SANTHALDISHOM(সানতাল দিশোম): 04/10/19

Wednesday 10 April 2019

Sohrai The Harvesting Festival Of Santhals

Sohrai Harvesting Festival

Sohrai ( ᱥᱚᱦᱨᱟᱤ ᱯᱟᱨᱟᱵ ) is the principal and the most important public event of the Santals; it is also the largest of the festivals. Sohrai is usually celebrated in the month of Pous (December-January) when the paddy has been reaped, thrashed and stored.

During the Sohrai the village spirits and the ancestor spirits are worshipped and thanked; the rituals include sacrificing of fowls.

Sohrai Harvesting Festival Of Santhals House Art Painting
Sohrai Harvesting Festival Of Santhals House Art Painting

Sohrai celebrations usually continue for six days - each day having special activities. The important and the usual components of Sohrai festival include blessing and baiting of cattle (gai-dangra sunum ojok'ar charhao) fishing expedition (hako-katkom) and a village hunt (Sendra).

Sohrai Harvesting Festival Of Santhals Santali Dance

Sohrai is the biggest annual event for the Santals to relax and enjoy. During this period the married daughters return to their houses and relatives from other villages also come with gifts. It is the biggest community celebration during which the whole community eat and drink, dance and sing and make merry.

Sohrai Harvesting Festival Of Santhals Santali Worship

This is the occasion for the great communion whereby the whole villagers with their relatives along with the ancestors and the spirits come together to join in the merriest of festivities.

Santhali Sohrai Harvesting Festival Of Santhals

পার্বতীপুরে বাহা পরব উৎসব শালফুলে সেজেছে সাঁওতাল মেয়েরা

শালফুলে সেজেছে সাঁওতাল মেয়েরা

পার্বতীপুর (দিনাজপুর)
''বাইরে থেকে মিষ্টিসুরে আওয়াজ এল, 'বাবু, ডেকেছিস কেনে।'/বেরিয়ে এসে দেখি ক্যামেলিয়া/ সাঁওতাল মেয়ের কানে,/ কালো গালের উপর আলো করেছে।" সাঁওতাল মেয়েকে নিয়ে এমন মধুর বর্ণনা পাওয়া যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ক্যামেলিয়া' কাব্যে। এবার সেই সাঁওতাল মেয়েরা সেজেছেন শালফুলের সাজে। পার্বতীপুরের চন্ডিপুর ইউনিয়নের বারকোনা কলম সরেন-আলমা সরেন মাঠে গতকাল শুক্রবার শুরু হয়েছে সাঁওতালদের দুই দিনব্যাপী বাহা পরব উৎসব। উৎসবের প্রথম দিন সাঁওতাল মেয়েদের এমন বাহারি সাজে দেখা মিলল। তবে উৎসবের আগে সাঁওতালরা শিকারে যান না; ফুলের মধুও পান করেন না। এমনকি মেয়েরা শালফুল মাথায় দেন না। সাঁওতালদের সেই পুরনো জৌলুস ফিরিয়ে আনতেই এ উৎসব। ভারতসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আদিবাসী সাঁওতালসহ নানা সম্প্রদায়ের হাজারো মানুষ এসেছেন উৎসবে।

ফাল্কগ্দুন মাসের পূর্ণিমা তিথির পর সাঁওতালরা তাদের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব পালন করে থাকে। বাহা পর্বের প্রথম দিনকে বলা হয় উম আর দ্বিতীয় দিনকে বলা হয় বাহা সারদী। বাহা পর্বের জন্য নির্দিষ্ট পূজার স্থান তৈরি করা হয়, যাকে বলে জাহের থান। গ্রামের নাইকে অর্থাৎ পুরোহিত সাদা ধূতি পরে যান পূজার ঘরে। নাইকে হাতে কাঁসার থালায় সিঁদুর, কলা, ধূপ, শালফুলসহ নতুন নতুন ফুল। সেখান থেকে নাইকে পূজা করে গ্রামে ফিরে আসেন। পূজা শেষে গ্রামের ছেলেরা যান শিকারে। ফিরে আসেন সন্ধ্যার আগে। এর পর নাইকের বাড়িতে জমায়েত হন। সেখানে নেচে-গেয়ে মেতে ওঠেন তারা। এ সময় সাঁওতালের তিন দেবতা জাহের এঁরা (গ্রামের দেবী), মারাঙবুরু ( প্রধান দেবতা), পারগানা বঙ্গা (এলাকার দেবতা) তিন যুবকের ওপর ভর করেন। জাহের এঁরা পুরোহিতের কাছে সাকম (হাতের বালা) দাবি করেন। মারাঙবারু তীর-ধনুক এবং পারগানা বঙ্গা ডালি ও ঝাড়ূ দাবি করেন। এর পর সবাই মিলে পূজার স্থানে চলে যান। সেখানে সবাই মিলে গান ধরেন। গানে তারা তিন দেবতার কাছে গ্রামের মানুষের সুখ-শান্তি কামনা করেন। রোগ-শোক দূর এবং বৃষ্টি-বাদলে জমির ফসল যাতে ভালো হয় এই কামনা করে দেবতাদের বিদায় জানানো হয়। এরপর চলে গাছে গাছে নতুন ফুল ফোটার গান ও নাচ।

উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বাসন্তী মুরমুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য দেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানুল হক, গ্রামবিকাশ কেন্দ্রের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, গবেষক ও কথাসাহিত্যিক ড. মাসুদুল হক, আমজাদ হোসেন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন ও সাধারণ সম্পাদক সবিন চন্দ্র মুন্ডা। প্রথম দিনের বাহা উম অনুষ্ঠানে ভারতের রথিন কিসকু, ডগর টুডু, বিজলী মুরমু, রামেশ্বর 

মুরমু ও তার দলের পরিবেশনায় সাঁওতালি এবং বাউল শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেন, বর্তমান সরকার আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। এ দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।

প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সমতলের আদিবাসীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আদিবাসী তরুণ-তরুণীরা শিক্ষায় এগিয়ে গেছে। বিভিন্ন চাকরিতে তাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। 

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন বলেন, আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে ভূমি কমিশন, পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনসহ আদিবাসী গ্রামগুলোতে মন্দির নির্মাণ করে দিতে হবে। 

এর আগে অতিথিরা মেলায় পৌঁছলে আদিবাসী তরুণীরা তাদের নিজস্ব বাজনার তালে তালে নৃত্যের মাধ্যমে স্বাগত জানিয়ে কানে শাল ফুল পরিয়ে দেন। অতিথিরা জাহের থান পূজাও পরিদর্শন করেন। উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার মেলায় অতিথি হিসেবে আসবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল।

আদিবাসীরা ভারতবর্ষের আসল নাগরিক:: প্রথম অংশ


 পৃথিবীতে পুঁজিবাদী শাসন ব্যবস্থা তথা জমিদারের শাসন ব্যবস্থা ধ্বংস করে কমিউনিস্টরা শ্রমজীবী মানুষদের জন্য বিপ্লব করেছিলেন। বিখ্যাত কমিউনিস্ট নেতাদের মতে শ্রমজীবী মানুষদের জয় গান এবং লড়াইয়ের জন্য বিশ্ব পৃথিবীতে সভ্যতার বিজয় রথ এগিয়ে চলেছে। আমরা শিক্ষানিবেশ ব্যক্তিরা যদি কমিউনিস্টদের রীতিমতো চুলচেরা বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখতে পারবো ভারতবর্ষের আসল নাগরিক আদিবাসিরা়ই।

প্রাচীন যুগের ভারত বর্ষ বর্তমানে ভারতবর্ষের মতো অবস্থায় কোন দিনই ছিল না। প্রাচীন যুগের কিংবা বৈদিক যুগে ভারতবর্ষের সমস্ত প্রান্তে জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। ভারতবর্ষের আদি জনগোষ্ঠীর মানুষগন জঙ্গল কেটে অনেক জমিকে চাষযোগ্য জমিতে রূপান্তরিত করে এবং আদিবাসী গ্রামগুলোতে চাষ আবাদ পশুপালন প্রভৃতি কার্য বৈদিক যুগের থেকে প্রচলন হয়ে আসছে।

 উপনিবেশিক ইংরেজরাও আদিবাসীদের পশুর মত অত্যাচার করে জঙ্গল কেটে রেললাইন ও অন্যান্য যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য সড়ক কিংবা রাস্তা নির্মাণ করেন। বর্তমান যুগে অর্থাৎ বিশ্বায়ন যুগে আদিবাসীরাই কারখানাতে, কৃষিকার্য বড় বড় অট্টালিকা এবং বড় বড় ইমারৎ নির্মাণে, রাস্তা নির্মাণে, ইটভাটাতে নতুন রেললাইন নির্মাণে কয়লা খনিতে

অর্থাৎ প্রায় সমস্ত স্থানে আদিবাসী মানুষেরা পশুর মতন পরিশ্রম করে ভারত বর্ষ নামক দেশকে ঝলমল করে তুলেছে আজ আদিবাসীরা অনাহারে, অভুক্ত অবস্থায় থেকে দেশের শ্রীবৃদ্ধিতে প্রাণপাত করে চলেছে। আদিবাসীরা আজ দেশের উন্নতির স্বার্থে নিজেদেরকে সঁপে দিয়েছেন। আদিবাসী মানুষদের পরিশ্রমের বিরাম নেই তবু আদিবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন না।

ভারতবর্ষের আসল নাগরিক আদিবাসীরা হওয়া সত্বেও তাদের নিত্যদিন লাঞ্ছনা অপমান ও আদিবাসীদের উপর পাশবিক অত্যাচার হচ্ছে। ভারতবর্ষের অন্যান্য সম্প্রদায় অর্থাৎ ব্রাহ্মণ বাদীরা আদিবাসীদের উপর পশুর থেকেও নির্মম অত্যাচার করছেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের অগ্রগতির ক্ষেত্রে আদিবাসী শ্রমিকদের অবদান সব থেকে বেশি। ঝাড়খন্ড উড়িষ্যা ও ছত্রিশগড় রাজ্যের আকার-আকৃতি সমতল নয় কোথাও পাহাড় কোথাও ঢালু অনুর্বর জমি শস্য শ্যামলা হতে পারছে।

আদিবাসী শ্রমিকদের জন্যই ঝাড়খন্ড উড়িষ্যা ছত্রিশগড়ের বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ সংগ্রহ করতে পারছে। আদিবাসী শ্রমিকরা স্বল্প বেতনে পুঁজিপতিদের কারবারকে ক্রমশঃ  ঊর্ধ্বমুখী করে চলেছে। আদিবাসী শ্রমিকরা চালক ও বেমান নয় বলে পুঁজিবাদীরা ছলনা করে অত্যাধিক পরিশ্রম করাচ্ছে। আদিবাসী শ্রমিকরা কৃষিকার্যে পটু হওয়ার জন্য ভারতবর্ষের কৃষি প্রধান রাজ্যগুলির সিংহভাগ শ্রমিকই আদিবাসী যেমন পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান হুগলি নদীয়া হাওড়া ও পাঞ্জাব বিহার  উত্তর প্রদেশের অনেক স্থানে।.     (দ্বিতীয় অংশের জন্য অপেক্ষা করুন)

বীরভূম জেলার সিউড়িতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাজাল এর নামে মেলা

 বীরভূম জেলার সিউড়ির বড়বাগানের আব্দারপুর ফুটবল ময়দানে আয়োজিত হতে চলেছে ‘বীরবান্টা বাজাল মেলা-২০১৯’। ১৯শে জানুয়ারি এই মেলা আয়োজিত...