SANTHALDISHOM(সানতাল দিশোম): 09/07/18

Friday 7 September 2018

অন্য রাজ্যে সংরক্ষণের সুবিধে পাবেন না SC, ST ও OBC রা, জানাল সুপ্রিম কোর্ট।

অন্য রাজ্যে সংরক্ষণের সুবিধে পাবেন না তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণীভুক্তরা, জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এক রাজ্যের দলিত, আদিবাসী কিংবা অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত ব্যক্তি পড়াশুনো বা চাকরির জন্য অন্য রাজ্যে গেলে সেখানে সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন না৷ ব্যতিক্রম শুধু দিল্লি৷ গত বৃহস্পতিবার ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ এমনই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, জাতিভিত্তিক সংরক্ষণের সুবিধা শুধুমাত্র নিজের রাজ্যতেই পাওয়া যাবে। উদাহরণ হিসেবে বিচারপতিরা বলেছেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশের কোনও তফশিলি জাতি-উপজাতি, দলিত বা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ যদি মহারাষ্ট্রে গিয়ে সংরক্ষণের দাবি জানান, তা হলে ওই রাজ্যের বাসিন্দাদের সংরক্ষণের সুযোগ কমে যাবে।’তাই একটি রাজ্যের দলিত, আদিবাসী, অনগ্রসররা শুধুমাত্র সেই রাজ্যেরই সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন৷ আদালতের বক্তব্য, এমনটা না হলে অরাজকতা দেখা দেবে৷ তবে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে এই রায় নিয়ে সম্পূর্ণ মতৈক্য হয়নি৷ বিচারপতি ভানুমতির মত ছিল, দিল্লিকে ব্যতিক্রম হিসেবে ধার্য করা ঠিক হয়নি।
বিচারপতি গগৈয়ের লেখা ১৬৩ পাতার রায়ে সবিস্তারে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন তাঁরা এক রাজ্যের মানুষকে অন্য রাজ্যের সংরক্ষণ থেকে দূরে রাখতে চাইছেন। রায়ে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের ৩৪১ ও ৩৪২ নম্বর ধারার ক্ষমতাবলে তৈরি তফশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের তালিকায় রদবদল একমাত্র সংসদই করতে পারে। সংবিধানের ১৬(৪) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির আদেশানুসারে তফশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রটি শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভৌগোলিক গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে৷ কোনও রাজ্য যদি এই নিয়মকে অন্য রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করতে চায়, তা হলে তাকে সংসদের অনুমতি নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হবে। অন্যথায় অরাজকতা তৈরি হবে।’

ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস।

ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস, সভাপতি রেখা সরেন ও সহ-সভাপতি সুবোধ টুডু নির্বাচিত। গত বুধবার ০৫/০৯/২০১৮ ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস। দ্বিতীয়বারের জন্য সভাপতি পুনঃনির্বাচিত হলেন রেখা সরেন। সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন সুবোধ টুডু।
ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ৩০টি। ১৮টি আসনে তৃণমূল ও ১২টি আসনে বিজেপি জয়ী হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে তৃণমূলেই বোর্ড গঠন করল। ভোটাভুটিতে রেখা সরেন সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন সুবোধ টুডু। সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনের পর আবির খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মীরা। দুই বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা ও চূড়ামণি মাহাত উপস্থিত থেকে নতুন বোর্ডকে সংর্বধনা জানান। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক সুকুমারবাবু বলেন, জঙ্গলমহলের মানুষ তৃণমূলের পক্ষেই রয়েছে। দ্বিতীয়বার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পরে রেখাদেবী বলেন, ব্লকের এখনও যে সমস্ত অবহেলিত মানুষ রয়েছেন, তাঁদের কাছে যাব। বিশেষ করে প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রামগুলিতে গিয়ে মানুষের জন্য আরও কাজ করব।

পুরুলিয়ার মানবাজারে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক জাতীয় পুরস্কারে পুরস্কৃত।

এবার এই রাজ্য থেকে ৫ সেপ্টেম্বর  শিক্ষক দিবসে জাতীয় শিক্ষকের সম্মানের জন্য নির্বাচিত হলেন পুরুলিয়ার আদিবাসী অধ্যুষিত মানবাজার এক নম্বর ব্লকের গোবিন্দপুর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র। এই রাজ্যে তিনিই একমাত্র শিক্ষক, যাকে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এই সম্মানের জন্য বেছে নিয়েছেন। গোটা দেশ থেকে এবার এই সন্মান পাচ্ছেন ৪৫ জন শিক্ষক–শিক্ষিকা। সেই তালিকায় পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত এলাকার এই শিক্ষকের নাম নির্বাচিত হতেই খুশি জেলার শিক্ষক মহল থেকে শিক্ষা অনুরাগীরা। মানবাজারের গোবিন্দপুর প্রাথমিক স্কুল গোটা দেশের কাছে পরিচিত। স্কুলকে নির্মল বিদ্যালয়, শিশু মিত্র, যামিনী রায়, রাজ্য সেরা বিদ্যালয় ও দেশের সেরা সম্মান স্বচ্ছ বিদ্যালয়ের পুরস্কার এনে দেওয়া ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র এবার নিজে পাচ্ছেন শিক্ষকতার সেরা সম্মান রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। গত রবিবার ০২/০৯/২০১৮ পুরস্কার নিতে দিল্লি রওনা হয়েছিলেন তিনি। যাওয়ার আগে তিনি বলেন, ‘‌স্কুলের জন্য প্রায় সব পুরস্কার এনেছি। এবার নিজে শিক্ষকতার সেরা সন্মান নিতে যাচ্ছি। খুব ভাল লাগছে। যে কোনও শিক্ষকের কাছে এই সম্মান জীবনের সেরা সম্মান।’‌ তিনি আরও বলেন, ‘‌রাজ্য থেকে আমি একা এই পুরস্কার পাচ্ছি। সত্যি ভাল লাগছে। কারণ আমি না পেলে খুব খারাপ লাগত, কারণ রাজ্য থেকে আর কেউ পুরস্কারপ্রাপকদের মধ্যে নেই।’‌ দেশে এমন রাজ্য অনেক আছে, যে সব রাজ্য থেকে একজনও এবার এই পুরস্কার পাচ্ছেন না। পুরুলিয়ার জেলাশাসক অলোকেশপ্রসাদ রায় বলেছেন, ‘‌এটা আমাদের কাছে আনন্দের বিষয়। রাজ্য থেকে একমাত্র অমিতাভবাবুই এই সম্মান পাচ্ছেন। তাঁর এই কৃতিত্বে আমরা গর্বিত।’‌
অমিতাভবাবু পুরুলিয়ার গোবিন্দপুর স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ২০০৬ সালে। তখন কয়েকজন পড়ুয়াকে নিয়ে স্কুল ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। আজ স্কুল দেখলে মনে হবে বিদেশের কোনও অত্যাধুনিক একটি স্কুল। বর্তমানে এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১১৮ জন। আদিবাসী অধ্যুসিত গ্রামে স্কুলের পড়ুয়াদের দেখলে যে কেউ অবাক হয়ে যাবেন। স্কুলের চেহারা বদলে দেওয়া শিক্ষককেই এবার দেওয়া হচ্ছে শিক্ষকতার সেরা সম্মান। স্থানীয় বাসিন্দা সমাজসেবী মনোজ মুখার্জি বলেন, ‘‌অমিতাভবাবুর জন্য ওই এলাকায় শিক্ষায় একটা বিশাল পরিবর্তন এসেছে। তাঁর স্কুল দেখলে যে কেউই মুগ্ধ হয়ে যাবেন।’‌
গত বুধবার ০৫ ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ জাতীয় শিক্ষক দিবসে নয়াদিল্লির বিজ্ঞানভবনে উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। ছিলেন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর প্রমুখ। এ দিন সম্মানিত হওয়া শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাতে পঞ্চাশ হাজার টাকা, রৌপ্য পদক ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।
আগের দিন মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বার জাতীয় শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত দেশের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষকদের সঙ্গে মিলিত হন। প্রধানমন্ত্রী অমিতাভ মিশ্রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর সঙ্গে তোলা ছবি টুইট করেন। তিনি টুইটে লেখেন —‘‘বাসিন্দাদের উৎসাহীত করে তিনি স্কুলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছেন। তিনি প্রান্তিক এলাকার পড়ুয়াদের ক্লাসের পরে, এমনকী ছুটির দিনেও পড়ান শুনে খুশি হয়েছি।’’
বস্তুত, মানবাজার ১ ব্লকের এই স্কুল ইতিপূর্বেই নির্মল বিদ্যালয়, যামিনী রায় পুরস্কার, শিশুমিত্র পুরস্কার প্রভৃতি স্বীকৃতি পেয়েছে। এ বার তাই মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতাভবাবুকে জাতীয় শিক্ষকের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা শোনার পর থেকেই উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে এলাকায়। এ দিন সম্মানপ্রাপ্তির পরে নয়াদিল্লি থেকে তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার আমরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এক চা চক্রে মিলিত হয়েছিলাম। সেখানে অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলেন। আমাদের স্কুলে আদিবাসী পড়ুয়া কত জন, তাদের কী ভাবে পাঠ দেওয়া হয়, এই সব বিষয়ে জানতে চান তিনি। পরে পিছিয়ে থাকা জনজাতির পড়ুয়াদের আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।’’
মানবাজার শহর থেকে তিন কিমি দূরে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় স্কুলটি অবস্থিত। পড়ুয়ার সংখ্যা ১১৮। প্রধান শিক্ষক ও দুই শিক্ষিকা রয়েছেন স্কুলে। পড়ুয়াদের ৯৫ শতাংশ আদিবাসী। মন্দির ও আশ্রমের মিশেলে স্কুলটি গড়া হয়েছে। স্কুলে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্যে দূরবীন থেকে সৌর শক্তির বিদ্যুতের ব্যবস্থা, পরিশোধিত পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে পাখিরালয় পর্যন্ত রয়েছে। স্কুল-পত্রিকা রয়েছে। সেখানে নিয়মিত কচিকাঁচাদের লেখা প্রকাশিত হয়। পড়ুয়ারাই বাড়িতে শৌচালয় গড়া, খাবার আগে হাত ধোয়ার কথা বলে গ্রামেও পরিবর্তন এনেছে। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে অমিতাভবাবু বলেন, ‘‘এই স্বীকৃতি শুধু আমার নয়, স্কুলের সব শিক্ষক, পড়ুয়াদেরও। সবাই মিলে আমরা স্কুলের সঙ্গে এলাকার পরিবর্তনের কাজ করে যাচ্ছি।’’

SC/ST অত্যাচার নিরোধক আইন পুনরায় কঠোর করার বিরুদ্ধে ০৬/০৯/২০১৮ ভারত বনধ।


SC/ST অত্যাচার নিরোধক আইন পুনরায় কঠোর করার বিরুদ্ধে ০৬ ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ ভারত বনধ পালন উচ্চবর্ণদের সংগঠনগুলির।
তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি অত্যাচার নিরোধক আইন, ১৯৮৯ বা The Scheduled Castes And The Scheduled Tribes (Prevention Of Atrocities) Act, 1989 পুনরায় সংশোধন করে পূর্বকার অবস্থায় ফিরিয়ে আনার বিরুদ্ধে গত ৬ ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ ভারত বন ধের ডাক দিয়েছিল উচ্চবর্ণদের কয়েকটি সংগঠন। এই সংশোধনীর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চালাল উচ্চবর্ণের একাধিক সংগঠন। উচ্চবর্ণ সংগঠনগুলির ডাকা ভারত বন্‌ধে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান-সহ একাধিক রাজ্যে গোলমাল ছড়ায়। ভোটের আগে উচ্চবর্ণের এই বিক্ষোভ চিন্তা বাড়িয়েছে বিজেপির।
মধ্যপ্রদেশ, বিহার, উত্তরপ্রদেশের নানা জায়গায় টায়ার, কুশপুতুল পোড়ানো হয়। রেল অবরোধ হয়। বহু জায়গায় ক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নেতারা। মার খান বিহারের সাংসদ পাপ্পু যাদব। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রেও বিক্ষিপ্ত গোলমাল হয়। রাজস্থানে তিন ধর্মঘটী গ্রেফতার হন।
সব চেয়ে বেশি অশান্তি হয়েছে বিহারে। জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকান। রেললাইন অবরোধ করা হয়। মুজফ্‌ফরপুরে হেনস্থার মুখে পড়েন জন অধিকারী পার্টির প্রধান ও বিহারের সাংসদ রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব। গুরুতর জখম পাপ্পু বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন, ‘‘ওরা জাত জানতে চাইল। মুখ খুলতেই মার।’’ পটনায় বিহার বিজেপির সদর দফতরও ঘেরা হয়।
মধ্যপ্রদেশে কিছু দিন ধরেই মোরেনা, ভিন্দ, গ্বালিয়র, মন্দসৌর প্রভৃতি জায়গায় বিক্ষোভ চলছিল। আগেই কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি হয়। মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ছিল উত্তরপ্রদেশ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানান, এই ভারত বন্‌ধের মানে নেই। সংশোধিত আইনের যাতে অপব্যবহার না হয়, খেয়াল রাখবে তাঁর সরকার। জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান রামশঙ্কর কাঠেরিয়ার অভিযোগ, একটি বিশেষ গোষ্ঠী একই সঙ্গে তফশিলি ও উচ্চবর্ণের আন্দোলনে ইন্ধন দিয়ে আখেরে বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
মধ্যপ্রদেশজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি। মোতায়েন রয়েছে ৩৪ কোম্পানি নিরাপত্তাবাহিনী এবং ৫০০০ নিরাপত্তাকর্মী। স্থগিত ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবা। বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশে বন্ধ দোকানপাট, স্কুল, কলেজ সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও বিক্ষোভ দেখান শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা। ভোপালে পেট্রোল পাম্পগুলি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা রাখার কথা জানানো হয়েছে পাম্প কর্তৃপক্ষের তরফে।
গ্বালিয়রে নজরদারি চালাচ্ছে ড্রোন। বিহারের মোকামায় বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আরা, দ্বারভাঙা, মুঙ্গেরের মসুদনে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। মধ্যপ্রদেশ এবং বিহারে রেললাইনজুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি হয়েছে। রাজস্থানের কোটায় বন্‌ধ সমর্থকরা সাধারণ মানুষের হাতে ফুল দিয়ে তাঁদেরও বন্‌ধ সমর্থনের আবেদন জানান। মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান পুরো পরিস্থিতি হেলিকপ্টারে পরিদর্শন করেন। মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশে বিক্ষোভকারীরা সরকারের কুশপুতুল পোড়ায়।
বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাসভবনের সামনেও বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন বনধ সমর্থকেরা। আগাম সতর্কতা হিসেবে এদিন বিহারের সব স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছিল। এছাড়া বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
গোটা মধ্যপ্রদেশেই এদিন বন্ধ পালিত হয়। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান আগেই হুমকি দিয়েছিলেন, তিনি থাকতে রাজ্য থেকে সংরক্ষণ তুলে দেওয়া যাবে না। যদিও রাজ্যবাসীর উদ্দেশে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, ‘মধ্যপ্রদেশ শান্তির জায়গা। আমি আশা করব আমরা সবাই মিলে রাজ্যের সেই শান্তি বজায় রাখব। তাই কারও যদি কোনও বক্তব্য থাকে তাহলে তিনি শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলুক। আমার কাছে আসার রাস্তা সবসময়েই খোলা।’ ভিন্দ, শিবপুরী, গোয়ালিয়রের মতো বেশ কয়েকটি জেলায় আগাম সতর্কতা হিসেবে আগে থেকেই স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবেই রাজ্যে বন্ধ পালিত হয়েছে। কোনও জায়গা থেকে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি।
ব্রহ্মা সমাগম স্বর্ণ জনকল্যাণ সংগঠনের জাতীয় সভাপতি ধর্মেন্দ্র শর্মা বলেন, মোট ১৫০টি সংগঠন এই বনধের ডাক দিয়েছে বলে তিনি জানান। গোটা রাজ্যেই বনধের খুব ভালোমতো সাড়া মিলেছে বলে শর্মা দাবি করেন। বিশেষ করে কাটনি, বিদিশা, সেহোর, দেওয়াস, ইন্দোর, গোয়ালিয়র, ঝাবুয়া, ছাত্তারপুর, মন্দসৌর, সাগর, উজ্জয়ীন প্রভৃতি শহরে পুরোপুরি বন্ধ পালন করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও ছিন্দওয়াড়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা কালো পোশাক পরে প্রতিবাদ জানান। পুলিস সুপার অতুল সিং বলেন, আগে থেকেই এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন ছিল।
এই বনধের বিরোধিতা করেও গোয়ালিয়র, ভোপাল এবং অন্যান্য শহরে মানুষকে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিরোধীরা তাঁদের মাথার টুপিতে লেখেন, ‘আমিই সেই মায়ের ছেলে’। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন, ‘আমি থাকতে কোন মায়ের ছেলের এত ক্ষমতা যে সংরক্ষণ তুলে দেবে।’ এদিন বনধের সমর্থনে বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যকে ইঙ্গিত করে প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। উল্লেখ্য, রাজ্য পুলিসের ইন্টেলিজেন্স বিভাগের আইজি মকরন্দ দিউসকর বুধবারই জানিয়েছিলেন, আগাম সতর্কতা হিসেবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৩৪ কোম্পানি বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

বীরভূম জেলার সিউড়িতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাজাল এর নামে মেলা

 বীরভূম জেলার সিউড়ির বড়বাগানের আব্দারপুর ফুটবল ময়দানে আয়োজিত হতে চলেছে ‘বীরবান্টা বাজাল মেলা-২০১৯’। ১৯শে জানুয়ারি এই মেলা আয়োজিত...