় ঠাকুরপুরা গ্রামের কাছে বাঁশ পুঁতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এলাকার বাসিন্দা বাইকা সোরেন ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় স্তব্ধ হয়ে পড়ে শিল্পাঞ্চল। কর্মহীন হন কয়েক হাজার শ্রমিক। মাস তিনেক আগে বাইকাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। পরে তিনি জামিন পান। বাইকার বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর, লুটপাট চালানো হয় বলে অভিযোগ। প্রাণভয়ে গ্রামছাড়া হন বাইকা ও তাঁর পরিবার। এদিন চাঁদনি গ্রামে অবস্থান-বিক্ষোভে ওই পরিবারকে গ্রামে ফেরানোর দাবি জানান এলাকার আদিবাসীরা।
বিক্ষোভের জেরে এদিন বিকেলে রামপুরহাট-১-এর বিডিও নীতীশ বালা ও রামপুরহাট থানার আইসি সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে বৃহস্পতিবার সবপক্ষকে নিয়ে এসডিও অফিসে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। বিডিও বলেন, দ্রুত সবপক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

সমবায়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের।


সমবায়ের মাধ্যমে অভাবী মানুষকে উপার্জনের পথ করে দিতে বদ্ধপরিকর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিগুলিকে ধান সংগ্রহের কাজে নামিয়ে ব্যাপক সুফল মিলেছে। এ বার সমবায়ের মাধ্যমে এক লক্ষ পরিবারের একজন মহিলাকে পশুপালনের জন্য ১৮ হাজার টাকা করে ঋণ দেবে সরকার। অন্য দিকে, ধানের অভাবী বিক্রি বন্ধ করতে খরিফ মরসুমে সমবায়গুলিকে নিয়ে সরকার কোমর বেঁধে নামছে। গত সোমবার ২৭/০৮/২০১৮ কলকাতার নজরুল মঞ্চে এক আলোচনাসভায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় এবং রাজ্য খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁদের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন।
রাজ্যের বিভিন্ন সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির হাজার তিনেক সদস্য এসেছিলেন। সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘এক লক্ষ পরিবারকে সমবায় সমিতির মাধ্যমে ১৮ হাজার টাকা করে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে। ওই টাকায় হাঁস-মুরগি, ছাগল কিনে প্রতিপালনের জন্য।’এই পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে অরূপ বাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রায়ই স্বামীজির ওই কথাটি বলেন, না-জাগিলে ভারত ললনা এ ভারত জাগে না। গাঁয়েগঞ্জে প্রকৃত অভাবী পরিবারের মহিলাদের এই ঋণ দেওয়া হবে। হাঁস-মুরগি-ছাগল পালন করে এক জন মহিলা অন্তত সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা মাসে আয় করতে পারবেন বলে আমাদের আশা। মহিলারা নিয়মিত আয় করলে তার সুফল সুদূরপ্রসারী। এই প্রকল্প অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে। একটি পরিবারের এক জন মহিলাকে অনুদান দেওয়া হবে।’
রাজ্যে এখন সমবায়গুলির আওতায় প্রায় ২ লক্ষ ১৮ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে। সেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিতে ২০ লক্ষেরও বেশি মহিলা সদস্য আছেন। গত সাত বছরে গ্রামীণ অর্থনীতিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মহিলাদের অবদান অনস্বীকার্য। ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০০ সমবায়কে কৃষি-যন্ত্রপাতি কিনে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী সেই ‘কৃষি-যন্ত্রপাতি হাব’থেকে কম ভাড়ায় কৃষকরা চাষের যন্ত্র পাবেন।
এই মঞ্চেই খাদ্যমন্ত্রী জানান, ১ নভেম্বর থেকে (মূলত কালীপুজোর আগে থেকেই) ধান সংগ্রহ করতে নামছে সরকার। তাঁর কথায়, ‘বাংলায় এখন আর অভাবী বিক্রি হয় না। এই বছর ধান কেনার জন্য তিন হাজার সমবায় সমিতিকে আমরা মাঠে নামানোর টার্গেট করেছি।’তবে কেন্দ্রীয় অসহযোগিতা এখনও অব্যাহত বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘মিড ডে মিলের জন্য এফসিআই চাল নিয়েছে অথচ দু’বছর ধরে কেন্দ্র একটা টাকাও দেয়নি। ৩০০ কোটি টাকা পাই। একবার কেন্দ্রীয় খাদ্য দপ্তরের কাছে বিল পাঠাই। একবার এফসিআইয়ের কাছে বিল পাঠাই। গত বছরও চাল দিয়েছি। এই বছরও দিচ্ছি। চাইলে আরও চাল দেব। কিন্তু টাকা তো এখনও দিচ্ছে না। কেন্দ্র বঞ্চনা চালিয়ে যাচ্ছে।’
সমবায় মন্ত্রী জানিয়েছেন, কয়েকটা রাইস মিল ধান কিনে চাল ফেরত দিচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এই মঞ্চেই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বাংলার চাষিদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজকে দিল্লিও মেনে নিয়েছে।’কেন্দ্র এ রাজ্যর ধান কেনার পদ্ধতিকে ‘রোল মডেল’করছে বলে দাবি খাদ্যমন্ত্রীর। আলোচনাসভায় উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রস্তাব দেন, ‘শাক-সব্জি সংরক্ষণের ব্যবস্থা ঠিক মতো নেই। চাষিরা সঠিক ভাবে জানে না কোথায় রাখতে হবে। সেখানে ফড়েরা সব নিয়ে চলে যাচ্ছে। তাই সমবায়ের মাধ্যমে ধান সংগ্রহের যেমন ব্যবস্থা করা গিয়েছে, সেই রকম ভাবে যদি আলু, টম্যাটো, পান, উচ্ছে-সহ অন্য শাক-সব্জি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় সেটা দেখা হোক। সংরক্ষণের অভাবে শাক-সব্জি নষ্ট হয়ে যায় বছর বছর।’
এক নজরে –
�� রাজ্যের এক লক্ষ মহিলাকে ১৮,০০০ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে। হাঁস, মুরগি-ছাগল প্রতিপালন করার জন্য।
�� অর্থসাহায্য দেওয়া হচ্ছে দু’হাজার সমবায়কে। সব মিলিয়ে ১০০০ কোটি টাকার প্রকল্প— ‘কৃষি যন্ত্রপাতি হাব’।
�� ১ নভেম্বর থেকে ধান সংগ্রহ করতে নামছে সরকার। ধান কেনার জন্য তিন হাজার সমবায় সমিতিকে নামাতে চলেছে রাজ্য।

দলিত-আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষায় কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দে বঞ্চনা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের।


অতি বিলম্বে, অতি সামান্য। দলিত-আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের অনুদান দিবার ইহাই যেন নীতি নরেন্দ্র মোদী সরকারের। সংবাদে প্রকাশ, ২০১৫ সাল হইতে পর পর তিন বৎসর তফসিলি জনজাতির জন্য উচ্চশিক্ষায় জাতীয় বৃত্তি দেওয়া হয় নাই। ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর নামাঙ্কিত ওই বৃত্তিটির নাম পরিবর্তন করিয়া গত বৎসর ফের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। কিন্তু যত জনকে বৃত্তি দিবার ঘোষণা ছিল, তালিকায় নাম উঠিয়াছে তাহার অর্ধেকের। বৃত্তি পাইবার আশায় যাঁহারা ইতিমধ্যে গবেষণা শুরু করিয়াছিলেন, তাঁহাদের অধিকাংশই নিরাশ হইয়াছেন। অনেকেই গবেষণা সম্পূর্ণ করিতে পারিবেন না, তাহা প্রায় নিশ্চিত। মোদীর শাসনকালে দলিত-আদিবাসীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদানে সরকারের কার্পণ্য ও দীর্ঘসূত্রিতা লইয়া বারংবার অভিযোগ উঠিয়াছে। দলিত-আদিবাসীদের উন্নয়ন ও সামাজিক সহায়তার বরাদ্দ পড়িয়া আছে, অথচ সেই অর্থ তাঁহাদের নিকট পৌঁছাইতে সরকার ব্যর্থ। ‘পোস্ট-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ’খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রাখিয়াছে কেন্দ্র। সামাজিক ন্যায় ও সক্ষমতা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট অনুসারে, ওই খাতে আট হাজার কোটি টাকারও অধিক বকেয়া রহিয়াছে কেন্দ্রের। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, দলিত ও আদিবাসী মিলিয়া দরিদ্রতম ছাত্রদের উচ্চশিক্ষায় বৃত্তির খাতে তিন বৎসরে বকেয়া ছাড়াইয়াছে তেরো হাজার কোটি টাকা। ‘প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ’লইয়াও একই অভিযোগ। দলিতদের ছাত্রাবাস নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট বরাদ্দের এক-তৃতীয়াংশও রাজ্যগুলিকে পাঠায় নাই কেন্দ্র। এই হিসাব গত আর্থিক বৎসরের।
কিন্তু অর্থের অঙ্ক দিয়া ক্ষতির হিসাব করিয়া লাভ কী? প্রকৃত ক্ষতি মানবসম্পদের অপচয়ে। দলিত-আদিবাসীরা সমাজের দরিদ্রতম দুই বর্গ। সন্তানকে উচ্চশিক্ষিত করিতে হইলে যে দীর্ঘ বিনিয়োগ প্রয়োজন, তাহা জোগান দিবার সামর্থ্য অধিকাংশ দলিত-আদিবাসী পরিবারের নাই। তাহা স্পষ্ট হইয়াছে ২০১১ সালের জনগণনার ফলেও। দলিতদের মধ্যে স্নাতকের হার দেশের গড় হারের অর্ধেক, আদিবাসীদের মধ্যে তাহার চাইতেও কম। দুই সম্প্রদায়েই তরুণীদের মধ্যে সে হার আরও সামান্য। নানা সমীক্ষায় দেখা গিয়াছে, দলিত-আদিবাসী ছাত্রদের অধিকাংশই আসে গ্রাম হইতে, তাহারা পড়াশোনা করে ভারতীয় ভাষায়। স্বভাবতই, উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করিতে হইলে নানা প্রকার সহায়তা তাহাদের একান্ত প্রয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দলিত-আদিবাসী ছাত্রদের জন্য সংরক্ষণ নূতন সুযোগ তৈরি করিয়াছে, কিন্তু সরকারি অসহযোগিতা ও সামাজিক অমর্যাদা তাহাদের মুখের উপর দরজা বন্ধ করিতেছে। ২০১৬ সালে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যা সেই বঞ্চনা ও অমর্যাদার পরিণাম। কত দলিত ছাত্রের এই পরিণাম হইয়াছে, কেন হইতেছে, তাহাদের কী সহায়তা প্রয়োজন, সে বিষয়ে সরকারি তরফে অনুসন্ধান করিয়া রিপোর্টও জমা পড়িয়াছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সরকারের যাহা ন্যূনতম কর্তব্য, ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্য সহায়তা যথাসময়ে তাহাদের নিকট পৌঁছাইয়া দেওয়া, সে কাজটুকু করিতে সরকার ব্যর্থ। অপর দিকে, দূরশিক্ষার সুযোগকে সঙ্কুচিত করিয়াছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। ইহা নিঃসন্দেহে দরিদ্র ও প্রান্তবাসী ছাত্রছাত্রীদের সর্বাধিক বিপন্ন করিবে। শিক্ষায় সংস্কার আনিতে হইবে ঠিকই, কিন্তু এই কি তাহার উপায়? ভারতে দরিদ্রের উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রসারিত হইবার পরিবর্তে সঙ্কুচিত হইতেছে। তফসিলি জাতি ও জনজাতির প্রতি মোদী সরকারের বঞ্চনা বহুমুখী। কিন্তু শিক্ষাবঞ্চনার ফল দেশের পক্ষে সর্বাধিক সুদূরপ্রসারী হইবে।

Tuesday, 28 August 2018

SANTALI ,NAAGPURI NEW OLD VIDEO SONG(28.08.18)

ᱢᱟᱹᱱᱥᱤᱠ(santali-story)

Mansik

ᱵᱟᱹᱭᱥᱟᱹᱠᱷ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱱᱤᱨᱢᱟᱭᱟ ᱥᱤᱛᱩᱢ ᱞᱚᱞᱚ ᱫᱤᱱ ᱠᱮ ᱫᱤᱱ ᱟᱨᱦᱚᱸ ᱵᱟᱹᱲᱛᱤ ᱤᱫᱤᱜ ᱠᱟᱱ ᱜᱮᱭᱟ᱾ ᱪᱟᱸᱫᱚ ᱦᱚᱸ ᱯᱟᱞᱮᱱ ᱚᱠᱟ ᱡᱚᱱᱚᱢ ᱨᱮᱭᱟᱜ ᱨᱟᱹᱜᱤ ᱛᱮ ᱧᱩᱛᱟᱹᱛ ᱧᱤᱫᱟᱹ ᱨᱮᱜᱮ ᱟᱸᱜᱽᱨᱟ ᱦᱚᱵᱚᱨ ᱠᱟᱛᱮ ᱥᱮᱛᱟᱜ ᱛᱚᱨᱟ ᱡᱚᱨᱚᱝ ᱡᱚᱨᱚᱝᱮ ᱩᱯᱮᱞᱚᱜ ᱠᱟᱱᱟ᱾ ᱨᱟᱠᱟᱵ ᱛᱚᱨᱟ ᱠᱷᱚᱱ ᱜᱮ ᱮᱞᱟᱝᱮ ᱮᱨ ᱯᱟᱥᱱᱟᱣᱮᱫᱟ᱾ ᱦᱚᱲᱢᱚ ᱦᱟᱨᱛᱟ ᱢᱟ ᱩᱫᱽᱜᱟᱹᱨ ᱦᱟᱣᱮᱫᱛᱮ ᱛᱤᱠᱤ ᱠᱩᱸᱫᱽᱨᱤ ᱞᱮᱠᱟ ᱵᱟᱨᱵᱟᱹᱨᱤ ᱜᱟᱱ ᱫᱚ ᱵᱟᱯᱷᱟᱣᱮᱱ ᱜᱮ᱾ ᱡᱤᱣᱤ ᱦᱚᱸ ᱥᱟᱸᱦᱮᱫ ᱦᱚᱭ ᱞᱮᱠᱟ ᱜᱮ ᱯᱟᱞᱮᱱ ᱚᱰᱚᱠ ᱟᱫᱮᱨᱚᱜ ᱠᱟᱱᱟ ᱟᱹᱠᱩ ᱯᱟᱹᱠᱩ ᱛᱮ᱾ ᱫᱤᱥᱚᱢ ᱜᱚᱴᱟ ᱞᱚᱞᱚ ᱦᱚᱭ ᱨᱮᱭᱟᱜ ᱛᱷᱟᱯᱲᱮ ᱠᱷᱚᱱ ᱵᱟᱧᱪᱟᱣ ᱞᱟᱹᱜᱤᱫ ᱥᱚᱨᱠᱟᱨ ’ᱥᱚᱱᱛᱚᱨᱚᱱ` ᱵᱮᱣᱨᱟᱭ ᱩᱪᱷᱟᱹᱱ ᱥᱚᱫᱚᱨᱟᱠᱟᱫᱟ᱾ ᱠᱷᱚᱵᱚᱨ ᱠᱟᱜᱚᱡᱽ ᱠᱚᱨᱮ ᱥᱮ ᱧᱮᱱᱮᱞᱚᱢ ᱠᱚᱨᱮ ᱫᱤᱱᱟᱹᱢ ᱥᱤᱛᱩᱢ ᱛᱮ ᱜᱩᱡᱩᱜ ᱠᱟᱱ ᱦᱚᱲᱟᱜ ᱠᱷᱚᱵᱚᱨ ᱯᱟᱨᱥᱟᱞᱚᱜ ᱠᱟᱱᱟ᱾ ᱱᱤᱭᱟᱹ ᱵᱟᱨ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱥᱤᱛᱩᱢ ᱛᱮ ᱛᱤᱱᱟᱹᱜ ᱜᱮᱥᱟᱭ ᱦᱚᱲ ᱪᱚᱝᱠᱚ ᱞᱚᱦᱚᱢ ᱟᱠᱟᱱᱟ᱾ ᱢᱟᱹᱱᱢᱤ ᱥᱟᱶ ᱡᱟᱱᱶᱟ ᱠᱚ ᱦᱚᱸ ᱥᱤᱛᱩᱢ ᱞᱚᱞᱚ ᱛᱮ ᱩᱛᱤᱥᱩᱛᱤ ᱠᱚ ᱟᱵᱚᱥᱛᱟ ᱪᱟᱵᱟ ᱦᱟᱠᱟᱱᱟ᱾ ᱚᱠᱟ ᱨᱮᱦᱚᱸ ᱱᱟᱥᱮᱱᱟᱜ ᱦᱮᱢᱟᱞ ᱵᱟᱝᱠᱚ ᱧᱟᱢᱮᱫᱟ᱾ ᱵᱚᱲᱦᱮ ᱛᱮᱜᱮ ᱯᱟᱞᱮᱱ ᱦᱚᱲ ᱠᱚ ᱚᱲᱟᱜ ᱠᱷᱚᱱ ᱠᱚ ᱚᱰᱚᱠᱚᱜ ᱠᱟᱱᱟ ᱵᱟᱝᱠᱷᱟᱱ ᱜᱚᱢᱷᱮᱲ ᱫᱟᱨᱮ ᱩᱢᱩᱞ ᱜᱮᱠᱚ ᱯᱟᱱᱛᱮ ᱵᱟᱲᱟᱭᱮᱫᱟ ᱡᱤᱠᱤ ᱡᱤᱨᱟᱹᱣ ᱞᱟᱹᱜᱤᱫ᱾
ᱟᱹᱠᱩᱛ ᱨᱮᱢ ᱦᱟᱵᱚᱲ ᱞᱮᱱᱠᱷᱟᱱ ᱥᱤᱛᱩᱢ ᱦᱟᱞᱟᱭ ᱦᱟᱞᱟᱭ ᱨᱮᱦᱚᱸ ᱠᱟᱹᱢᱤ ᱦᱩᱭᱟᱢ ᱜᱮ᱾ ᱫᱟᱹᱭ ᱛᱮᱧᱟᱝ ᱚᱲᱟᱜ ᱥᱮᱱᱚᱜ ᱛᱮᱜᱮ ᱦᱩᱭᱩᱜᱼᱟ ᱞᱮᱢᱯᱟ ᱦᱟᱜ ᱟᱹᱰᱤ ᱢᱟᱨᱟᱝ ᱟᱹᱲᱡᱷᱹᱣ ᱥᱚᱡᱷᱮ ᱞᱟᱹᱜᱤᱫ, ᱠᱷᱟᱴᱚ ᱜᱟᱞᱚᱪ ᱛᱮᱫᱚ ᱟᱹᱲᱡᱷᱟᱹᱣ ᱵᱟᱭ ᱨᱟᱲᱟ ᱜᱚᱫ ᱫᱟᱲᱮᱭᱟᱜᱼᱟ, ᱫᱚᱦᱲᱟ ᱯᱮᱦᱲᱟ ᱫᱮᱡ ᱨᱩᱣᱟᱹᱲ ᱟᱛᱮ ᱜᱟᱯᱟᱞᱢᱟᱨᱟᱣ ᱞᱮᱱ ᱮᱱᱟᱝ ᱥᱚᱞᱦᱮᱜᱼᱟ᱾ ᱠᱷᱟᱴᱚ ᱨᱮᱜᱮ ᱦᱩᱱᱟᱹᱝ ᱢᱩᱪᱟᱹᱫ ᱠᱚᱜ ᱠᱷᱟᱱ ᱥᱮᱱᱚᱜ ᱨᱮᱱᱟᱜ ᱫᱚ ᱞᱟᱹᱠᱛᱤ ᱵᱟᱭ ᱦᱩᱭ ᱠᱚᱜᱼᱟ, ᱯᱷᱚᱱ ᱛᱮᱜᱮ ᱠᱟᱛᱷᱟ ᱥᱚᱞᱦᱮ ᱠᱚᱜᱼᱟ᱾

ᱥᱟᱺᱜᱤᱧ ᱜᱮᱭᱟ ᱦᱚᱨ, ᱪᱟᱸᱫᱚ ᱨᱟᱠᱟᱵ ᱛᱚᱨᱟ ᱥᱮᱴᱮᱨ ᱦᱩᱭᱩᱜᱼᱟ ᱵᱟᱝᱠᱷᱟᱱ ᱞᱚᱞᱚᱣᱟᱜ ᱠᱚ ᱛᱟᱺᱜᱤ ᱛᱟᱨᱟ ᱦᱩᱭᱩᱜᱼᱟ᱾ ᱚᱱᱟᱛᱮ ᱛᱟᱭᱚᱢ ᱥᱤᱢᱨᱟᱜ ᱨᱮᱜᱮ ᱚᱲᱟᱜ ᱠᱷᱚᱱᱮ ᱚᱰᱚᱠᱮᱱᱟ ᱞᱮᱢᱯᱟ᱾ ᱰᱩᱞᱩᱝ ᱜᱟᱹᱰᱤ ᱛᱮ, ᱢᱤᱫ ᱰᱟᱹᱵᱩ ᱢᱟᱹᱰᱤᱫᱟᱜ ᱮ ᱥᱟᱸᱵᱟᱣ ᱠᱮᱜᱼᱟ ᱟᱨ ᱵᱟᱨ ᱯᱟᱹᱭᱞᱟᱹ ᱠᱷᱟᱹᱡᱟᱹᱲᱤ᱾ ᱯᱟᱪᱷᱮ ᱵᱤᱞᱚᱢ ᱦᱩᱭ ᱫᱟᱲᱮᱭᱟᱜᱼᱟ᱾ ᱫᱟᱜ ᱛᱮᱛᱟᱝ ᱫᱟᱠᱟ ᱨᱮᱸᱜᱮᱡ ᱟᱨ ᱵᱟᱝᱠᱷᱟᱱ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱤ ᱠᱚ ᱡᱚᱢ ᱦᱟᱹᱴᱤᱧᱟ᱾
ᱞᱮᱢᱯᱟ ᱞᱚᱜᱚᱱ ᱞᱚᱜᱚᱱᱮ ᱯᱷᱟᱸᱫᱟ ᱟᱹᱪᱩᱨᱮᱜᱼᱟ ᱰᱩᱞᱩᱝ ᱜᱟᱹᱰᱤ ᱯᱟᱭᱰᱮᱞ, ᱩᱥᱟᱹᱨᱟᱭ ᱥᱮᱴᱮᱨᱚᱜ ᱢᱟ ᱢᱮᱱᱛᱮ᱾ ᱮᱱᱦᱚᱸ ᱢᱤᱫ ᱰᱟᱝ ᱜᱟᱱ ᱫᱚᱭ ᱩᱥᱩᱞ ᱜᱚᱫ ᱮᱱ ᱜᱮᱭᱟ ᱨᱟᱠᱟᱵ ᱪᱟᱸᱫᱚ᱾ ᱱᱮ ᱟᱫᱚ ᱞᱚᱞᱚ ᱮᱞᱮᱝ ᱫᱚ ᱵᱟᱡᱟᱣᱚᱜ ᱵᱟᱡᱟᱣᱚᱜ ᱛᱮᱜᱮ ᱥᱮᱴᱮᱨᱮᱱᱟᱭ ’ᱥᱩᱠᱨᱤ ᱜᱟᱹᱰᱤᱭᱟᱹ` ᱟᱹᱛᱩ ᱟᱡ ᱫᱟᱹᱭ ᱛᱮᱧᱟᱝ ᱚᱲᱟᱜ᱾
ᱯᱟᱨᱠᱚᱢ ᱠᱚ ᱵᱤᱞ ᱟᱫᱮ ᱠᱷᱟᱱᱜᱮ ᱜᱤᱛᱤᱡ ᱡᱤᱨᱟᱹᱣ ᱜᱮ ᱥᱟᱱᱟ ᱜᱚᱫ ᱠᱮᱫᱮ, ᱞᱚᱴᱟ ᱫᱟᱜ ᱡᱚᱦᱟᱨ ᱵᱮᱵᱷᱟᱨ ᱚᱠᱛᱚ ᱜᱮᱭ ᱧᱮᱞ ᱫᱚ ᱢᱟᱨᱟᱝ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹᱛ ᱛᱮᱫ ᱵᱚᱸᱜᱟᱭ ᱫᱩᱲᱩᱵ ᱟᱠᱟᱱᱟ ᱛᱟᱞᱟ ᱨᱟᱪᱟ ᱨᱮ ᱵᱮᱱᱟᱣᱟᱠᱟᱱ ᱛᱩᱨᱥᱤ ᱯᱤᱸᱰᱟᱹ ᱥᱟᱢᱟᱝ ᱨᱮ᱾ ᱥᱩᱨ ᱨᱮ ᱟᱨ ᱢᱤᱫ ᱠᱚᱲᱟ ᱜᱤᱫᱽᱨᱟᱹᱭ ᱫᱩᱲᱩᱵ ᱟᱠᱟᱱᱟ ᱞᱚᱦᱚᱫ ᱞᱩᱜᱽᱲᱤ ᱛᱮ ᱫᱷᱩᱛᱤ ᱠᱟᱛᱮ ᱟᱨ ᱪᱮᱫ ᱠᱟᱜᱚᱪ ᱪᱚᱭ ᱥᱟᱵ ᱟᱠᱟᱫᱟ᱾ ᱟᱨᱦᱚᱸ ᱟᱹᱰᱤᱜᱟᱱ ᱦᱚᱲ ᱨᱟᱪᱟ ᱠᱚᱨᱮ ᱯᱤᱸᱰᱟᱹ ᱠᱚᱨᱮ ᱠᱚ ᱫᱩᱲᱩᱵ ᱟᱠᱟᱱᱟ ᱟᱠᱚᱣᱟᱜ ᱯᱟᱹᱨᱤ ᱛᱟᱺᱜᱤ ᱨᱮ᱾ ᱞᱮᱢᱯᱟ ᱦᱟᱜ ᱢᱚᱱᱮᱨᱮ ᱦᱤᱫᱤᱡ ᱦᱮᱡ ᱜᱚᱫ ᱮᱱᱟ ‘ ᱛᱤᱥ ᱠᱷᱚᱱ ᱟᱫᱚ ᱢᱟᱨᱟᱝ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹ ᱫᱚᱭ ᱚᱡᱷᱟᱜ ᱠᱟᱱᱟ? ᱱᱩᱭ ᱞᱚᱵᱚᱰᱚᱝᱠᱟ ᱢᱟ ᱚᱞ ᱯᱟᱲᱦᱟᱣ ᱨᱮ ᱵᱟᱭ ᱞᱟᱵᱟᱫᱷᱤᱭᱟᱹᱣ ᱞᱮᱱᱛᱮ ᱦᱟᱱᱮ ᱟᱱᱫᱷᱨᱟ ᱫᱤᱥᱚᱢ ᱱᱟᱞᱦᱟ ᱠᱟᱹᱢᱤ ᱛᱮᱭ ᱥᱮᱱ ᱞᱮᱱ᱾ ᱛᱤᱥ ᱠᱚᱨᱮ ᱟᱫᱚ ᱜᱩᱨᱩ ᱪᱮᱞᱟᱭ ᱫᱩᱲᱩᱵ ᱞᱮᱱ ᱛᱮ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱵᱳᱨᱳ ᱫᱚᱭ ᱟᱹᱯᱱᱟᱹᱛ ᱠᱮᱫ ᱠᱚ, ᱪᱮ ᱦᱚᱲ ᱮᱲᱮ ᱜᱮᱭ ᱚᱡᱷᱟᱜ ᱠᱟᱱᱟ᱾ ᱟᱫᱚ ᱟᱡ ᱫᱟᱹᱭ ᱴᱷᱮᱱ ᱠᱷᱚᱱ ᱜᱮᱭ ᱵᱟᱰᱟᱭ ᱠᱮᱫᱟ ᱵᱟᱝᱢᱟ ᱱᱟᱞᱦᱟ ᱫᱤᱥᱚᱢ ᱠᱷᱚᱱ ᱜᱮ ᱚᱡᱷᱟᱜ ᱫᱚᱭ ᱪᱮᱫ ᱟᱹᱜᱩᱣᱟᱠᱟᱫᱟ ᱢᱩᱥᱞᱟᱹ ᱜᱩᱨᱩ ᱴᱷᱮᱱ ᱠᱷᱚᱱ ᱟᱨ ᱱᱚᱜᱼᱚᱭ ᱛᱩᱨᱩᱭ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱢᱟᱲᱟᱝ ᱜᱮᱭ ᱦᱮᱡ ᱨᱩᱣᱟᱹᱲ ᱟᱠᱟᱱᱟ᱾ ᱞᱟᱹᱭᱮ ᱛᱚᱸᱜᱮ ᱤᱫᱤ ᱠᱮᱫᱟ ‘ ᱟᱡ ᱜᱮ ᱱᱚᱶᱟ ᱱᱟᱶᱟ ᱞᱮᱠᱟᱱ ᱛᱩᱨᱥᱤ ᱯᱤᱸᱰᱟᱹ ᱫᱚᱭ ᱵᱮᱱᱟᱣ ᱠᱮᱫᱟ, ᱢᱟᱫ ᱠᱷᱩᱱᱴᱤ ᱨᱮ ᱟᱨᱟᱜ ᱥᱟᱹᱞᱩ ᱦᱤᱯᱤᱲ ᱦᱤᱯᱤᱲ ᱮ ᱚᱴᱟᱝ ᱠᱮᱜᱼᱟ, ᱤᱱᱟᱹ ᱥᱩᱢᱩᱝ ᱫᱚ ᱵᱟᱝ ᱫᱩ ᱱᱷᱟᱜ ᱦᱟᱱᱟ ᱚᱲᱟᱜ ᱵᱚᱞᱚᱱ ᱢᱮ ᱯᱮᱭᱟ ᱦᱚᱲ ᱠᱷᱟᱹᱯᱨᱤ ᱟᱨ ᱪᱮᱫ ᱡᱟᱝ ᱠᱚᱪᱚᱭ ᱫᱚᱦᱚᱣᱟᱠᱟᱫ, ᱚᱠᱟ ᱠᱷᱚᱱ ᱪᱚᱭ ᱟᱹᱜᱩᱣᱟᱠᱟᱫ, ᱟᱡ ᱜᱮᱭ ᱵᱟᱰᱟᱭ᱾ ᱫᱤᱱᱟᱹᱢ ᱮ ᱥᱤᱸᱫᱩᱨᱟᱜᱼᱟ, ᱫᱤᱱᱟᱹᱢ ᱮ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱵᱳᱨᱳᱭᱟ᱾ ᱢᱮᱛᱟᱭ ᱨᱮᱫᱚᱭ ᱢᱮᱱᱟ ‘ᱤᱧ ᱨᱮᱱ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱵᱳᱨᱳ ᱠᱟᱱᱟᱠᱚ ᱫᱮᱵᱟ ᱥᱮᱵᱟ ᱦᱚᱪᱚᱣᱟᱹᱧ ᱯᱮ, ᱚᱠᱚᱭᱟᱜ ᱦᱚᱸ ᱵᱟᱭ ᱵᱟᱹᱲᱤᱡᱚᱜᱼᱟ, ᱵᱟᱭ ᱮᱴᱠᱮᱴᱚᱬᱮᱜᱼᱟ ᱵᱚᱨᱚᱢ ᱟᱵᱚ ᱥᱟᱶᱛᱮ ᱦᱚᱲᱟᱜ ᱦᱚᱸ ᱵᱷᱟᱹᱞᱟᱹᱭ ᱦᱩᱭᱩᱜᱼᱟ᱾ ᱟᱫᱚ ᱚᱱᱟ ᱛᱟᱭᱚᱢ ᱠᱷᱚᱱ ᱜᱮ ᱚᱡᱷᱟᱜ ᱮ ᱮᱦᱚᱵ ᱟᱠᱟᱫᱟ᱾ ᱱᱮᱛᱟᱨ ᱫᱚ ᱫᱤᱱᱜᱮ ᱦᱚᱲ ᱠᱚ ᱦᱮᱡ ᱧᱟᱢᱮ ᱠᱟᱱᱟ ᱫᱤᱱᱟᱹᱢ ᱜᱮ ᱦᱟᱱᱛᱮ ᱱᱷᱟᱛᱮ ᱠᱚ ᱟᱥᱮᱱᱮ ᱠᱟᱱᱟ, ᱛᱤᱱᱟᱹᱜ ᱜᱟᱱ ᱠᱚ ᱮᱢᱟᱭ ᱠᱟᱱᱟ ᱥᱮ ᱵᱟᱝ ᱟᱡ ᱜᱮᱭ ᱵᱟᱰᱟᱭᱟ᱾
ᱟᱫᱚ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹ ᱩᱱᱤ ᱠᱚᱲᱟ ᱠᱮᱭ ᱢᱮᱛᱟᱫ ᱮᱭᱟ ‘ ᱫᱮ ᱚᱱᱟ ᱠᱟᱜᱚᱡᱽ ᱛᱟᱢ ᱚᱰᱚᱠ ᱢᱮ ᱟᱨ ᱱᱚᱶᱟ ᱞᱚᱴᱟ ᱫᱟᱜ ᱥᱟᱢᱟᱝ ᱨᱮ ᱫᱚᱦᱚᱭ ᱢᱮ᱾ ᱞᱚᱴᱟ ᱫᱟᱜ ᱛᱟᱸᱵᱟ ᱛᱩᱨᱥᱤ ᱥᱟᱢᱟᱝ ᱨᱮ ᱵᱤᱱᱤᱰ ᱟᱥ ᱵᱟᱠᱷᱨᱟ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱵᱩᱨᱩ ᱠᱚ ᱱᱮᱦᱚᱨ ᱠᱚᱢ ᱟᱨ ᱪᱮᱫ ᱮᱢ ᱢᱟᱹᱱᱥᱤᱠᱟ ᱚᱱᱟ ᱫᱚ ᱟᱢᱟᱜ ᱢᱚᱱᱮ ᱛᱮᱜᱮ ᱢᱟᱹᱱᱥᱤᱠ ᱢᱮ᱾ ᱚᱱᱟ ᱛᱟᱭᱚᱢ ᱡᱚᱦᱟᱨ ᱢᱮ ᱟᱨ ᱱᱚᱶᱟ ᱠᱟᱜᱚᱡᱽ ᱥᱟᱵ ᱠᱟᱛᱮ ᱢᱤᱫ ᱢᱚᱦᱰᱟ ᱚᱰᱚᱠ ᱥᱮᱱ ᱩᱛᱟᱹᱨᱚᱜ ᱢᱮ ᱟᱞᱚᱢ ᱠᱚᱭᱚᱜ ᱨᱩᱣᱟᱹᱲᱟ᱾ᱟᱫᱚ ᱩᱱᱤ ᱠᱚᱲᱟ ᱦᱚᱸ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹ ᱦᱟᱜ ᱠᱟᱛᱷᱟ ᱞᱮᱠᱟᱛᱮ ᱛᱟᱵᱮᱨ ᱠᱟᱛᱮ ᱪᱮᱫ ᱠᱚᱪᱚᱭ ᱵᱟᱰᱟᱜ ᱵᱩᱰᱩᱜ ᱠᱮᱫᱟ ᱟᱹᱰᱤ ᱜᱷᱟᱹᱲᱤᱠ᱾ ᱟᱫᱚᱭ ᱤᱠᱲᱩᱢ ᱮᱱᱛᱮ ᱟᱹᱰᱤ ᱫᱷᱟᱣᱮ ᱡᱚᱦᱟᱨ ᱠᱮᱫᱟ, ᱚᱱᱟ ᱛᱟᱭᱚᱢ ᱠᱟᱜᱚᱡᱽ ᱥᱟᱵ ᱠᱟᱛᱮ ᱩᱥᱟᱹᱨᱟᱭ ᱚᱰᱚᱠ ᱥᱮᱱᱮᱱᱟ᱾ ᱚᱱᱠᱟ ᱜᱮ ᱛᱟᱭᱚᱢ ᱨᱤᱱ ᱦᱚᱲ ᱠᱚ ᱦᱚᱸ ᱪᱮᱫ ᱠᱚᱪᱚ ᱠᱚ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱦᱚᱪᱚ ᱠᱮᱫᱟ, ᱟᱫᱷᱮᱠ ᱫᱚ ᱚᱲᱟᱜ ᱵᱷᱤᱛᱤᱨ ᱥᱮᱫ ᱨᱮ ᱟᱫᱷᱮᱠ ᱰᱚ ᱨᱟᱪᱟ ᱛᱟᱞᱟ ᱛᱩᱨᱥᱤ ᱯᱤᱸᱰᱟᱹ ᱥᱟᱢᱟᱝ ᱨᱮ᱾
ᱞᱮᱢᱯᱟ ᱫᱚ ᱟᱡ ᱫᱟᱹᱭ ᱛᱮᱧᱟᱝ ᱛᱤᱠᱤᱱ ᱥᱟᱶ ᱵᱟᱹᱥᱭᱟᱹᱢ ᱵᱟᱲᱟ ᱭᱮᱱᱛᱮ ᱜᱟᱞᱚᱪ ᱜᱟᱞᱢᱟᱨᱟᱣ ᱠᱚ ᱮᱦᱚᱵ ᱠᱮᱫᱟ ᱪᱟᱹᱲᱤ ᱢᱮᱞᱟ ᱨᱮ᱾ ᱡᱟᱦᱟᱸ ᱛᱤᱱ ᱠᱚᱨᱮ ᱫᱚ ᱞᱚᱞᱚ ᱦᱚᱭᱼᱮ ᱩᱭᱩᱝ ᱛᱟᱨᱟᱭᱮᱫ ᱠᱚ᱾ ᱟᱡᱽ ᱵᱟᱡᱽ ᱠᱟᱛᱷᱟ ᱥᱚᱞᱦᱮ ᱛᱮ ᱪᱟᱸᱫᱚ ᱫᱚ ᱠᱚ ᱫᱤᱯᱤᱞ ᱩᱛᱟᱹᱨ ᱠᱮᱫᱮ᱾ ᱢᱟᱨᱟᱝ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹ ᱦᱚᱸᱭ ᱟᱣᱥᱟᱱᱮᱱ ᱛᱮ ᱟᱫᱚ ᱟᱠᱚ ᱥᱟᱶᱮ ᱫᱩᱲᱩᱵ ᱯᱟᱱᱛᱮᱭᱮᱱᱟ᱾ᱛᱟᱭᱚᱢ ᱫᱚ ᱠᱟᱛᱷᱟ ᱮᱴᱟᱜ ᱥᱮᱫ ᱠᱚ ᱟᱛᱨᱮ ᱤᱫᱤ ᱠᱮᱫᱟ᱾ ᱡᱩᱫᱟᱹ ᱡᱩᱫᱟᱹᱵᱟᱦᱱᱟ ᱠᱟᱛᱮ ᱞᱮᱢᱯᱟ ᱟᱡ ᱫᱟᱹᱭ ᱛᱮᱧᱟᱝ ᱫᱚᱠᱤᱱ ᱚᱰᱚᱠᱮᱱᱟ᱾ ᱢᱮᱞᱟ ᱨᱮᱫᱚ ᱞᱮᱢᱯᱟ ᱟᱨ ᱢᱟᱨᱟᱝ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹᱛ ᱥᱩᱢᱩᱝ᱾
ᱟᱫᱚ ᱞᱮᱢᱯᱟᱭ ᱢᱮᱱ ᱜᱚᱫ ᱠᱮᱫᱟ ‘ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹ ᱟᱹᱰᱤ ᱵᱷᱮᱜᱟᱨ ᱵᱤᱨᱤᱛ ᱵᱤᱱ ᱥᱟᱵ ᱠᱮᱫ ᱫᱚ! ᱟᱵᱚ ᱵᱚᱝᱥᱚ ᱨᱮ ᱢᱟ ᱱᱚᱝᱠᱟᱱ ᱜᱩᱱ ᱵᱤᱨᱫᱟᱹ ᱦᱟᱱ ᱦᱚᱲ ᱜᱮ ᱵᱟᱝᱠᱚ ᱛᱟᱦᱮᱸᱠᱟᱱᱟ᱾
ᱢᱟᱢᱚ ᱟᱫᱚ ᱡᱟᱣ ᱞᱮᱠᱟ ᱦᱚᱯᱚᱱ ᱵᱤᱫᱟᱹᱞ ᱦᱚᱯᱚᱱ ᱯᱟᱴᱟᱫᱚ ᱢᱤᱫ ᱜᱮ ᱛᱟᱦᱮᱱ ᱠᱟᱹᱠᱛᱤ ᱠᱟᱱᱟ ᱥᱮ ᱟᱹᱨᱩ ᱯᱷᱮᱨᱟᱣ ᱦᱚᱸ ᱞᱟᱹᱠᱛᱤᱜ ᱠᱟᱱ ᱜᱮᱭᱟ ?
ᱟᱹᱨᱩ ᱫᱟᱲᱮᱭᱟᱜ ᱠᱷᱟᱱ ᱢᱟ ᱱᱟᱯᱟᱭ ᱜᱮ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹ ᱟᱫᱚ ᱦᱚᱲ ᱮᱲᱮ ᱠᱟᱛᱮ ᱥᱮ ᱥᱟᱹᱨᱤ ᱥᱚᱛᱚ ᱦᱚᱨ ᱛᱮ ᱛᱟᱲᱟᱢ ᱠᱟᱛᱮ ?
ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹᱭ ᱵᱩᱡᱷᱟᱹᱣ ᱧᱟᱢ ᱜᱚᱫ ᱠᱮᱫᱟᱭ ᱫᱷᱟᱲᱟᱯᱮ ᱚᱰᱟᱣᱮᱫᱟ ᱢᱮᱱᱛᱮ᱾ ᱠᱟᱛᱷᱟᱭ ᱟᱹᱪᱩᱨ ᱧᱚᱜ ᱠᱮᱫᱟ᱾ ᱧᱮᱞ ᱵᱤᱱ ᱢᱟᱢᱚ, ᱱᱟᱥᱮ ᱪᱷᱳᱲᱮ ᱞᱤᱧ ᱚᱡᱷᱟᱜ ᱠᱟᱱᱟ, ᱚᱲᱟᱜ ᱛᱮ ᱦᱮᱡ ᱟᱠᱟᱱ ᱟᱹᱠᱩᱛᱟᱠᱟᱱ ᱦᱚᱲ ᱚᱠᱟ ᱞᱮᱠᱟᱨᱮ ’ᱵᱟᱝ` ᱫᱚ ᱞᱤᱧ ᱢᱮᱛᱟ ᱠᱚᱣᱟ ? ᱛᱤᱱᱟᱹᱜ ᱟᱥᱟ ᱠᱟᱛᱮ ᱠᱚ ᱦᱤᱡᱩᱜᱼᱟ, ᱯᱷᱟᱞᱱᱟ ᱴᱷᱮᱱ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱵᱩᱨᱩ ᱞᱮᱠᱷᱟᱱ ᱱᱤᱨᱟᱹᱭ ᱧᱟᱢᱚᱜ ᱜᱮᱭᱟ ᱢᱮᱱᱛᱮ᱾
ᱱᱟᱝᱤᱡ ᱩᱱᱤ ᱠᱚᱲᱟ ᱫᱚ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹ ᱪᱮᱫ ᱵᱟᱠᱷᱨᱟᱭ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱚᱪᱚ ᱠᱮᱫ ᱵᱤᱱᱟ ?
ᱢᱟᱢᱚ, ᱛᱮᱦᱮᱧ ᱜᱮ ᱪᱟᱹᱠᱨᱤ ᱵᱟᱠᱷᱨᱟ ᱵᱤᱱᱤᱰ ᱚᱞᱮ ᱥᱮᱱᱚᱜ ᱠᱟᱱᱟ, ᱟᱫᱚ ᱦᱚᱞᱟ ᱨᱮᱜᱮᱭ ᱢᱮᱛᱟᱫ ᱞᱤᱧ ᱛᱟᱫᱮᱸᱭᱟ ᱢᱟᱹᱱᱥᱤᱠ ᱞᱟᱹᱜᱤᱫ ᱡᱮᱢᱚᱱ ᱯᱩᱨᱤᱠᱷᱟ ᱨᱮᱭ ᱯᱟᱥ ᱫᱟᱲᱮᱭᱟᱜ ᱢᱟ᱾
ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱵᱳᱨᱳ ᱪᱮᱛᱟᱱ ᱟᱹᱞᱤᱧᱟᱜ ᱦᱚᱸ ᱯᱟᱹᱛᱭᱟᱹᱣ ᱫᱚ ᱢᱮᱱᱟᱜ ᱜᱮᱭᱟ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹ ᱟᱫᱚ ᱢᱟᱹᱱᱥᱤᱠ ᱞᱮᱠᱷᱟᱱ ᱪᱟᱹᱠᱨᱤ ᱧᱟᱢᱚᱜ ᱠᱷᱟᱱ ᱚᱞ ᱯᱟᱲᱦᱟᱣ ᱟᱹᱠᱤᱞ ᱟᱨᱡᱟᱣ ᱨᱮᱭᱟᱜ ᱞᱟᱹᱠᱛᱤ ᱜᱮ ᱵᱟᱹᱱᱩᱜ ᱟᱱ᱾ ᱪᱮᱫ ᱢᱟᱹᱱᱥᱤᱠ ᱦᱩᱭᱩᱜᱼᱟ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹ ? ᱮᱸᱜᱟᱛᱮ ᱟᱹᱵᱤᱱ ᱵᱟᱠᱷᱨᱟ ᱦᱚᱸ ᱢᱟᱹᱱᱥᱤᱠ ᱵᱤᱱ ᱛᱚ ! ᱡᱮᱢᱚᱱ ᱢᱟᱨᱟᱝ ᱚᱠᱚᱡ ᱪᱟᱹᱠᱨᱤ ᱧᱟᱢ ᱵᱤᱱ᱾
ᱢᱟᱢᱚ, ᱟᱹᱵᱤᱱ ᱦᱚᱸ᱾ ᱟᱹᱞᱤᱧ ᱫᱚ ᱢᱟᱢᱚ ᱟᱹᱞᱤᱧ ᱨᱮᱱ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱵᱳᱨᱳ ᱞᱤᱧ ᱵᱮᱵᱷᱟᱨᱮᱫ ᱠᱚᱣᱟ, ᱟᱫᱚ ᱦᱚᱲᱟᱜ ᱯᱟᱹᱛᱭᱟᱹᱣ ᱢᱮᱱᱟᱜᱼᱟ ᱟᱹᱞᱤᱧ ᱪᱮᱛᱟᱱ ᱨᱮ᱾ ᱚᱱᱟ ᱯᱟᱹᱛᱭᱟᱹᱣ ᱜᱮ ᱟᱠᱚ ᱫᱚᱭ ᱱᱤᱨᱟᱹᱭᱮᱫ ᱠᱚᱣᱟ, ᱚᱱᱟ ᱨᱮ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱵᱚᱩᱨᱩ ᱠᱚᱣᱟᱜ ᱢᱮᱫ ᱞᱩᱛᱩᱨ ᱫᱚ ᱦᱟᱭᱟᱢ ᱦᱟᱭᱟᱢ ᱜᱮ᱾
ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹ ᱡᱚᱛᱚ ᱟᱹᱠᱩᱛ ᱨᱮᱭᱟᱜ ᱱᱤᱨᱟᱹᱭ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱵᱩᱨᱩ ᱛᱮ ᱜᱟᱱᱚᱜ ᱠᱷᱟᱱ ᱪᱮᱫ ᱟᱹᱠᱩᱛ ᱜᱮ ᱵᱟᱭ ᱛᱟᱦᱮᱸ ᱠᱚᱜᱼᱟ, ᱪᱮᱫᱟᱜ ᱥᱮ ᱥᱟᱱᱟᱢ ᱦᱚᱲ ᱜᱮᱛᱚ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱵᱳᱨᱳ ᱢᱟ ᱠᱚ ᱵᱟᱰᱟᱭᱟ ᱟᱨ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱵᱳᱨᱳ ᱠᱚ ᱫᱮᱵᱟ ᱥᱮᱵᱟᱭᱮᱫ ᱠᱚᱣᱟ᱾
ᱚᱠᱟᱨᱮ ᱢᱟᱢᱚ, ᱚᱲᱟᱜ ᱨᱮᱢᱟ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱜᱚᱪᱟᱨ ᱨᱮᱭᱟᱜ ᱚᱠᱛᱚ ᱜᱮ ᱚᱠᱟᱨᱮ, ᱟᱹᱠᱩᱛ ᱞᱮᱱ ᱮᱱᱟᱝ ᱜᱮᱛᱚ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱵᱩᱨᱩ ᱵᱚ ᱩᱭᱦᱟᱹᱨᱮᱫ ᱠᱚ᱾ ᱢᱟᱜᱽ ᱢᱟᱥ ᱯᱮᱲᱟᱜ ᱞᱮᱠᱟ ᱞᱮᱠᱷᱟ ᱨᱮᱵᱮᱱ ᱫᱮᱵᱟ ᱥᱮᱵᱟ ᱠᱚ ᱠᱷᱟᱱ ᱯᱮᱲᱟ ᱦᱚᱲ ᱪᱮᱜᱚ ᱟᱹᱵᱤᱱ ᱚᱲᱟᱜ ᱦᱮᱡ ᱠᱟᱛᱮ ᱞᱚᱴᱟ ᱫᱟᱜ ᱫᱚᱲᱚᱢ ᱠᱟᱛᱮᱭ ᱡᱚᱦᱟᱨ ᱟᱹᱵᱤᱱᱟ ?
ᱞᱮᱢᱯᱟ ᱴᱮᱯᱥᱟ ᱴᱤᱯᱥᱤ ᱨᱮ ᱵᱟᱭ ᱫᱟᱲᱮᱜ ᱞᱮᱠᱟᱭ ᱵᱩᱡᱷᱟᱹᱣ ᱠᱮᱫᱟ, ᱟᱫᱚᱭ ᱢᱮᱱ ᱜᱚᱫ ᱠᱮᱫᱟ ‘ ᱪᱟᱹᱠᱨᱤ ᱵᱟᱠᱷᱨᱟ ᱯᱩᱨᱤᱠᱷᱟ ᱥᱩᱢᱩᱝ ᱫᱚ ᱵᱟᱝ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹ ᱱᱚᱶᱟ ᱡᱤᱵᱚᱱ ᱥᱟᱜᱷᱟᱨ ᱨᱮ ᱥᱟᱨᱟ ᱜᱷᱟᱹᱲᱤ ᱜᱮ ᱵᱤᱱᱤᱰ ᱮᱢ ᱦᱩᱭᱩᱜᱼᱟ᱾ ᱛᱤᱱᱟᱹᱜ ᱜᱟᱱ ᱨᱮᱫᱚ ᱟᱵᱚ ᱦᱚᱸᱵᱚ ᱯᱟᱥᱚᱜᱼᱟ ᱟᱨ ᱛᱤᱱᱟᱹᱜ ᱜᱟᱱ ᱨᱮᱫᱚ ᱵᱚ ᱯᱷᱮᱞᱚᱜᱼᱟ᱾ ᱢᱩᱞ ᱨᱮᱫᱚ ᱯᱟᱹᱛᱭᱟᱹᱣ ᱟᱨ ᱟᱹᱠᱤᱞ ᱜᱮ ᱛᱟᱦᱮᱱᱟ᱾ ᱟᱯᱱᱟᱨ ᱛᱮᱜᱮ ᱵᱩᱡᱷᱟᱹᱣᱚᱜᱼᱟ ᱮᱢᱟᱱ ᱮᱢᱟᱱ ᱵᱤᱱᱤᱰ ᱫᱚ ᱯᱟᱥ ᱜᱟᱱᱚᱜᱼᱟ ᱥᱮ ᱵᱟᱝ᱾ ᱡᱟᱦᱟᱸ ᱞᱮᱠᱟᱱ ᱵᱤᱱᱤᱰ ᱜᱮ ᱦᱩᱭᱮᱱ, ᱚᱱᱟ ᱯᱟᱥ ᱞᱟᱹᱜᱤᱫ ᱞᱟᱹᱠᱛᱤᱜ ᱟᱹᱠᱤᱤᱞ ᱜᱮ ᱵᱟᱹᱱᱩᱜᱼᱟ, ᱱᱤᱡᱮᱨᱟᱜ ᱫᱟᱲᱮ ᱨᱮᱭᱟᱜ ᱯᱟᱹᱛᱭᱟᱹᱣ ᱜᱮ ᱵᱟᱹᱱᱩᱜ ᱠᱷᱟᱱ ᱟᱣᱥᱟᱱ ᱟᱣᱥᱟᱱ ᱠᱩᱠᱞᱤ ᱨᱮᱱᱟᱜ ᱞᱟᱹᱱᱟᱹᱭ ᱮᱢ ᱛᱮᱦᱚᱸ ᱩᱫᱽᱜᱟᱹᱨ ᱛᱮᱵᱮᱱ ᱦᱤᱨᱟᱹᱢ ᱜᱟᱨᱮᱢ ᱩᱛᱟᱹᱨᱚᱜᱼᱟ᱾
ᱢᱟᱢᱚ, ᱩᱱᱤ ᱠᱚᱲᱟ ᱜᱮ ᱧᱮᱞᱮ ᱵᱮᱱ ! ᱟᱞᱮ ᱟᱹᱛᱳ ᱡᱟᱠ ᱚᱞᱚᱜ ᱠᱚᱲᱟ ᱠᱩᱲᱤ ᱠᱷᱚᱱ ᱞᱟᱥᱮᱨ ᱦᱟᱛᱟᱝᱼᱟᱱ ᱠᱚᱲᱟ ᱠᱟᱱᱟᱭ᱾ ᱠᱚᱞᱮᱡᱽ ᱯᱟᱲᱦᱟᱣ ᱥᱟᱹᱛ ᱠᱟᱛᱮ ᱯᱮᱼᱯᱩᱱ ᱥᱮᱨᱢᱟ ᱦᱩᱭᱮᱱᱟ ᱪᱟᱹᱠᱨᱤ ᱵᱟᱠᱷᱨᱟ ᱵᱤᱱᱤᱰ ᱚᱞ ᱚᱞᱛᱮ ᱮᱱᱦᱚᱸ ᱠᱟᱰᱟ ᱪᱩᱯᱤ ᱢᱟ ᱵᱟᱝ ᱜᱮ ᱵᱷᱤᱰᱤ ᱪᱩᱯᱤ ᱦᱚᱸ ᱵᱟᱭ ᱥᱟᱵ ᱫᱟᱲᱮᱭᱟᱠᱟᱣᱟᱫᱼᱱᱟ᱾ ᱦᱚᱞᱟ ᱜᱮᱭ ᱞᱟᱹᱭ ᱟᱹᱞᱤᱧ ᱠᱟᱱ ᱛᱟᱦᱮᱸᱫᱚᱜ ᱢᱚᱱᱮ ᱛᱮᱫᱚ ᱟᱹᱰᱤ ᱱᱟᱯᱟᱭᱮ ᱚᱞᱮᱫᱟ ᱟᱫᱚ ᱤᱝᱞᱤᱥ ᱟᱨ ᱡᱤᱹᱠᱮᱹ ᱨᱮᱜᱮ ᱪᱮᱠᱟ ᱪᱚᱭ ᱴᱷᱟᱠᱮᱫ ᱫᱟᱨᱟᱢᱚᱜ ᱠᱟᱱᱟ, ᱫᱮᱨᱧ ᱵᱩᱪᱟᱹᱜ ᱫᱷᱟᱹᱵᱤᱡ ᱮ ᱨᱩᱸᱫᱷᱟᱹᱣᱮᱫ ᱨᱮᱦᱚᱸ ᱵᱟᱭ ᱩᱛᱩᱲ ᱫᱟᱲᱮᱭᱟᱜ ᱠᱟᱱᱟ᱾ ᱵᱤᱱᱤᱰ ᱚᱞ ᱚᱞᱛᱮᱭ ᱢᱟᱨᱮ ᱢᱟᱹᱨᱩᱲᱮᱱ ᱨᱮᱦᱚᱸ ᱯᱟᱥ ᱨᱮᱭᱟᱜ ᱠᱟᱭᱫᱟ ᱜᱮ ᱵᱟᱭ ᱪᱮᱫ ᱫᱟᱲᱮᱭᱟᱫ᱾ ᱟᱡᱟᱜ ᱢᱚᱱᱮ ᱨᱮᱜᱮ ᱤᱱᱟᱹᱜ ᱯᱟᱹᱛᱭᱟᱹᱣ ᱵᱟᱹᱱᱩᱜᱼᱟ ᱡᱮ ᱟᱨᱡᱟᱣᱟᱠᱟᱱ ᱟᱹᱠᱤᱞ ᱛᱮᱜᱮ ᱵᱤᱱᱤᱰ ᱫᱚᱭ ᱯᱟᱥ ᱫᱟᱲᱮᱭᱟᱜᱼᱟ ᱢᱮᱱᱛᱮ᱾
ᱟᱹᱞᱤᱧᱟᱜ ᱩᱭᱦᱟᱹᱨ ᱛᱮᱫᱚ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟ ᱪᱟᱹᱠᱨᱤ ᱵᱟᱠᱷᱨᱟ ᱵᱤᱱᱤᱰ ᱫᱚ ᱟᱨᱡᱟᱣᱟᱠᱟᱱ ᱟᱹᱠᱤᱞ ᱵᱤᱰᱟᱹᱣ ᱵᱤᱱᱤᱰ ᱜᱮ ᱵᱟᱝᱠᱷᱟᱱ ᱢᱟ ᱦᱩᱱᱟᱹᱝ ᱟᱞᱮ ᱞᱮᱠᱟᱱ ᱢᱩᱨᱩᱠᱷ ᱚᱞᱠᱷᱚᱵᱟ ᱠᱚᱦᱚᱸ ᱠᱚ ᱞᱟᱴ ᱥᱟᱦᱮᱵᱽ ᱠᱚᱜᱼᱟ᱾
ᱟᱹᱞᱤᱧ ᱥᱮ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱵᱩᱨᱩ ᱛᱟᱹᱞᱤᱧ ᱟᱡ ᱥᱟᱶ ᱵᱤᱱᱤᱰ ᱚᱞ ᱵᱟᱝᱠᱚ ᱥᱮᱱᱚᱜᱼᱟ ᱥᱮ ᱠᱩᱠᱞᱤ ᱠᱚ ᱟᱡ ᱞᱟᱹᱜᱤᱫ ᱫᱚ ᱵᱷᱮᱜᱟᱨ ᱛᱮ ᱟᱣᱥᱟᱱᱟᱜ ᱢᱟ ᱵᱟᱭ ᱦᱤᱡᱩᱜ, ᱥᱟᱱᱟᱢ ᱠᱚ ᱞᱟᱹᱜᱤᱫ ᱤᱱᱟᱹ ᱠᱩᱠᱞᱤ ᱥᱟᱠᱟᱢ ᱜᱮ᱾ ᱮᱱᱦᱚᱸ ᱟᱡᱟᱜ ᱫᱟᱲᱮᱜ ᱵᱟᱝ ᱫᱟᱲᱮᱜ ᱨᱮᱭᱟᱜ ᱫᱷᱟᱫᱷᱚᱥ ᱫᱷᱩᱼᱫᱷᱩᱠ ᱛᱟᱭ ᱫᱚ ᱟᱹᱞᱤᱧᱟᱜ ᱩᱫᱽᱜᱟᱹᱣ ᱛᱮ ᱪᱷᱤᱢ ᱪᱷᱟᱹᱛᱩᱨ ᱩᱛᱟᱹᱨ ᱟᱠᱟᱱᱟ ᱟᱨ ᱢᱚᱱᱮ ᱨᱮ ᱯᱟᱹᱛᱭᱟᱹᱣ ᱦᱮᱡ ᱟᱠᱟᱣᱟᱫᱮᱭᱟ ᱡᱮ ᱫᱟᱲᱮᱭᱟᱜ ᱜᱮᱭᱟᱭ ᱢᱮᱱᱛᱮ᱾ ᱱᱤᱨᱡᱟᱞᱟ ᱠᱷᱟᱨᱥᱟᱞᱟ ᱢᱚᱱᱮ ᱛᱮ ᱵᱤᱱᱤᱰ ᱨᱮᱭ ᱰᱩᱲᱩᱵ ᱨᱮᱫᱚ ᱵᱟᱝ ᱵᱟᱝ ᱫᱟᱲᱮᱭᱟᱜ ᱠᱩᱠᱞᱤ ᱨᱮᱭᱟᱜ ᱞᱟᱹᱱᱟᱹᱭ ᱦᱚᱸ ᱵᱟᱨ ᱯᱮ ᱫᱷᱟᱣ ᱜᱟᱱ ᱫᱚ ᱜᱮᱞᱟ ᱵᱤ ᱰᱟᱹᱣ ᱜᱮ᱾
ᱚᱱᱠᱟᱱ ᱠᱚᱜᱮ ᱠᱚ ᱦᱟᱭ ᱪᱚᱜᱚᱜᱼᱟ ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹ ᱡᱟᱦᱟᱸᱭ ᱠᱚ ᱫᱚ ᱟᱹᱠᱤᱞ ᱟᱨᱡᱟᱣ ᱠᱟᱛᱮ ᱦᱚᱸ ᱢᱩᱨᱩᱠᱷ ᱠᱚ ᱞᱮᱠᱟ ᱜᱮ ᱯᱨᱚᱵᱮᱞᱮᱢ ᱨᱮᱭᱟᱜ ᱥᱚᱞᱩᱥᱚᱱ ᱦᱚᱨ ᱰᱟᱦᱟᱨ ᱜᱮ ᱵᱟᱝᱠᱚ ᱯᱟᱸᱡᱟ ᱫᱟᱲᱮᱭᱟᱜᱼᱟ᱾ ᱟᱫᱚ ᱦᱟᱸᱰᱮ ᱱᱷᱟᱰᱮ ᱛᱟᱣᱟᱜᱼᱛᱟᱨᱠᱚ, ᱛᱟᱭᱚᱢ ᱫᱚᱠᱚ ᱢᱮᱱᱟ ᱢᱚᱞᱚᱝ ᱨᱮᱜᱮ ᱵᱟᱹᱱᱩᱜ ᱫᱚ ᱚᱠᱟ ᱠᱷᱚᱱᱮᱢ ᱧᱟᱢᱟ᱾ ᱢᱚᱞᱚᱝ ᱨᱮᱫᱚ ᱪᱮᱫ ᱚᱞ ᱟᱠᱟᱱ ᱚᱠᱚᱭᱮ ᱵᱟᱰᱟᱭ ? ᱟᱹᱞᱤᱧᱟᱜ ᱯᱟᱹᱛᱭᱟᱹᱣ ᱫᱚ ᱢᱚᱞᱚᱝ ᱨᱮᱫᱚ ᱪᱮᱫ ᱚᱞ ᱟᱠᱟᱱ ᱚᱠᱚᱭᱮ ᱵᱟᱰᱟᱭ ? ᱟᱹᱞᱤᱧᱟᱜ ᱯᱟᱹᱛᱭᱟᱹᱣ ᱫᱚ ᱢᱚᱞᱚᱝ ᱨᱮᱫᱚ ᱱᱤᱡᱮ ᱛᱮᱜᱮ ᱜᱟᱨ ᱦᱩᱭᱩᱜᱼᱟ, ᱚᱠᱟ ᱞᱮᱠᱟᱵᱮᱱ ᱜᱟᱨᱟ ᱚᱱᱠᱟᱜᱮ ᱜᱟᱨᱚᱜᱼᱟ᱾
ᱟᱡ ᱦᱚᱸᱛᱚ ᱢᱟᱢᱚ ᱚᱞᱚᱜ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱢᱟᱭ ᱫᱷᱩᱬᱟᱹ ᱫᱷᱩᱯᱟᱫ ᱠᱤᱱ ᱜᱮᱫᱤᱱᱟᱹᱢ ᱦᱤᱞᱚᱜ; ᱮᱱᱦᱚᱸ ᱩᱠᱩᱨ ᱟᱹᱠᱤᱞ ᱫᱚᱭ ᱟᱨᱡᱟᱣ ᱞᱮᱫᱟ ᱯᱟᱹᱛᱭᱟᱹᱣ ᱫᱚ ᱵᱟᱝ᱾ ᱟᱨ ᱟᱹᱞᱤᱧ ᱦᱚᱸ ᱩᱱᱤ ᱥᱚᱨᱚᱥᱩᱛᱤ ᱧᱩᱛᱩᱢ ᱛᱮᱜᱮ ᱱᱮᱦᱚᱨ ᱞᱤᱧ ᱢᱮᱛᱟᱫ ᱫᱮ᱾ ᱴᱷᱟᱶ ᱜᱮ ᱵᱚᱫᱚᱞᱮᱱ ᱠᱷᱟᱱ ᱯᱟᱹᱛᱭᱟᱹᱣ ᱫᱚ ᱚᱠᱟ ᱞᱮᱠᱟᱛᱮ ᱦᱮᱡ ᱟᱫᱮᱭᱟ᱾ ᱧᱮᱞ ᱠᱮᱫᱮᱭᱟᱵᱮᱱ ᱛᱤᱱᱟᱹᱜ ᱨᱟᱹᱥᱠᱟᱹ ᱥᱟᱞᱟᱜ ᱞᱟᱸᱫᱟ ᱞᱟᱸᱫᱟ ᱛᱮᱭ ᱪᱟᱞᱟᱣᱮᱱᱟ᱾
ᱦᱚᱲᱟᱜ ᱵᱷᱮᱣᱱᱟ ᱠᱟᱱᱟ ᱚᱱᱟᱫᱚ, ᱟᱹᱵᱮᱱ ᱵᱮᱱ ᱵᱟᱰᱟᱭ ᱜᱮᱭᱟ ᱢᱟᱹᱱᱥᱤᱠ ᱥᱩᱢᱩᱝ ᱛᱮᱫᱚ ᱯᱟᱥ ᱵᱟᱭ ᱜᱟᱱᱚᱜᱼᱟ ᱮᱱᱦᱚᱸ ᱥᱟᱹᱨᱤ ᱠᱟᱛᱷᱟ ᱫᱚ ᱪᱮᱫᱟᱜ ᱵᱟᱹᱵᱤᱱ ᱞᱟᱹᱭ ᱟᱫᱮᱭᱟ᱾ ᱮᱲᱮ ᱵᱮᱱ ᱨᱚᱲ ᱨᱮᱫᱚ ᱟᱹᱵᱮᱱ ᱜᱮᱵᱮᱱ ᱮᱲᱮᱜ ᱠᱟᱱᱟ᱾ ᱫᱤᱱ ᱫᱤᱱ ᱛᱮᱫᱚ ᱵᱮᱱ ᱵᱷᱩᱸᱰᱩᱞᱚᱜᱼᱟ᱾ ᱟᱨ ᱥᱟᱹᱨᱤ ᱥᱩᱛᱩᱜ ᱟᱛᱮ ᱵᱮᱱ ᱥᱮᱱᱚᱜ ᱠᱷᱟᱱ ᱦᱚᱲ ᱠᱚ ᱵᱟᱰᱟᱭ ᱵᱤᱱᱟ, ᱜᱩᱱ ᱢᱟᱱᱟᱣ ᱵᱤᱱᱟ, ᱧᱩᱛᱩᱢ ᱟᱹᱵᱮᱱᱟᱠᱚ᱾ ᱟᱫᱚ ᱟᱹᱠᱤᱞ ᱥᱩᱢᱩᱝ ᱛᱮ ᱦᱚᱸ ᱵᱟᱭ ᱜᱟᱱᱚᱜᱼᱟ, ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱵᱩᱨᱩ ᱥᱩᱢᱩᱝ ᱛᱮᱦᱚᱸ ᱵᱟᱝ ᱜᱟᱱᱚᱜᱼᱟ ᱥᱮᱯᱟᱹᱛᱭᱟᱹᱣ ᱥᱩᱢᱩᱝ ᱛᱮᱦᱚᱸ ᱵᱟᱝ ᱜᱟᱱᱚᱜᱼᱟ᱾ ᱱᱚᱶᱟ ᱯᱮᱭᱟ ᱩᱪᱩᱫ ᱢᱤᱫ ᱫᱷᱟᱹᱲ ᱨᱮ ᱛᱟᱦᱮᱸ ᱞᱮᱱ ᱮᱱᱟᱝ ᱜᱮ ᱪᱩᱞᱷᱟᱹ ᱫᱚ ᱵᱮᱱᱟᱣ ᱜᱟᱱᱚᱜᱼᱟ ᱟᱨ ᱡᱤᱭᱚᱱ ᱥᱟᱸᱜᱷᱟᱨ ᱴᱩᱠᱩᱡ ᱵᱷᱟᱹᱜᱤ ᱥᱟᱺᱦᱤᱡ ᱫᱚᱲᱚᱢ ᱜᱟᱱᱚᱜᱼᱟ᱾
ᱢᱟᱢᱚ, ᱚᱱᱟ ᱢᱟ ᱴᱷᱤᱠ ᱜᱮ ᱟᱫᱚ ᱟᱹᱞᱤᱧᱟᱜ ᱥᱚᱝᱥᱟᱨ ᱴᱩᱠᱩᱡ ᱫᱚᱲᱚᱢ ᱞᱟᱹᱜᱤᱫ ᱟᱹᱞᱤᱧᱟᱜ ᱜᱩᱱ ᱵᱤᱨᱫᱟᱹ ᱢᱟ ᱞᱤᱧ ᱜᱩᱱᱢᱟᱹᱱ ᱜᱮ᱾ ᱟᱨ ᱡᱩᱫᱤ ᱞᱤᱧ ᱢᱮᱛᱟᱠᱚᱣᱟ ᱢᱟᱹᱱᱥᱤᱠ ᱠᱟᱛᱮ ᱛᱚ ᱪᱮᱫ ᱦᱚᱸ ᱵᱟᱝ ᱜᱟᱱᱚᱜᱼᱟ ᱮᱱᱠᱷᱟᱱ ᱵᱚᱸᱜᱟ ᱵᱩᱨᱩ ᱥᱮ ᱟᱞᱤᱧᱟᱜ ᱞᱟᱡ ᱦᱚᱸ ᱪᱮᱠᱟᱞᱤᱧ ᱯᱮᱨᱮᱡ ᱠᱮᱭᱟ᱾
ᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹ ᱦᱚᱲ ᱮᱲᱮ ᱠᱟᱛᱮ ᱪᱟᱣᱞᱮ ᱟᱞᱚᱵᱮᱱ ᱵᱟᱺᱫᱤᱭᱟ ᱵᱟᱝᱠᱷᱟᱱ ”ᱵᱟᱝ ᱯᱟᱹᱛᱭᱟᱹᱣ” ᱨᱮᱭᱟᱜ ᱱᱚᱥᱚᱢ ᱛᱮ ᱪᱟᱣᱞᱮ ᱯᱷᱩᱯᱰᱟᱹᱜᱼᱟ, ᱦᱮᱣᱮᱨᱚᱜᱼᱟ ᱟᱨ ᱵᱮᱥ ᱛᱮ ᱡᱚᱢ ᱦᱚᱸ ᱵᱟᱹᱵᱤᱱ ᱫᱟᱲᱮᱭᱟᱜᱼᱟ᱾
ᱤᱱᱟᱹᱜ ᱛᱮᱜᱮ ᱯᱮᱢᱯᱟ ᱟᱡ ᱫᱟᱹᱭ ᱢᱟᱡᱟᱱᱚᱜ ᱞᱟᱹᱜᱤᱫᱼᱮ ᱦᱚᱦᱚ ᱠᱮᱫᱟ ᱟᱫᱚ ᱜᱟᱞᱢᱟᱨᱟᱣ ᱠᱤᱱ ᱛᱷᱩᱠᱩᱢ ᱠᱮᱫ ᱛᱮ ᱚᱲᱟᱜ ᱥᱮᱫ ᱠᱤᱱ ᱵᱚᱞᱚᱭᱮᱱᱟ ᱢᱟᱢᱚᱼᱵᱷᱟᱹᱜᱽᱱᱟᱹ᱾

ভারত দিশম মাঝি মাডোয়া (BHARAT DISOM MAJHI MADOWA)-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটি গঠন।


গত রবিবার ২৫/০৮/২০১৮ মেদিনীপুর শহরে এক আলোচনার মাধ্যমে “ভারত দিশম মাঝি মাডোয়া”-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটি গঠন কর্মসূচি সম্পন্ন হল। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিশম মাঝি মানতান পূর্ণচন্দ্র সরেন, দিশম গোডেৎ মানতান সলিল মান্ডি, দিশম পারানিক মানতান মানু হাঁসদা, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মানতান প্রদীপ কুমার হাঁসদা, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মানতান কার্ত্তিক হাঁসদা, রাজ্য সভাপতি মানতান পিকু মান্ডি, ঝাড়গ্রাম জেলা দায়িত্বপ্রাপ্ত মানতান রূপচাঁদ সরেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বীরভূম জেলায় আদিবাসী সমাজের প্রধান ‘মাঝি’-দের সংবর্ধনা ও উপাসনাস্থল ‘জাহের থান’ নির্মাণ করবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।


বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে ধুতি, চাদর, উত্তরীয় দিয়ে জেলার আদিবাসী সমাজ প্রধান ‘মাঝি’-দের সংবর্ধনা জানাবে তৃণমূল কংগ্রেস। গীতাঞ্জলী প্রকল্পে প্রতি গ্রামে বরাদ্দ বাড়ির ৫০ শতাংশ আদিবাসীদের দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দেবেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেস তাদের দলীয় বিধায়কদের নির্দেশ দেবেন, তাঁদের বিধায়ক তহবিলের টাকায় গ্রামে আদিবাসীদের পুজোর স্থান ‘জাহের থান’-কে সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে দিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা আদিবাসী সেলের সঙ্গে বৈঠক করে এই পদক্ষেপগুলির ঘোষণা করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরে ওই বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘আদিবাসীরা দেশ স্বাধীন করার জন্য লড়াই করেছেন। দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্ত তাঁদের কেউ মনে রাখেনি। আমরা প্রথম তাদের সম্মান দিতে চলেছি।’তাঁর বক্তব্য, ‘আদিবাসীদের বাড়ি কম দেওয়া হয়েছে। সেটা দেখতে হবে। প্রত্যেক ব্লক সভাপতিকে বলছি, প্রতিটি ব্লক যা বাড়ি পাবে, তার ৫০ শতাংশ যেন আদিবাসীদের জন্য রাখা হয়।’
তবে শুধু ধুতি-পাঞ্জাবির উপহার, আর জাহের থান বাঁধিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে খুশি হচ্ছেন না আদিবাসী সমাজ। তাঁরা আদিবাসী সমাজ প্রধান তথা ‘মাঝি’-দের ভাতা দেওয়ার দাবি তুলেছেন। বীরভূম জেলার আদিবাসী সংগঠন ‘বীরভূম আদিবাসী গাঁওতা’-র নেতা সুনীল সোরেন বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক যেভাবে বিজেপির দিকে গিয়েছে, তাতে আতঙ্কিত হয়ে এখন শাসকদলের আদিবাসী প্রীতি জেগে উঠেছে। বামফ্রন্ট আমলে বঞ্চিত হয়ে আদিবাসীরা ৭ বছর আগে তৃণমূলকে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্ত তৃণমূল কিছু করেনি। তাই আদিবাসীরা এখন একজোট হচ্ছেন। এই সব সংবর্ধনার প্রলোভনে আদিবাসীরা আর ভুলবে না। সত্যিই কিছু করতে হলে আমরা চাই ‘মাঝি’-দের ন্যায্য ভাতা দেওয়া হোক।’
বীরভুমের পাথর খাদান এলাকায় শালবাদরা গ্রামের ‘মাঝি’ লক্ষ্মীরাম হেমব্রম বলেন, ‘সাত বছর পর আমাদের কথা মনে পড়েছে। সংবর্ধনা দিলে ভালো। কিন্ত আমরা ভাতা চাই।’রামপুরহাট থানার শালতলা গ্রামের ‘মাঝি’ লাল মুর্মু বলেন, ‘সরকার এতদিন আদিবাসীদের উপেক্ষা করেছে। মাঝিদের জন্য কিছু করেনি। এখন এত দরদ কেন। আমরা একজোট হয়ে বলছি, দিতে হলে আমাদের ভাতা দেওয়া হোক।’ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমে যে ২৩ শতাংশ আসনে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে মহম্মদবাজার-সহ বেশ কিছু আদিবাসী এলাকা ছিল। সেখানে কোথাও কোথাও ভোটের ফল তৃণমূলের পক্ষে ততটা ভালো হয়নি।
যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভোটের সঙ্গে মাঝিদের সংবর্ধনা দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। বোলপুরে রবিবার তৃণমূলের দপ্তরে যে বৈঠক হয়েছে, তাতে অনেক আদিবাসী নেতা উপস্থিত ছিলেন। রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠকেই অনুব্রত মণ্ডল ঘোষণা করেন, আদিবাসী মাঝিদের নিয়ে বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে খুব শিগগিরই একটি সম্মেলন করা হবে। সেই সম্মেলন থেকে প্রায় ৩,৫০০ আদিবাসী ‘মাঝি’-কে উত্তরীয়, পাঞ্জাবি ও ধুতি দিয়ে সম্মান জানানো হবে। পাশাপাশি, জেলার প্রতিটি আদিবাসী গ্রামে এক কাঠা করে সরকারি জমি দেওয়া হবে। সেই জমিতে আদিবাসীদের দেবতার থান বাঁধানোর জন্য এলাকার বিধায়কের তহবিল থেকে বরাদ্দ করা হবে। অনুব্রত জানান, বীরভূমের ১৯ টি ব্লক ও সব ক’টি পুর এলাকায় পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, কেতুগ্রামের ‘মাঝি’-দের ডেকেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আদিবাসী সমাজের পাশে থাকতে চাই।’
আদিবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, তাঁদের প্রতিটি গ্রামে একটি করে ‘জাহের থান’ গড়তে এক কাঠা করে জমি লাগবে। ‘জাহের থান’আদিবাসীদের উপাসনাস্থল। তাঁদের সেই দাবি পূরণ করেন শাসক দলের জেলা সভাপতি। দলের বিধায়কদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, জায়গা নির্বাচন হয়ে গেলে সেই জায়গা যেন ঠিক করে ঘিরে দেওয়া হয়।
এই ঘোষণায় আনন্দিত বীরভূম জেলার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা আদিবাসী সেলের সভাপতি সুনীল টুডু এবং সম্পাদক রবিন মুর্মূ বলেন, ‘‘এই সরকার আমাদের জন্য যা ভেবেছে, এর আগে কোনও সরকার ভাবেনি। আজ আবারও তা প্রমাণ হল।”
আদিবাসীদের শ্মশানের অংশ দখল হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘যেখানে যেখানে এ রকম সমস্যা হয়েছে, সেখানকার ব্লক সভাপতিকে বিষয়টি জানাতে হবে। জবরদখল মুক্ত করা হবে শ্মশানগুলিকে। জবরদখলকারী যদি ব্লক সভাপতি নিজেও হন, তাঁকেও রেয়াত করা হবে না।” তিনি আরও বলেন, ‘‘সামান্য এক কাঠা জমি চেয়েছিলেন। সেটা পূরণ না করলে হবে!’’ তিনি জানান, আদিবাসী সম্প্রদায়ের কৃতীদের সংবর্ধনায় একটি করে ধুতি, কুর্তা, পাগড়ি বাঁধার কাপড় এবং মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া হবে।

সরকারী চাকরিতে এসসি/এসটি (SC/ST) দের পদোন্নতিতে সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে।



গত শুক্রবার ২৪ ই আগস্ট ২০১৮ সংরক্ষণ সংক্রান্ত এক মামলায় প্রশ্ন উঠল যে তফশিলি জাতি-উপজাতিরা কি আজীবনই পিছিয়ে থাকবেন? সরকারি চাকরিতে নিয়োগের সময় ‘কোটা’ কি যথেষ্ট নয়, যে জীবনভর পদোন্নতিতেও ‘কোটা’ দিয়ে যেতে হবে?
সরকারী চাকরির পদোন্নতিতে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ‘ক্রিমি লেয়ার’ অর্থাৎ অবস্থাপন্ন তফশিলি জাতি-উপজাতিদের বাদ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়েই এ দিন সওয়াল-জবাব চলছিল শীর্ষ আদালতে। পদোন্নতিতে সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, ইন্দিরা জয়সিং-সহ তাবড় আইনজীবীরা। প্রত্যেকেরই দাবি, বদল আনা হোক ২০০৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নাগরাজ রায়ে, কারণ তা এসসি-এসটিদের পদোন্নতিতে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সাত বিচারপতির বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চকে দিয়ে এই রায় পুনর্বিবেচনা করানোর পক্ষে তাঁরা।
সওয়াল চলাকালীনই প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বলেন, ‘পিছিয়ে পড়ার নিরিখেই চাকরিতে ঢোকার সময় সংরক্ষণ দেওয়া হয়। এতে কারও কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়। কিন্তু, কোনও দিক বিচার না করে যে ভাবে একই কারণে এসসি-এসটি কর্মীদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে, এটা উদ্বেগের।’ এর পর বিচারপতিরা বলেন, ‘ধরুন কোনও ব্যক্তি সংরক্ষণের জোরে আইএএস পরীক্ষায় পাশ করলেন, পরে পদোন্নতিতে সংরক্ষণের জেরে সচিব পর্যায়ে উন্নীত হলেন। ওই ধরনের বর্ষীয়ান আমলার নাতিকেও কি পিছিয়ে পড়া শ্রেণি ধরে নিয়ে আজীবন পদোন্নতিতে সংরক্ষণ দিয়ে যেতে হবে?’
যে নাগরাজ রায় নিয়ে এই মামলা, তার মূল বক্তব্য হল, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত কর্মীদের সংরক্ষণের ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া যেতেই পারে কিন্তু কোনও কর্মীকে ‘কোটা’য় ‘প্রোমোশন’ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে তিনটি বিষয় খতিয়ে দেখতে হবে – প্রথমত ওই কর্মী কতটা পিছিয়ে রয়েছেন, দ্বিতীয়ত ওই চাকরিতে এসসি-এসটি কর্মীর অনুপাত কত, তৃতীয়ত এর জেরে প্রশাসনের সার্বিক মান এবং কর্মক্ষমতায় কোনও প্রভাব পড়বে কি না। এই রায় পুনর্বিবেচনার দাবি নিয়ে আদালতে যায় কেন্দ্র। একই দাবি জানায় তফশিলি জাতি-উপজাতিদের সংগঠনও। তাদের বক্তব্য, কেউ কতটা পিছিয়ে তার কোনও সার্টিফিকেট হয় না। এই বক্তব্যকে সমর্থন করে এ দিন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল শীর্ষ আদালতে বলেন, কোনও জাতি বা উপজাতিকে একবার ‘পিছিয়ে পড়া’ তালিকায় যুক্ত করা হলে এবং রাষ্ট্রপতি তাতে সিলমোহর দিয়ে দিলে, তাঁদের নতুন করে পিছিয়ে পড়ার প্রমাণ দিতে হয় না। পাল্টা সওয়ালে আইনজীবী শান্তি ভূষণ বলেন, ‘সরকার চাইলে শীর্ষস্থানীয় পদগুলির জন্য সরাসরি বিজ্ঞাপন দিয়ে লোক চাইতে পারে, সেক্ষেত্রে সংরক্ষণ দেওয়া হোক। তাতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু, শুধুমাত্র সংরক্ষণের নিরিখে শীর্ষপদ বিলি করলে দেশে বিপর্যয় নেমে আসবে।’ শান্তি ভূষণকে সমর্থন করে আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান বলেন, ‘সংরক্ষণ থেকে ধনীদের সরিয়ে রাখা আসলে সাম্যপ্রতিষ্ঠারই নামান্তর। বহু শতাব্দী ধরে যাঁরা বঞ্চনার শিকার নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের ফলে সেই সব মানুষ উপকৃত হন। কিন্তু, চাকরি পাওয়ার পর যাঁরা পিছিয়ে পড়া পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের কখনওই পদোন্নতিতে সংরক্ষণ দেওয়া উচিত নয়।’ আইনজীবী ধাওয়ান তাঁর সওয়ালে আরও বলেন, ‘সংরক্ষণকে অমরত্ব দিয়ে দিলে ভবিষ্যতে নানাবিধ সমস্যা তৈরি হতে পারে। যে কারণে ওবিসি-রাও এসসি-এসটির মধ্যে সামিল হতে চাইছেন।’ ধাওয়ানের কথায়, ঠিক ভাবে আলোচনা ছাড়াই লোকসভা পদোন্নতিতে সংরক্ষণের বিষয়টি পাশ করে দিয়েছিল। ফলে এ নিয়ে আপত্তি উঠতেই পারে। আগামী সপ্তাহে ফের এ নিয়ে শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।


মুক্তিধারা প্রকল্পের মাধ্যমে বেকার যুবক-যুবতীদের উপার্জনের দিশা দেখাতে ৮টি গ্রামকে মডেল ভিলেজ বানাবে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।


‘মুক্তিধারা’ প্রকল্পে পূর্ব বর্ধমান জেলার আটটি গ্রামকে মডেল ভিলেজ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। কৃষি, উদ্যানপালন, প্রাণিপালন, মাছ চাষ প্রভৃতি কাজের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং বেকার যুবক-যুবতীদের আয়ের দিশা দেখানোই মূল লক্ষ্য। জেলা স্বনিযুক্তি ও স্বনির্ভর দপ্তরের উদ্যোগে মুক্তিধারা প্রকল্পে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গ্রামে পুরুষ ও মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পাশাপাশি বেকার যুবক-যুবতীরাও কাজ করবেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অফিসারদের ওইসব গ্রামে সমীক্ষা করে একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যে প্রতিটি দপ্তর থেকে সমীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি মহকুমা থেকে দু’টি করে গ্রামকে মডেল ভিলেজ তৈরির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। জেলায় চারটি মহকুমায় আটটি গ্রামকে প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত করা হয়েছে। জামালপুর ব্লকের বেড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতের সালিমডাঙা, মেমারি-২ ব্লকের বোহার-১ পঞ্চায়েতের মহিষপুর, আউশগ্রাম-১ ব্লকের দিগনগর পঞ্চায়েতের হাটকৃষ্ণপুর, আউশগ্রাম-২ ব্লকের ভাল্কি পঞ্চায়েতের প্রেমগঞ্জ, পূর্বস্থলী-১ ব্লকের দোগাছি পঞ্চায়েতের হরিপুর, মন্তেশ্বর ব্লকের বাঘাসন পঞ্চায়েতের হোসেনপুর, কাটোয়া-১ ব্লকের শ্রীখণ্ড পঞ্চায়েতের শ্রীখণ্ড এবং কাটোয়া-২ ব্লকের পলসোনা পঞ্চায়েতের রোণ্ডা গ্রামকে মডেল ভিলেজ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওই আটটি গ্রামকে মডেল ভিলেজ হিসেবে গড়ে তোলার পর আবারও বেশকিছু গ্রামকে বেছে নেওয়া হবে।
বোহার-১ পঞ্চায়েতের মহিষপুর, বাঘাসনের হোসেনপুর, ভাল্কির প্রেমগঞ্জ, কাটোয়া-১-এর শ্রীখণ্ড, পলসোনার রোণ্ডা গ্রামে মাছ চাষে কোনও আগ্রহ নেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের। তবে, বেড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতের সালিমডাঙায় ২৫জনকে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। দিগনগর পঞ্চায়েতের হাটশ্রীকৃষ্ণপুরে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য দু’বিঘা জমি আছে এবং মৎস্যদপ্তর সেখানে সবরকম সহযোগিতায় প্রস্তুত বলে রিপোর্ট দিয়েছে। দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের হরিপুরে অবশ্য মাছের খাবার তৈরির প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে এবং ১০৬ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
জেলা স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি প্রকল্পের অফিসার ইনচার্জ সৌমনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মহিলা ও পুরুষ স্বনির্ভর দল এবং বেকার যুবক-যুবতীরা কৃষি, প্রাণিপালন, উদ্যানপালন, মাছ চাষ প্রভৃতি কাজে যুক্ত থাকবেন। উপার্জনের পথ তৈরি করাই মুক্তিধারা প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। বিভিন্ন দপ্তরকে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। জেলা শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজারও এর সঙ্গে যুক্ত। আপাতত চারটি মহকুমা থেকে দু’টি করে গ্রামকে বছে নেওয়া হয়েছে। এভাবেই মডেল ভিলেজ তৈরি করা হবে। প্রতিটি দপ্তর থেকে সমীক্ষা করে রিপোর্ট জমা করা হয়েছে। সব গ্রামে সমস্ত দপ্তরের কাজ হবে, এমনটা নয়। সেপ্টেম্বরের প্রথম থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

Thursday, 23 August 2018

উত্তরবঙ্গের আদিবাসী এলাকায় অনুদান ২ কোটি বরাদ্দ করবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর।


WEDNESDAY, AUGUST 22, 2018

পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের গেরোয় আদিবাসী অধ্যুষিত যে সব এলাকার উন্নয়ন থমকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে সাময়িকভাবে কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বিডিওদের ২ কোটি টাকা করে বরাদ্দ করবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। এই টাকা দেওয়া হবে দফতরের নিজস্ব তহবিল থেকে। উত্তরকন্যা সূত্রের খবর, আর পাঁচটা ব্লক পিছু ১ কোটি টাকা দিলেও আদিবাসীরা যেখানে সংখ্যায় বেশি রয়েছেন, সেখানে তা দ্বিগুণ দেওয়া হবে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, ‘‘আদিবাসী অধ্যুষিত বেশ কিছু গ্রামে উন্নয়নের কাজে আরও গতি আনা দরকার। যতক্ষণ না পঞ্চায়েত গঠন হচ্ছে, ততক্ষণ বিডিওদের বাড়তি উদ্যোগী হতে হবে। সে জন্য আদিবাসী অধ্যুষিত ব্লকে বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া হবে। সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসকদের মাধ্যমে প্রকল্প পেলেই টাকা পৌঁছে যাবে।”
উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহের অন্তত ১১টি ব্লক আদিবাসী অধ্যুষিত। উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারেও বিস্তীর্ণ এলাকায় আদিবাসীদের বসবাস। গত পঞ্চায়েত ভোটে ওই সব এলাকায় তৃণমূল সর্বত্র ভাল ফল করতে পারেনি। বহু জায়গাতেই আদিবাসীরা মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। বেশ কয়েকটি এলাকায় তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেও মামলার জেরে সেখানে বোর্ড গঠন সম্ভব নয়। অথচ সামনে লোকসভা ভোট রয়েছে। ফলে, উন্নয়ন থমকে থাকা নিয়ে বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি জোর প্রচারে নেমেছে।
আদিবাসী অধ্যুষিত হবিবপুর ব্লকের আকতৈল, বৈদ্যপুর, মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে পানীয় জলের চরম সমস্যা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের টাকায় পানীয় জলের জন্য সাব মার্সিবাল পাম্প বসাতে উদ্যোগী হয়েছেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। হবিবপুরের জেলা পরিষদের সদস্য প্রভাস চৌধুরী বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সরাসরি ব্লকে টাকা দেওয়ায় কাজে গতি আসবে।”
বিরোধীরা অবশ্য এখনও সমালোচনা করছেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির জেলা সভাপতি বিভূতি টুডু বলেন, ‘‘এ সব সিদ্ধান্তই ভোটের কথা মাথায় রেখে।” তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী আসনে নতুন করে ভোট দরকার। শুধু বিডিও-র মাধ্যমে উন্নয়ন করার চেষ্টা ঠিক নয়। এতে প্রকৃত উন্নয়ন হবে না। জনপ্রতিনিধিরাই শুধু বোঝেন এলাকার সমস্যা কী ও কোন কাজে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি।”

Wednesday, 22 August 2018

SANTALI , PURULIA ,NAGPURI VIDEO SONG (22/08/2018)

LATEST SANTALI VIDEO SONG 2018 // DULAL RENANG ABCD... // SANTALI LOVE SONG 2018 //  ***

https://www.youtube.com/watch?v=AK3QNG5jQFc

BAHA MALA (BABY1.0)||Official Realese Video Song||RC Music Presents||New Santali Album Song 2018

https://www.youtube.com/watch?v=qEGuGtnKJEE&feature=youtu.be

new santali full video song 2018 | puilu puilu dular full video song 2018

https://youtu.be/f9Xn18ylfkU


UKU UKU TELANG | MULUH KECHA CHANDO | SANTALI FULL VIDEO ALBUM 2018 **


EXCUSE ME A NEW SANTHALI FULL HD VIDEO


JANUM PID JANUM santali film


New Santali Full HD video Album2018/Miss Umulini Hembram&Fulchand Baskey /Song-Dilruba Samjha Karo. ***


New Santali HD vedio(2018) Modern styel tem sajao Ena **


new santali video 2018!! Aam Begor #Aam-begor #lodestarfilmEntertainment  ***



 Rimil Jali Sagai Leka Topol Tahen Dulaldo **


Nahaah Modern Kuri l New HD Santali Video Album Song 2018 ***


  PURULI

New Purulia Video Song 2018#Tor Preme Podechhe#আমার এই অবুঝ মন ***



NAGPURI

Nagpuri Song 2018 - O Meri Jaan | Ajit & Rekha | Singer - Vijay Lohra | Adhunik Sadri Geet 2018



2018 Song Gori Kare He Mor Se Pyar# Singer Gabbu Bhai Ready



Dhire Dhire Pyar Badhana re Selem | धीरे धीरे प्यार | HD Bhojpuri SONG 2017 | RR music **



DIL DEEWANA II NEW NAGPURI SONG II PAWAN ROY NEW NAGPURI SONG II RAMAN GUPTA & ISHA II JOYA SERISE ***



EK NAJAIR DEIKH DELE // एक नजैर दैख देले // HD nagpuri song // Singer Sunil Bediya ****


GHUT GHUT JEENA KYA | घुट घुट जीना क्या | New Nagpuri Song 2017 | RR Music ***




दिवाना II DEEWANA II NEW NAGPURI SONG II PAWAN ROY II ROHIT & TANNU RAJPUT II RK AND AKASH LOHRA **

https://www.youtube.com/watch?v=c6uishdav-E

Watch "💖 LOVE STORY 💖 2018 !! NEW NAGPURI SONG !! SHEKHAR SAHIS & PRITY" ***
https://youtu.be/UWpIT90zAPk

"Dil Hai Deewana Gori Re || नश फाड़ -2 || Nagpuri Hd Video"  **
https://youtu.be/Eg1kKAZMXBI


BANGLADESI

"Nil Noyona | Eleyas Hossain | Nahin Tunajjina Radit | Bangla Hit Songs | Full HD"


















Sunday, 19 August 2018

“ভারত দিশম মাঝি মাডোয়া (BHARAT DISOM MAJHI MADOWA)”-র পক্ষ থেকে শ্রী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাবিপত্র পেশ।




“ভারত দিশম মাঝি মাডোয়া (Bharat Disom Majhi Madowa)”-র পক্ষ থেকে পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঠিত আদিবাসী উন্নয়ন কোর কমিটির চেয়ারম্যান সাংসদ শ্রী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাবিপত্র পেশ।
পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঠিত আদিবাসী উন্নয়ন কোর কমিটির চেয়ারম্যান শ্রী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ (Member of Parliament) এর নিকট আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন দাবী দাওয়া পেশ করলেন আদিবাসী সামাজিক সংগঠন “ভারত দিশম মাঝি মাডোয়া (Bharat Disom Majhi Madowa)”। মঙ্গলবার (14.08.2018) কলকাতায় শ্রী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে এই দাবী দাওয়া পেশ করেন “ভারত দিশম মাঝি মাডোয়া (Bharat Disom Majhi Madowa)”-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। “ভারত দিশম মাঝি মাডোয়া (Bharat Disom Majhi Madowa)”-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দিশম মাঝি মাননীয় শ্রী পূর্ণচন্দ্র সরেন মহাশয়, দিশম গোডেৎ মাননীয় শ্রী সলিল মান্ডি মহাশয়, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাননীয় শ্রী প্রদীপ কুমার হাঁসদা মহাশয়, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাননীয় শ্রী কার্ত্তিক হাঁসদা মহাশয়, কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ মাননীয় শ্রী জগন্নাথ সরেন মহাশয়, মহিলা মোর্চার পক্ষে মাননীয়া শ্রীমতি সুমিতা সরেন, ছাত্র-যুব মোর্চার পক্ষে মাননীয় শ্রী হালি হাঁসদা মহাশয়।
“ভারত দিশম মাঝি মাডোয়া (Bharat Disom Majhi Madowa)”-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আদিবাসী উন্নয়ন কোর কমিটির চেয়ারম্যান মাননীয় শ্রী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে বিস্তারিত জানান। বর্তমান সময়ে আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন সমস্যার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সাঁওতালি শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষক নিয়োগ, জাল ST Caste Certificate, স্কুল-কলেজে আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যা, প্রভৃতি বিষয়ে “ভারত দিশম মাঝি মাডোয়া (Bharat Disom Majhi Madowa)”-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সাংসদ শ্রী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবগত করান। সাংসদ শ্রী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় মনোযোগ সহকারে “ভারত দিশম মাঝি মাডোয়া (Bharat Disom Majhi Madowa)”-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দাবী দাওয়াগুলি শোনেন এবং সেই দাবী দাওয়াগুলি পুরন করার যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস জানান। যে দাবী দাওয়া পুরনে সাংসদ শ্রী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক্তিয়ারের বাইরে, সেই দাবী দাওয়াগুলি উনি মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোচরে আনবেন বলে জানান।

বীরভূম জেলার সিউড়িতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাজাল এর নামে মেলা

 বীরভূম জেলার সিউড়ির বড়বাগানের আব্দারপুর ফুটবল ময়দানে আয়োজিত হতে চলেছে ‘বীরবান্টা বাজাল মেলা-২০১৯’। ১৯শে জানুয়ারি এই মেলা আয়োজিত...