SANTHALDISHOM(সানতাল দিশোম): 05/21/20

Thursday 21 May 2020

শ্রীমতি সন্ধ্যা মান্ডি ,19/05/2020,মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলা থেকে নিখোঁজ,


Image may contain: 1 person, close-up
Image may contain: 1 person
এই ছবিটি শ্রীমতি সন্ধ্যা মান্ডির ,19/05/2020,মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলা থেকে নিখোঁজ,
পরনে লাল শাড়ি, গলায় লাল গামছা, কানে রিং,মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন, কথা বলতে পারে না
।কেউ যদি সন্ধান পান দয়া করে নিম্নলিখিত ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।
গ্রাম-বালিবান্দা,পোষ্ট-মুকসুদপুর, থানা-ডেবরা,জেলা-পশ্চিম মেদিনীপুর, পিন-৭২১১২৬।Contact no.-
8145056145

এবার SC/ST দের অপমান করলে আপনার হতে পারে জেল! : সুপ্রিম কোর্ট

সম্প্রতি SC/ST সম্প্রদায়ের এক কর্মী তার কর্মক্ষেত্রে দলিত বলে অপমান করার জেরে আত্মহত্যা করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে দলিত কে পিটিয়ে মারার ঘটনা কারো অজানা নয় বা মধ্যপ্রদেশের ওই দুটো বাচ্চাকে পিটিয়ে মারার ঘটনাও আজ কিছু মিডিয়ার দৌলতে দেশ থেকে আন্তর্জাতিক খবরের রূপ নিয়েছে। তবে আমার মতে এটা কোনো নূতন ঘটনা নয়, এমন ঘটনা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে আমাদের দেশে। শুধু পার্থক্য এটাই যে সমাজ থেকে শুরু করে সোশাল মিডিয়াতে দলিতদের নিয়ে মজা করার প্রবণতা আগের থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে সম্প্রতি।

কোনো দলিত বা SC/ST সম্প্রদায়ের ব্যক্তি যদি নিজের যোগ্যতায় ভালো চাকরি করে তাহলেও তাকে শুনতে হয় "ও তো সংরক্ষণের আওতায় তাই চাকরি পেয়েছে"। আসলে কিছু লোক সম্প্রতি এমন ভাবে সংরক্ষনকে সবার সামনে তুলে ধরছে যাতে করে সবার মনেহয় যেন এর জন্যই দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে, সমাজ পিছিয়ে যাচ্ছে, দুনিয়া পিছিয়ে যাচ্ছে, অন্য কেউ চাকরি পাচ্ছে না ইত্যাদি ইত্যাদি। আর সেই অপপ্রচারের স্বীকার হচ্ছে আজকের শিক্ষিত যুব সমাজও, তারাও কিছু না ভেবে বা এবিষয়ে না পড়াশোনা করে অজথা তর্ক করছে। জাতির ভিত্তিতে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে কিছু লোক (নিজেদের উচু জাত ভাবা লোকজন) জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু আপনি যদি তথ্য ভালো করে ঘেঁটে দেখেন তাহলে দেখবেন কোন উচু জাতির লোক (নিজেরাই নিজেদের বানিয়েছিলেন) নালা, নর্দমা পরিষ্কার করছে না। আপনার বাড়ির ঘর মোছার লোক থেকে শুরু করে পায়খানা পরিস্কার করার ব্যক্তি পর্যন্ত প্রায় সবাই ওই দলিত সম্প্রদায়ের লোক। তাহলে কথা হল কিছু শিশু দলিতদের ঘরে জন্মেছে বলে তাকে নিচু মানের কাজ করতে হবে কেন? আর আরেক শিশু উচু জাতির ঘরে জন্মেছে বলে তাকে দিয়েই কেন উচু মানের কাজ করানো হবে? কেন উচু জাতির লোকেরা সেই সব কাজ করবেনা যে সব কাজ নিচু জাতির লোকেরা যুগ যুগ ধরে করে যাচ্ছে? আপনি যদি বলেন সবার জন্য কাজ আলাদা তাই করে তাহলে মশাই উচু জাতির লোকদের বলুন বস্তিতে এসে থাকতে, নোংরা পরিষ্কার করতে । তারপর সংরক্ষন জাতির ভিত্তিতে কেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন করুন দেখবেন সবাই মানবে।
আপনি মুচি তো হতে পারবেন না, জঙ্গলের সেই দুর্ভোগে জীবন যাপন করতে পারবেন না, আর্থিক অনটনে জীবন কাটাননি, সারাজীবন জুড়ে অন্যের গোলামী করেন নি, তাহলে আপনার কি অধিকার আছে এদের নিয়ে মজা করার? এদের অপমান করার? না নেই।
অন্যদিকে আপনি বলতেই পারেন যে যেসব SC/ST সম্প্রদায়ের লোক আজ স্বাবলম্বী তারা কেন সংরক্ষণের সুবিধা নিচ্ছে? তার উত্তর হলো আজ একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও সেই সংখ্যাটা খুবই সামান্য। তাছাড়া একদিন এমন সময় আসবে যেদিন দলিত সম্প্রদায়ের মধ্যেও যারা বেশি পিছিয়ে তারা আন্দোলনে নামবেন বা অনুরোধ করবেন এই নিয়ে যে 'যেসব দলিত সম্প্রদায়ের লোক আজ স্বাবলম্বী তারা সংরক্ষণের সুবিধে নেওয়া বন্ধ করুন'। তারপর সরকার সংরক্ষণের জন্য একটা বাৎসরিক আয় বেঁধে দেবেন হয়তো (যেমনটা OBC বা EWS দের ক্ষেত্রে আছে)। তাই তাদের সংরক্ষন নিয়ে বাকিদের ভাবার তো কোন দরকার নেই, তাদেরকেই ভাবতে দিন।
তাছাড়া ভারতের মোট চাকরির মাত্র ২% (প্রায়) সরকারি চাকরি আর শুধুমাত্র এখানেই সংরক্ষণের নীতি মানা হয় আর বাকি ৯৮% বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোনও সংরক্ষণ নীতি মানা হয় না। তাহলে যারা বলছেন যে সংরক্ষণের জন্য সমাজ পিছিয়ে যাচ্ছে তারা যে একদমই ভুল সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। পৃথিবীর প্রায় সব দেশ নিজেদের অনুসারে সংরক্ষণ নীতি মেনে চলে সমাজের পিছিয়ে পরা সম্প্রদায়কে এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য। আমাদের দেশে পিছিয়ে আছে প্রায় ৭০% লোক কিন্তু তাদের মধ্যেও খুব বেশি পিছিয়ে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
অনেকেই বলেন যে আর্থিক দিক দিয়ে সংরক্ষণ দেওয়া দরকার কারণ অসংরক্ষিতদের মধ্যেও কিছু গরিব আছে। প্রথমত তাদের গরিব থাকার কারণ অনুসন্ধান করে দেখুন দেখবেন তারা বরাবরই গরিব ছিলোনা, তারা কোথাও না কোথাও নিজেদের দোষে আজ গরিব। যেমন ধরুন যারা ব্রাহ্মণ পুরোহিত তারা কখনোই নিচু মানের কাজ করতে চান না। তাছাড়া নিজেদের উচু জাতি বানানো পরিবারগুলো স্বঘোষিত নিচু কাজ থেকে নিজেদের দশহাত দূরে রাখেন, তাতে যদি তাদের না খেয়ে থাকতে হয় তাতেও চলবে। মানে সেই বিখ্যাত হিন্দি গানের উক্তির মত "যান যায় পার মান না যায়" অবস্থা। তাছাড়া সম্প্রতি তাদেরও সংরক্ষণের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে EWS নামে (১০%)। আজ মাত্র ৫% এর কম মানুষ, যাদের বাৎসরিক উপার্জন ৮ লক্ষ টাকা (মোটামোটি), শুধু তারাই সংরক্ষণের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সংরক্ষণের বন্টন টা একবার দেখুন-
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বা পড়াশুনার ক্ষেত্রে SC দের জন্য সংরক্ষন ১৫% এবং ST দের জন্য বরাদ্দ ৭.৫% এবং OBC, FH দের মিলিয়ে সংরক্ষন ছিল ৫০% এর মত, সেটা আজ বেড়ে ৬০% (১০% EWS মিলিয়ে) হয়েছে। বাকি ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নেই। এখানে একটা মজার ঘটনা হল অসংরক্ষিতদের সাথে সাথে নিজেদের উচু দেখানোর জন্য OBC সম্প্রদায়ের কিছু ব্যক্তি SC /ST দের সংরক্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা যায় এবং এরা নিজেদের জেনারেল হিসেবে বলতেও দেখা যায় অন্যের সামনে নিজেদের উচু দেখানোর জন্য। হাস্যকর।
সমাজের নিচু মানের কাজ (কোনো কাজ ছোট নয় কিন্তু আমাদের দেশে নিজেদের উচু জাতি বলা লোকেরা এগুলোকে নিচু বানিয়েছে) করা থেকে শুরু করে সবথেকে বেশি অত্যাচারের স্বীকারও হয়ে থাকে এই দলিত সম্প্রদায়ের লোকেরা। আজও না খেয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রায় সবাই SC/ST সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। সংরক্ষন দেওয়ার ৭০ বছর পেরিয়ে গেলেও খুব সামান্য SC/ST পরিবার যেখানে পড়াশুনা এবং ভালো জীবন যাপন করছেন সেখানে সংরক্ষন উঠিয়ে দিলে এরা কখনও কি আর উপরে উঠে আসতে পারবে? আর আপনি যে ওদের কথায় কথায় অযোগ্য বলেন, পরিহাস করেন, নিজের ব্যর্থতার দায় ওদের ওপর চাপিয়ে দেন সেটা কি যুক্তিযুক্ত? এবার থেকে নিজেকে নিজে বোকা বানিয়ে, নিজের ব্যর্থতার দায় দলিতদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার দিন শেষ হতে চলেছে কারণ আজ ডিজিটাল দুনিয়ায় দলিতদের কাছেও স্মার্ট ফোন পৌঁছে গেছে, ওরা আজ আইন জানতে শিখেছে, ওরাও আজ আপনার উপহাস থেকে শুরু করে অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠাতে শিখছে। আপনাদের অপদার্থতার জন্যই শিক্ষিত বুদ্ধিমানেরা ১৯৮৯ সালে SC ST Act গঠন করেছিল যাতে কেউ SC/ST দের বিরুদ্ধে কটূক্তি না করে, যাতে তাদের নিয়ে সোশাল মিডিয়াতে হাসাহাসি না করতে পারে, যাতে নিচু জাতি বলে কেউ এদের অত্যাচার করে পার পেয়ে যেতে না পারে (আর্টিকেল ১৫ সিনেমা দেখুন, ওটা তো একটা ঘটনা, এরকম ঘটনা প্রতিদিন হচ্ছে)। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট সেই আইনে কিছু পরিবর্তন করেছিলেন কিন্তু গত পহেলা অক্টোবর আবার আগের নিয়ম কেই বহাল রাখলেন। যেদিন সব দলিত শিক্ষিত হয়ে যাবে, যেদিন নিজেদের উচুজাত বলা লোকেরা নিজেদের মতো দলিতদেরও মানুষ ভাবতে শুরু করবে, যেদিন সমাজে সবাই সবাইকে সমান ভাবা শুরু করবে, যেদিন বিয়ে করার জন্য উচু জাতের ছেলে বা মেয়ে খোঁজা বন্ধ হয়ে প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ খোঁজা শুরু হবে, যেদিন দলিত মহিলাদের রেপ করা বন্ধ হবে, সেদিন পুরো সংরক্ষন প্রথাটাই সমাজ থেকে উঠে যাবে। সমাজের সবাই যখন এক ছাতার তলায় আসবে সেদিন ধর্ম, জাতি নিয়ে কেউ কথা বলবে না।

সুপ্রিম কোর্ট ১৯৮৯ এর SC and ST (Prevention of Atrocities) Ammendments Act. কেই বহাল রাখলেন। কি বলা আছে এই Act এ?

Section 18A (1) (a), 1989 Act. এ বলা আছে যে "কারো বিরুদ্ধে যদি কোনো দলিত বা জনজাতির লোক FIR করতে চায় তাহলে তার জন্য আগে সেই ব্যাক্তির প্রাথমিক তদন্ত করার দরকার নেই" অর্থাৎ ধরুন যদি কোনো SC/ST সম্প্রদায়ের লোক কারো বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছেন, তাহলে পুলিশ FIR নিতে বাধ্য থাকবেন। তার জন্য পুলিশ বলতে পারবেন না যে - " আগে আপনার অভিযোগের ভিত্তিতে  সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত করবো তারপর FIR লিখব"

Section 18A (1) (b), 1989 Act. তে লেখা আছে যে "যে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এই দায়িত্বে থাকবেন, তিনি যখন তখন সেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারেন কারো অনুমতি ছাড়াই"।

অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে SC বা ST পরিবারের কোনো ব্যাক্তি যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কে FIR লিখতে হবে এবং কারো অনুমতি ছাড়াই গ্রেফতার করতে হবে বা করতে পারবেন, তা সে বড় বা ছোট নেতা, মন্ত্রী, কোন জনপ্রিয় বা অজনপ্রিয় ব্যাক্তি বা গোষ্ঠীই হোক না কেন। 

বীরভূম জেলার সিউড়িতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাজাল এর নামে মেলা

 বীরভূম জেলার সিউড়ির বড়বাগানের আব্দারপুর ফুটবল ময়দানে আয়োজিত হতে চলেছে ‘বীরবান্টা বাজাল মেলা-২০১৯’। ১৯শে জানুয়ারি এই মেলা আয়োজিত...