SANTHALDISHOM(সানতাল দিশোম): 08/04/18

Saturday 4 August 2018

NEW SANTALI VIDEO SONG(04/08/18)

I Love You (Dular 50-50) New Santhali Video Song 2018

https://www.youtube.com/watch?v=Af03rKvBxyg

New santali video song 2018 rusika kora latest santali video album stv Santhali Video **

https://youtu.be/FQweGh_g5YY

NewUmulini Hembram&Fulchand Baskey /Song-Dilruba Samjha Karo. Santali Full HD video Album2018/Miss **

https://youtu.be/mGEvzkFwV4A

DELA LANG ANGIR CHALA NEW SANTALI HD OFFICIAL VIDEO SONG.2018, **

https://youtu.be/HPv4VGb9e8Y

Aam Saon Puilu Njepel I Santali Full Music Video Album I Creative BANA Studio  **

https://youtu.be/qRdWcm19GfY

MAYA GATE | New Santali Video Song 2018 | Official Full Song | RC Music **

https://youtu.be/XQH0V2wl7fk

Uyhar miyang gida sara din santali video 2018  **

https://youtu.be/PFR-zahCVcE

TIP TIP BARSA PANI NEW SANTALI VIDEO SONG 2018 || BOBY SINGH || ANGARAI PRODUCTION  **(Audio)

https://youtu.be/6tYGwkjc8Kc

RASCA AWARD @Song no-3||Santali song | Santali records HD **(Stage Dance)

https://youtu.be/mZ2ivVnITTs

NAINA SE TOR (adivasi Video Album) by Riten Karmakar **

https://youtu.be/hscb6qs9-aQ

Chhilkaw-III | Song-Sanging Disam Pera | Singer-Rupali Murmu |Actor/Singer-Bablu Tudu **

https://youtu.be/NdB9z8J-Mds


ALBUM SANGAT AAM GE Song Mone Do Mone Do Full Video 2018 **


JURI//SARI SARI//NEW SANTHALI FILM VIDEO SONG 2018/ BISWAS TUDU/PINKI HANSDA **


Idi Manj Idi Meya Gaati | Dilip Hembrom, Madhuri Dey | New Santhali Music Video 2018 | Johar TV ***


Rajdhani College Kuli I Santali Music Video ***


E- GOLOM 20-20 SANTALI FULL HD VIDEO_HAHALA DHARTI_SUNDAR & PORAYNI_2018  ***


DJ DABUNG Album song number 03 HAPE HAPE HD VIDEO SONG singer GOURI TUDU **

https://www.youtube.com/watch?v=BxmeLV29qhI

Chhilkaw 4.0 Full Video || KIIT || Bhubaneswar(Programme)

https://www.youtube.com/watch?v=lJd4CR3vDnE

Um Tara Tupu Tara New Santali Video Md/Rs Presents 24/06/2018

https://www.youtube.com/watch?v=H909cY7zGVA

Gel Turuy... **

https://www.youtube.com/watch?v=DdvvA-8XDQ4

Hapi Hapi Tedo//New Santali Album"SISU GATEY"Song,2018//Marang Baa Productions **

https://www.youtube.com/watch?v=qKnctSehb0w


HELEM HELEM GAATE ROR TAM NEW SANTALI FULL HD MUSIC VIDEO 2018 || HOPON & RINA NEW JODI ***

https://www.youtube.com/watch?v=rDyfVA13Nfs

New Santali album 2018 | NISHA NISHA | SATHI & CHARAN | TIRIYO MUSIC

https://www.youtube.com/watch?v=IhGa6BNL5QI

New Santali Video Song Whatsapp Bali Full HD 2018 Copyright Reserved **

https://www.youtube.com/watch?v=HGi875RD0js

A SAJNI// DEEPAK HEMBROM// NEW SANTHALI VIDEO SONG ***

https://www.youtube.com/watch?v=brnz6rKZTaQ

A SANTHALI MOVIE SONG ETANG SARI OF FILM GAATE **

https://www.youtube.com/watch?v=9Ru8H6NVEUU

SANTALI NEW PROMO VIDEO 2018, HENDE RIMIL ORIGINAL TITLE VIDEO SONG ,

 (STUDIO VERSION.) ***

https://www.youtube.com/watch?v=gzIQYwRM2t0

New Santali Video Song 2018 | Monere Aam Menama Gaati | Film-SIRF AAM | Johar TV ***

https://www.youtube.com/watch?v=mKLMN5wQ7JM

NEW SANTALI HD VIDEO SONG 2018||सारी सारी लायमें दुल़ार NEW SANTALI TV  (Audio)

https://www.youtube.com/watch?v=7uez3z8AoLw

BANG BANG TEGE || NEW OFFICIAL SANTALI FULL HD VIDEO SONG || E KUYLI SANTALI ALBUM 2018 ***

https://www.youtube.com/watch?v=4-tstYgvFcI

Kuchi umar uku katha||NEW SANTALI FULL HD VIDEO||NEW SANTALI TV (Audio)

https://www.youtube.com/watch?v=2jri25TQnGM

HENDE RIMIL UNAW ME / LOW BATTERY / A NEW SANTALI ROMANTIC FULL VIDEO SONG HD 2018/ ABHISHEK & SILI ***

https://www.youtube.com/watch?v=B267UydikHw

Sangat Amm Ge Song Tehenj Nepel Ropor Full Video 2018

https://www.youtube.com/watch?v=rmghEKOjiRY

College kuri | Santhali Album | Coming Soon | full audio song | 2018 | 1080p (Audio)

https://www.youtube.com/watch?v=qrnVF0X3xX0


https://www.youtube.com/watch?v=O4JrDrL2iUk






























নাবালিকার বিয়ে রুখবে ‘মা লক্ষ্মী’ সরকারী প্রকল্প।

নাবালিকার বিয়ে রুখবে ‘মা লক্ষ্মী’৷ না, ইনি কোনও দেবী নন৷ ২০১৬ সালে চালু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের এক প্রকল্পের নাম৷ অরণ্য সপ্তাহে গাছ লাগানোর পাশাপাশি নাবালিকার বিয়ে রুখতে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর-২ নম্বর ব্লকের দাওয়াই হল এই ‘মা লক্ষ্মী’ প্রকল্প৷ এই প্রকল্পে গাছ সংরক্ষণের জন্য মাসে মাসে আর্থিক অনুদান পাবে দুঃস্থ নাবালিকার পরিবার৷ আর সেই গাছ বড় হওয়ার পর বিক্রি করে দেওয়া হবে এককালীন অনুদান৷ এই অভিনব প্রকল্প চালু হয়েছে পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকে৷
পটাশপুরের ব্লকের পক্ষ থেকে সরকারি জায়গা চিহ্নিত করে বন দফতরের সহযোগিতায় সেখানে গাছ লাগানো হবে৷ ওই গাছগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে এলাকার দুঃস্থ ছাত্রীদের শনাক্ত করে তাদের মায়েদের নিয়োগ করা হবে৷ প্রত্যেক মাসে গাছ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মায়েরা মাথাপিছু দু’হাজার টাকা করে পাবেন৷ সেই সঙ্গে গাছ বড় হলে ব্লক বা পঞ্চায়েত সমিতি সেই গাছ বিক্রি করে যে টাকা রোজগার করবে, তা থেকে আড়াই হাজার টাকা ওই মায়েদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হবে৷ কিন্তু শর্ত একটাই, এই সময়কালের মধ্যে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না এবং লেখাপড়াও বন্ধ করা যাবে না৷ আর যদি তা করা হয় তাহলে এই দুই অনুদান থেকেই বঞ্চিত হবেন গাছ পরিচর্যার কাজে নিযুক্ত মহিলারা৷
নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক ঢিলে দুই পাখি মারল প্রশাসন৷ এর ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষার কাজ অগ্রসর হবে, অন্যদিকে নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করাতেও কার্যকর হবে৷ পটাশপুরের তৎকালীন বিডিও শুভজিৎ কুণ্ডু বলেন, গাছ লাগানো ও নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করাটা আমাদের দায়িত্ব৷ কিন্তু আর্থিক পরিকাঠামোর অভাবে প্রায়ই নাবালিকাদের বিয়ের ঘটনা ঘটছে৷ তাই গাছ বাঁচানোর পাশাপাশি কীভাবে নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করা যায় সেই চিন্তা থেকেই এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে৷ পটাশপুর দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৎকালীন সভাপতি চন্দন সাউ জানান, নাবালিকার বিয়ের খবর পেয়ে ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়৷ তাতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবার৷ আবার অনেক ক্ষেত্রে জানতে না পারায় নাবালিকার বিয়েও হয়ে যায়৷ তাই বিয়ে দেওয়ার আগেই পরিবারকে সতর্ক করতে ও দুঃস্থ পরিবারগুলির রোজগার বাড়াতে এমন একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে৷ সেইসঙ্গে বনসৃজনে লাগানো গাছও সুরক্ষিত থাকবে৷

তপশিলী জাতি–উপজাতি অত্যাচার নিরোধক আইন সংশোধন রুখতে বিজেপি জোট সরকারের শরিকরা সরব।

তপশিলী জাতি–উপজাতি অত্যাচার নিরোধক আইন (SC/ST Attrocity Act) সংশোধন রুখতে বিজেপি জোট সরকারের শরিকরা সরব।
তপশিলী জাতি–উপজাতি অত্যাচার নিরোধক আইন (SC/ST Attrocity Act) নিয়ে মোদী সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়ল৷ দলের সাংসদ উদিত রাজ আগামী ৯ অগস্টের বিক্ষোভকে সফল করতে উঠেপড়ে লেগেছেন৷ সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে দলের দলিত মন্ত্রীদের ‘পরগাছা’ পর্যন্ত বলেছেন তিনি৷ এর থেকেই স্পষ্ট বিজেপির দলিত সাংসদদের, বিশেষ করে উদিত রাজের মনোভাব। এর পাশাপাশি শরিকি চাপও বেড়েছে৷ রামবিলাস পাসোয়ান সরকারকে চরমসীমা বেঁধে দিয়ে বলেছিলেন, ৭ অগস্টের মধ্যে পুরনো তপশিলী জাতি–উপজাতি অত্যাচার নিরোধক আইন (SC/ST Attrocity Act)-কে পুনর্বহাল করতে হবে৷ নীতীশ কুমারের জেডিইউ সেই দাবি সমর্থন করেছে৷ এই অবস্থায় বিজেপির তরফে বলা হচ্ছে, লোকসভার অধিবেশন শেষ হলে তপশিলী জাতি–উপজাতি অত্যাচার নিরোধক আইন (SC/ST Attrocity Act)-কে লঘু করা রুখতে অর্ডিন্যান্স জারি করা হবে৷ তখন আর ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকবে না৷
কিন্তু ঘটনা হল, সংসদের বাদল অধিবেশন ১০ অগস্ট পর্যন্ত চালু থাকবে৷ অর্ডিন্যান্স আনতে গেলে তার পর আনতে হবে৷ কারণ, সংসদের অধিবেশন চালু থাকলে অর্ডিন্যান্স আনা যায় না৷ সংসদ চালু না থাকলে খুব দরকারি বিষয়ে অর্ডিন্যান্স আনা যায়৷ পরে সংসদ বসলে বিল এনে তা পাশ করাতে হয়৷ এখন যে প্রশ্নটা উঠছে, তা হল, সুপ্রিম কোর্টের রায় এসেছিল মার্চের শেষে৷ তারপর এপ্রিল, মে, জুন-তিন মাস হাতে পেয়েছিল সরকার৷ তা হলে বাদল অধিবেশনে কেন বিল আনা হল না? দ্বিতীয় প্রশ্ন, যিনি এই রায় দিয়েছিলেন, সেই বিচারপতি আদর্শ গোয়েলকে কেন অবসরের ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুন্যালের প্রধান হিসাবে নিয়োগ করা হল?
এই শেষ সিদ্ধান্ত নিয়েও বিজেপি জোট সরকারের দলিত নেতা উদিত রাজ থেকে রামবিলাস পাসোয়ান সকলেই প্রশ্ন তুলছেন৷ এই সিদ্ধান্ত দলিতদের মধ্যে মোটেই ভালো বার্তা দেয়নি৷ দেশের প্রতিটি রাজ্যেই কমবেশি দলিত ও আদিবাসী ভোট রয়েছে৷ তার মধ্যে বেশি রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিসগড়, ঝাড়খণ্ড, ওডিশা, গুজরাট, রাজস্থানে৷ সেই সব রাজ্যেই এই দুই কারণে দলিতরা ক্ষুব্ধ৷ একেই দলিতদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে দেশ মাঝে মধ্যেই উত্তাল হয়৷ তার ওপর তপশিলী জাতি–উপজাতি অত্যাচার নিরোধক আইন (SC/ST Attrocity Act)-কে লঘু করার অভিযোগ যুক্ত হয়েছে৷ প্রাত্তন বিচারপতি আদর্শ গোয়েলের নিয়োগ সেই সমস্যাকে আরও বাড়িয়েছে৷ বিজেপিতেই এখন সবচেয়ে বেশি দলিত ও আদিবাসী সাংসদ রয়েছেন৷ তাঁরা প্রত্যেকেই চাপটা অনুভব করছেন৷ উদিত রাজের মতো কেউ কেউ প্রকাশ্যে ক্ষোভটা জানাচ্ছেন৷ অন্যরা প্রকাশ্যে ক্ষোভ না জানালেও দলের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন৷ উদিত রাজ যেমন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি দলিতদের কথা এ ভাবে বলতে পারছেন, এটা বিজেপির পক্ষে ভালো৷ এটা দলকে সাহায্য করছে৷ যদি সকলেই চুপ থাকতেন, তাতে দলের ক্ষতি হত৷ কংগ্রসের সময় দলিত নেতারা সরকারের কড়া সমালোচনা করতেন৷ তাই এত বছর ধরে দলিতরা কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছেন৷ তিনি বরং সেফটি ভালভের কাজ করেছেন৷ দলিতরা মনে করছেন, বিজেপিতে অন্তত একজন আছেন, যিনি তাঁদের জন্য লড়ছেন৷ দলও তাঁকে জায়গা দিচ্ছে৷ দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে না৷
কিন্তু এর পরই বিচারপতি গোয়েলকে নিয়ে উদিত রাজ বলেন, তাঁর মানসিকতাই দলিত-বিরোধী ও সংরক্ষণ-বিরোধী৷ তিনি এমন একটা পদে রয়েছেন, যেখানে থেকে তিনি ক্ষতি করতে পারবেন৷ জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুন্যালের প্রধান হিসাবে তিনি আদিবাসীদের ক্ষতি করতে পারেন৷ এই ধরনের ব্যক্তিকে গ্রিন ট্রাইবুন্যালের প্রধান হওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়৷
এই কথাগুলো নিঃসন্দেহে মোদী-শাহের পক্ষে অস্বস্তির কারণ। এভাবেই চাপ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদিতের মতন সরকারপন্থী দলিত নেতা মন্ত্রীরা৷
এই দিকে শিবসেনার পর এ বারে বিজেপির সঙ্গত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন রামবিলাস পাসোয়ানও। আর এনডিএ-শরিকদের অসন্তোষে সুরে মেলাল রাহুল গাঁধীর দলও। কয়েক দিন ধরেই রামবিলাস পাসোয়ানও দাবি করে আসছেন, তপশিলী জাতি–উপজাতি অত্যাচার নিরোধক আইন (SC/ST Attrocity Act) লঘু করা যাবে না। সরকারকে অধ্যাদেশ আনতে হবে। আর সুপ্রিম কোর্টের যে প্রাক্তন বিচারপতি আদর্শ গোয়েলের বেঞ্চ এই আইনকে লঘু করেছিলেন, অবসরের দিনই তাঁকে উপহার দেওয়া হয়েছিল জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান পদ। সেই পদ থেকেও তাঁকে সরাতে হবে। রামবিলাসের পুত্র চিরাগ ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অসন্তোষ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার দাবি না মানলে আগামী ৯ অগস্ট দলিতদের আন্দোলনে তাঁরাও সামিল হবেন। মানুষ ও সরকারের মধ্যে বাছতে হলে জনতার পাশেই থাকবেন।
সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস মন্তব্য করে, ‘‘যাক, সুমতি হয়েছে!’’ কংগ্রেসের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে দলিতদের অসন্তোষ নিয়ে লোকসভায় সরব হয়েছিলেন। গ্রিন ট্রাইবুনাল থেকে বিচারপতি আদর্শ গোয়েলের অপসারণও চেয়েছেন। শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে আগেই ‘একলা-চলো’র ঘোষণা করেছেন। অমিত শাহের মধ্যস্থতায়ও বরফ গলেনি। বরং অমিত শাহ এখন দলকে একা লড়ার প্রস্তুতি নিতে বলছেন।
সুত্র – আনন্দবাজার পত্রিকা ও এই সময়।

আদিবাসী উন্নয়ন ও আত্মপরিচয়।

লিখেছেন – এদেলশাঙ্কা হাঁসদা।
পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলে উদ্ভূত অদ্ভুত এক রাজনৈতিক সমীকরণ যা শাসকদল সহ কম বেশী যারা এই সব বিষয়ে মাথা ঘামান সকলেই বুঝতে পারছেন। খেরওয়াল সমাজে এই নিয়ে এক আলোড়ন চলছে। এই আলোড়নটা দরকার। বদ্ধ পুকুরের জল যেমন এক স্থানে থেকে পচে যায়, আগাছায় ভরে যায়, পাঁক জমে, তেমনেই মনে হয় যে কোনো সমাজ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কারণে তার নিজের দ্বারা সৃষ্টি গন্ডির মধ্য আবদ্ধ হয়ে থেকে থাকলেও তার মধ্যেও পঙ্কিলতার সৃষ্টি হয়। যদিও আমরা খেরওয়াল সমাজ তথা সাঁওতাল সমাজ কে বা সাঁওতালি ভাষাভাষী মানুষ দের এই ভাবে ভাবতে পারি না। কারণ গ্রামাঞ্চল ছেড়ে ছোট বড় নানান শহরে এখন অনেক সাঁওতালি ভাষাভাষী মানুষের বসবাস গড়ে উঠেছে যা একটা উন্নয়নের মাপকাঠি। পরিসংখ্যান ভিত্তিতে যদিও এর কোনো নথি নেই, যা এখন খুব দরকার। এর ফলে বলা যায় সাঁওতাল তথা খেরওয়াল সমাজ বরাবর পঙ্কিলতার মধ্যে আবদ্ধ থেকেছে বা নতূন কোনো ধারণা কে গ্রহন করেনি বা গ্লোবালাইজেশন এর প্রভাব এর উপর পড়ে নি তা কিন্তু নয়। কিন্তু এই আন্তর্জাতিকতার ঢেউয়ের মধ্যেও এতদিন খেরওয়াল সমাজ নিজেদের বৈশিষ্ট্য পরিচিতি আত্মপরিচয় কে এখনো পর্যন্ত বিলিয়ে দেয় নি, ভূলে যায় নি। কিন্তু ভারতবর্ষ যত বেশি আধুনিকতার দিকে যাচ্ছে, উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত দেশে হবার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে তত বেশি খেরওয়াল আত্মপরিচয় সংকুচিত হয়ে আসছে। সাঁওতাল আত্মপরিচয় ধীরে ধীরে বিলীয়মান। আজ শহরবাসী খেরওয়াল সাঁওতাল তার সত্তা কে ভুলে “মূল স্রোতে” মিশে যাবার পথে। সেই সুত্রে ধরে বরাবর, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিনবঙ্গে খেরওয়ালদের মধ্যে দুটি বিষয় সব সময় পরস্পরের বিপরীতে অবস্থান করেছে। এক উন্নয়ন, দুই আত্মপরিচয়।
স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উন্নয়নের যে রুপরেখা তা খেরওয়ালদের পরিচয় কে স্বীকার করে নয়, অস্বীকার করে। খেরওয়াল বৈশিষ্ট্য কে বজায় রেখে নয়, দলন করে অবজ্ঞা করে। ফলে উন্নয়নের যজ্ঞে সামিল হয়েও নিজেদের শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হবার সম্ভাবনা প্রবল ছিলো, যা এখন বাস্তবে দেখা দিচ্ছে। সেই কারনেই এই লেখাটি পর্যন্ত বাংলায় লিখতে হচ্ছে। যেখনে এটি সাঁওতালিতে লেখার কথা। কারন পশ্চিমবঙ্গের শহরাঞ্চলে নতুন প্রজন্মের সাঁওতালি যুবক যুবতীরা বর্তমানে সাঁওতালি ভাষার থেকেও বাংলা ভাষাতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। শহরাঞ্চলে অ-খেরওয়ালী জাতিয়তাবাদ এতো বেশি প্রকট যে খেরওয়াল জনগোষ্ঠী তাদের আত্মপরিচয়কেই হারিয়ে যেতে বসেছে। নিজের মাতৃভাষা আজ সাঁওতালি থেকে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া হয়েছে। ফলে নিজেদের আত্মপরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকার মতো মানসিক দৃড়তা হারিয়ে ফেলছে খেরওয়াল জনগোষ্ঠী। নিজেই এখন নিজের আসল পরিচয় কে ভয় পায়। যার ফলে খেরওয়াল আজ পরিচয়হীন।
সত্যি কথা বলতে খেরওয়াল তথা সাঁওতালরা “নিজের দেশ” এর সুযোগ সুবিধা ও মাহাত্ম্য এখনো বুঝতে পারে নি। নিজের “ভাষাভিত্তিক রাজ্যের” মর্ম খেরওয়াল সাঁওতাল বুঝতে এখনো পারেনি। অবশ্য ইতিহাস বলে যে, পশ্চিমবঙ্গে যখন ঝাড়খণ্ডী ভাবধারার আন্দোলন চলেছে ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠনের মাধ্যমে নিজস্ব সাংস্কৃতিক ও ভাষিক সত্বা কে পরিপূর্ণতার সঙ্গে বিকশিত করার জন্য; সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল CPI(M) এই ঝাড়খণ্ডী আন্দোলনের ঘোর বিরোধীতা করে। এবং এ কথা মনে রাখা দরকার CPI(M) সমর্থিত সাঁওতালরা তখন কিন্তু বেশ সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন। এই কথা পশ্চিমবঙ্গে বসে আমাদের বার বার স্মরণ করা উচিত। নিজেদের আত্মসমালোচনা করা উচিত। আজ আমরা কেন সেই সব মানুষদের কুম্ভীরাশ্রু দেখে বিগলিত হব? তারাই আজ এই ঝাড়খণ্ডী জাতিয়তাবাদী ভাবাবেগে তাদের রাজনৈতিক রুটি সেঁকতে ব্যস্ত।
পশ্চিমবঙ্গে খেরওয়াল সাঁওতালদের বর্তমানে যা পরিস্থিতি, এটি হবারেই ছিলো। যে জাতি নিজের স্বজাতির রাজ্যর মর্ম না বুঝে উন্নয়নের নেশায় লাল ঝান্ডা ধরে স্বজাতির বিরোধীতা করেছে সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ব এত সহজে হবে কি করে??
খেরওয়াল সাঁওতালদের ওপর বাঙালি হেজিমনিক প্রভাব যা এখন আরো বেশি মাত্রায় প্রকট হয়ে উঠছে তা ছিল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। বাম শাসন আমলে এই বিষয় গুলিকে দাবিয়ে রাখা হতো কারন তারা ছিলো অনেক চতুর ও এই সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রকাশের ঘোরতর বিরোধী। এখন তা ক্রমশ প্রকাশ্যে। কারন বর্তমান শাসক দল খেরওয়াল আদিবাসীদের সেই ভাবে Manipulation করতে পারে নি। অবাকের বিষয় এটাই যে দক্ষিণবঙ্গের সংস্কৃতি কখনোই বাঙ্গালী সংস্কৃতি নয়। এবং তা বুঝেও খেরওয়াল সাঁওতালদের তখন বুর্জোয়া প্রলেতারিয়েত এর গোলোক ধাঁধায় ঘুরিয়ে তাদের আত্মপরিচয়কেই অস্বীকার করা হয়েছে। তার ফল এখন ভুগতে হচ্ছে সাঁওতালদের।
আর ভুগতে হবেই। “কারণ বাংলায় যারা শাসন করেন (কংগ্রেস, বাম, বা তৃণমূল) তারা সাঁওতাল ও সাঁওতালি ভাষা কে করুণার চোখে দেখেন। যখন সাঁওতালি ভাষা সংবিধানের অষ্টম তফশিলে অন্তর্ভুক্ত হল তখন বামপন্থীরা জোরে জোরে প্রচার করলেন যে তাঁরা এই অন্তর্ভুক্তির পক্ষে লোকসভায় সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সাঁওতাল-মুন্ডারি-কুরুখ ভাষার প্রসারে তাঁদের ভূমিকা কতটুকু? একসময় তো তাঁরা দাবি করতেন যে তাঁরা ‘অলচিকি ভাষা’ কে স্বীকৃতি দিয়েছেন”(রাজনীতির এক জীবন: সন্তোষ রাণা) কিন্তু এখন তো আমরা বুঝতে পারছি যে তা ছিলো সম্পূর্ণ এক ভাঁওতাবাজি। এখনো একই ট্রাডিশন চলছে। শাসকের পরিবর্তন হয় কিন্তু শোষণের পরিবর্তন হয় না।
তাই সংবিধান স্বীকৃত ভাষা হওয়া সত্বেও সাঁওতালি ভাষার বিকাশ নেই। সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা নেই। এবং তা পাবার জন্য এখনো SI, DI অফিস ঘেরাও করতে হয়, তালা লাগাতে হয়। বর্তমানে মাঝি পারগানা মহল এই সমস্ত ঘেরাও কর্মসূচি গ্রহণ করেন। কিন্তু মহল থেকেও এই সমস্যার প্রকৃত প্রতিকার সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো ধারনা পাওয়া যায় না। আন্দোলনের রুপরেখা কি হবে, নির্দিষ্ট লক্ষ্য কি তা এখনো পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাছে ধোঁয়াশা পূর্ণ। এই মূহুর্তে সব থকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন খেরওয়াল সাঁওতাল কি ভাবছে তার ভবিষ্যত নিয়ে?? উন্নয়নের পাশাপাশি আত্মপরিচয় কি তারা বজায় রাখতে পারবে? উন্নয়নের ধরণ ও রুপরেখা কি হলে খেরওয়াল সাঁওতালদের আত্মপরিচয় জীবিত থাকবে??
সংরক্ষণের ললিপপ নিয়ে তারা উন্নতি করে সাঁওতালি ভাষা কৃষ্টি নিজের আত্মপরিচয় ভুলে শহুরে বাঙালি-সাঁওতাল এ পরিনত হবে না কি তারা তাদের ভাষাভিত্তিক সাংস্কৃতিক সত্তা কে বজায় রেখে নিজের আত্মপরিচয় বাঁচানোর জন্য লড়াই করবে?? প্রথম সম্ভাবনা টি ইতিমধ্যেই অনেকটাই সফল। কারন আজ সাঁওতাল নব্য প্রজন্ম তার সাঁওতালি ভাষা ভুলে যাচ্ছে। ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলা সংস্কৃতির আগ্রাসনে আজ তামাম সাঁওতাল বাঙালি হবার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে। যা সাঁওতালি ভাষা ও জাতির ক্ষেত্রে এক অভিশাপ বয়ে নিয়ে আসছে। এবং এই কাজ যাতে আরো সহজ হয় তাই Tribal ও Non- Tribal দের মধ্যে বিবাহ হলে সরকার থেকে ভর্তুকি টাকা দেবার ব্যবস্থা আছে। অর্থাৎ জাতিগত সত্তা কে মিশিয়ে দেবার প্রচেষ্টা আছে, ভাষিক বৈশিষ্ট্য কে দমন ও দলন করে চলা হচ্ছে কিন্তু এই সাঁওতালি ভাষা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। সামান্য প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতেও না। আর সাঁওতালি ভাষা পড়ানোর ক্ষেত্রে এতো আঞ্চলিকতা কেন?? বাংলা ভাষায় পড়ানো সমস্ত খেরওয়াল সাঁওতাল অঞ্চলে চলতে পারে কিন্তু সাঁওতালি ভাষায় পড়ানো পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতে পারে না। শুধু মাত্র সাঁওতাল অধ্যুষিত অঞ্চলেই পড়ানো হবে কেন? এ থেকে বোঝা যায় বর্তমান শাসক দল তো শুধু মাত্র তার পূর্বসূরির পদাঙ্ক অনুসরণ করছে।
এই চলমান বাস্তবতা কবে বুঝবে শিক্ষিত সাঁওতাল সম্প্রদায়?? এই বিচ্ছিন্নতা সুপ্ত আছে গভীর গোপনে। সাঁওতালি জাতিসত্তা ভুলতে বসা, ভাষা ভুলতে বসা, সংস্কৃতি ভুলতে বসা সেই সব সাঁওতালগণ, সচেতন হও। এগিয়ে আসুন। জাতিয়তাবাদের জন্ম হয় নিজের মাতৃভাষা থেকে। সংস্কৃতি থেকে। আত্মপরিচয় হীন মানুষের উন্নয়ন হলেও তার অস্তিত্ব বিপন্ন হয়। উন্নয়নের ডঙ্কা বাজিয়ে CPI(M) একবার সাঁওতালদের আত্মপরিচয়ের অধিকার কে ধ্বংস করেছে এখনো সেই একি লাইনে শাসকদল চলেছে।
পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান শাসক দল খেরওয়াল আদিবাসীদের প্রতি একটি স্টিরোটাইপ ধারণা পোষন করে চলেছে যা বামপন্থী আমলের তৈরী করা। সাঁওতাল মানেই 2 টাকা কেজি চাল খেয়ে বেঁচে থাকা মানুষ, সাঁওতাল মানেই পূব খাটা (নামাল খাটা) সস্তা লেবার। সাঁওতাল মানেই “মহুলিয়া ভাকু খাইয়ে” পড়ে থাকা মানুষ। এদের ভাষা সংস্কৃতি ও জাতিয়তাবাদের কোনো মূল্য নেই। যদিও নাম মাত্র ভাষা স্বীকৃতি বর্তমান সরকারেরই দেন কিন্তু তার প্রয়োগ বিশ বাঁও জলে।
খেরওয়াল সাঁওতাল জাতীয়তাবাদ ধ্বংসের মূলে আমরা সাঁওতালরাই আগে থেকেই আগে আগে। আবার বলি, এই প্রবণতার শুরু সেই বামফ্রন্ট আমলে। কারণ,”1986 সালে যখন দক্ষিণ বিহার, পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চল, উড়িষ্যার কয়েকটি জেলা এবং মধ্যপ্রদেশের কিছু জেলা নিয়ে পৃথক ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠনের আন্দোলন শুরু হয়, তখন পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ক্ষমতায় আসীন বামপন্থীরা বিশেষত CPI(M) তীব্রভাবে বিরোধীতা করে। তারা এই আন্দোলনকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে নিন্দা করে। যে এলাকাগুলি নিয়ে এই ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠনের আন্দোলন চলছিল সেই আদিবাসী প্রধান এলাকাগুলিতে ছিল একটি সাধারণ সংস্কৃতি যা বাংলা, বিহার উড়িষ্যা বা মধ্যপ্রদেশের সংস্কৃতি থেকে আলাদা। পৃথক রাজ্য গঠিত হলেই যে ওই পশ্চাদপদ এলাকার সব সমস্যা সমাধান হয়ে যেত তা নয়, কিন্তু ভারতের গণতন্ত্রের প্রসারের জন্য এই পদক্ষেপ কাঙ্খিত ছিল। যে কারণে 1958 সালে বাঙালিরা বাংলা-বিহার সংযুক্তিকরণের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন, সেই একি কারণে ঝাড়খণ্ড সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের মানুষেরা আলাদা রাজ্য চাইছিলেন।”(রাজনীতির এক জীবন: সন্তোষ রাণা)
ঝাড়খণ্ডী মানসিকতা, ঝাড়খণ্ডী ভাবধারাই একমাত্র পথ যা খেরওয়াল সাঁওতালদের উন্নয়ন ও অস্তিত্ব দুটোকেই বজায় রাখতে পারবে। এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে ঝাড়খণ্ডী ভাবধারা কি? এককথায় ঝাড়খণ্ডী ভাবধারা হলো নিজের আত্মপরিচয়ের বহিঃপ্রকাশ। ঝাড়খণ্ডী ভাবধারা হলো ঝাড়খণ্ডী জাতিয়তাবাদ। খেরওয়াল সাঁওতাল জাতীয়তাবাদ। জাহের থানে বঙ্গা বুরু প্রার্থনাকারী জাতির জাতীয়তাবাদ। যা আজ পশ্চিমবঙ্গে বিলীন।
সুতরাং খেরওয়াল সাঁওতাল ভাবো এখন। কি করবে? মাতৃভাষায় শিক্ষা যে মুখের মোয়া নয় এবং সেই পূরানো আপ্ত বাক্য “Land less culture does not survive” তা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন তো ?? শরশয্যায় শায়িত খেরওয়াল সাঁওতালের পশ্চিমবঙ্গে ভবিষ্যত কি, কেউ জানেনা।
তাই এখন দাবাং ঝাড়খণ্ডী ভাবধারার আন্দোলন না হলে খেরওয়াল সাঁওতালদের আত্মপরিচয় বিস্তৃতির অতলে তলিয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান জেলার মতো জঙ্গলমহলেও সাঁওতাল হারিয়ে যাবে। সেই সময় প্রায় আগত। কারণ খেরওয়াল সাঁওতালদের পাশাপাশি বসবাসরত অপর একটি জনগোষ্ঠী তফশিলি উপজাতির পরিচয় পেতে হন্যে হয়ে আছে এবং তা যদি সফল হয় তাহলে সাঁওতাল জাতি কে খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজার মতো খুঁজতে হবে।
ডিসক্লেমার: লেখকের মতামত সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত।

বীরভূম জেলার সিউড়িতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাজাল এর নামে মেলা

 বীরভূম জেলার সিউড়ির বড়বাগানের আব্দারপুর ফুটবল ময়দানে আয়োজিত হতে চলেছে ‘বীরবান্টা বাজাল মেলা-২০১৯’। ১৯শে জানুয়ারি এই মেলা আয়োজিত...