SANTHALDISHOM(সানতাল দিশোম): আদিবাসীরা ভারতবর্ষের আসল নাগরিক:: প্রথম অংশ

Wednesday 10 April 2019

আদিবাসীরা ভারতবর্ষের আসল নাগরিক:: প্রথম অংশ


 পৃথিবীতে পুঁজিবাদী শাসন ব্যবস্থা তথা জমিদারের শাসন ব্যবস্থা ধ্বংস করে কমিউনিস্টরা শ্রমজীবী মানুষদের জন্য বিপ্লব করেছিলেন। বিখ্যাত কমিউনিস্ট নেতাদের মতে শ্রমজীবী মানুষদের জয় গান এবং লড়াইয়ের জন্য বিশ্ব পৃথিবীতে সভ্যতার বিজয় রথ এগিয়ে চলেছে। আমরা শিক্ষানিবেশ ব্যক্তিরা যদি কমিউনিস্টদের রীতিমতো চুলচেরা বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখতে পারবো ভারতবর্ষের আসল নাগরিক আদিবাসিরা়ই।

প্রাচীন যুগের ভারত বর্ষ বর্তমানে ভারতবর্ষের মতো অবস্থায় কোন দিনই ছিল না। প্রাচীন যুগের কিংবা বৈদিক যুগে ভারতবর্ষের সমস্ত প্রান্তে জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। ভারতবর্ষের আদি জনগোষ্ঠীর মানুষগন জঙ্গল কেটে অনেক জমিকে চাষযোগ্য জমিতে রূপান্তরিত করে এবং আদিবাসী গ্রামগুলোতে চাষ আবাদ পশুপালন প্রভৃতি কার্য বৈদিক যুগের থেকে প্রচলন হয়ে আসছে।

 উপনিবেশিক ইংরেজরাও আদিবাসীদের পশুর মত অত্যাচার করে জঙ্গল কেটে রেললাইন ও অন্যান্য যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য সড়ক কিংবা রাস্তা নির্মাণ করেন। বর্তমান যুগে অর্থাৎ বিশ্বায়ন যুগে আদিবাসীরাই কারখানাতে, কৃষিকার্য বড় বড় অট্টালিকা এবং বড় বড় ইমারৎ নির্মাণে, রাস্তা নির্মাণে, ইটভাটাতে নতুন রেললাইন নির্মাণে কয়লা খনিতে

অর্থাৎ প্রায় সমস্ত স্থানে আদিবাসী মানুষেরা পশুর মতন পরিশ্রম করে ভারত বর্ষ নামক দেশকে ঝলমল করে তুলেছে আজ আদিবাসীরা অনাহারে, অভুক্ত অবস্থায় থেকে দেশের শ্রীবৃদ্ধিতে প্রাণপাত করে চলেছে। আদিবাসীরা আজ দেশের উন্নতির স্বার্থে নিজেদেরকে সঁপে দিয়েছেন। আদিবাসী মানুষদের পরিশ্রমের বিরাম নেই তবু আদিবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন না।

ভারতবর্ষের আসল নাগরিক আদিবাসীরা হওয়া সত্বেও তাদের নিত্যদিন লাঞ্ছনা অপমান ও আদিবাসীদের উপর পাশবিক অত্যাচার হচ্ছে। ভারতবর্ষের অন্যান্য সম্প্রদায় অর্থাৎ ব্রাহ্মণ বাদীরা আদিবাসীদের উপর পশুর থেকেও নির্মম অত্যাচার করছেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের অগ্রগতির ক্ষেত্রে আদিবাসী শ্রমিকদের অবদান সব থেকে বেশি। ঝাড়খন্ড উড়িষ্যা ও ছত্রিশগড় রাজ্যের আকার-আকৃতি সমতল নয় কোথাও পাহাড় কোথাও ঢালু অনুর্বর জমি শস্য শ্যামলা হতে পারছে।

আদিবাসী শ্রমিকদের জন্যই ঝাড়খন্ড উড়িষ্যা ছত্রিশগড়ের বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ সংগ্রহ করতে পারছে। আদিবাসী শ্রমিকরা স্বল্প বেতনে পুঁজিপতিদের কারবারকে ক্রমশঃ  ঊর্ধ্বমুখী করে চলেছে। আদিবাসী শ্রমিকরা চালক ও বেমান নয় বলে পুঁজিবাদীরা ছলনা করে অত্যাধিক পরিশ্রম করাচ্ছে। আদিবাসী শ্রমিকরা কৃষিকার্যে পটু হওয়ার জন্য ভারতবর্ষের কৃষি প্রধান রাজ্যগুলির সিংহভাগ শ্রমিকই আদিবাসী যেমন পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান হুগলি নদীয়া হাওড়া ও পাঞ্জাব বিহার  উত্তর প্রদেশের অনেক স্থানে।.     (দ্বিতীয় অংশের জন্য অপেক্ষা করুন)

No comments:

Post a Comment

বীরভূম জেলার সিউড়িতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাজাল এর নামে মেলা

 বীরভূম জেলার সিউড়ির বড়বাগানের আব্দারপুর ফুটবল ময়দানে আয়োজিত হতে চলেছে ‘বীরবান্টা বাজাল মেলা-২০১৯’। ১৯শে জানুয়ারি এই মেলা আয়োজিত...