SANTHALDISHOM(সানতাল দিশোম): 11/14/18

Wednesday 14 November 2018

ভারতীয় আদিবাসী সাঁওতালরা কি অসভ্য, বর্বর, নিকৃষ্ট জাতি???

আদিবাসী সাঁওতাল সম্পর্কে ভারতীয় অ-আদিবাসী জনমানসে একটি বদ্ধমূল ধারণা রাস্তার পাশে মাইল স্টোন পাথরের ন্যায় প্রোথিত আছে যে, আদিবাসী সাঁওতালরা অসভ্য, বর্বর ও নিকৃষ্ট জাতি। লেখকঃ— বিশ্বনাথ হেমব্রম, কল্যাণী, নদীয়া।
সমগ্র পৃথিবীর ব্যাপী অবস্থিত প্রত্যেক জাতির নিজস্ব কৃষ্টি, কালচার, রীতি-নীতি, আচার- অনুষ্ঠান বিদ্যমান। প্রত্যেক জাতির কাছে তাঁদের নিজস্ব কৃষ্টি, কালচার, রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান গুলো জন্মদ্ধাত্রী মায়ের মতন। ‘মা’ এর যেমন কোন তুলনা হয়না বা মায়ের কোন বিকল্প হয়না ঠিক তেমনি। ঐ কৃষ্টি, কালচার, রীতি-নীতি, আচার -অনুষ্ঠান গুলোই নিজ নিজ জাতির তাঁদের সমাজের আয়না বা প্রতিবিম্ব স্বরূপ। তেমনিই ভারতীয় আদিবাসী সাঁওতাল জাতিরও নিজস্ব কৃষ্টি, কালচার, আচার- অনুষ্ঠান, রীতি-নীতি সমূহ বিদ্যমান। যেমন সহরায়, সাকরাত , বাহা, মাঃমঁড়ে, দং, লাগড়ে এনেজ সেরেঞ (নাচ-গান) ইত্যাদি। আধুনিকতম পৃথিবীর মিশ্র সংস্কৃতির প্রবাহে গা নাভাসিয়ে আদিবাসী সাঁওতালরা এখনও নিজেদের কৃষ্টি, কালচার গুলিকে অক্ষুণ্ণ রেখেছে বা রাখতে পেরেছে। এটি কম কথা নয়, কেননা আমাদের সকলকের জানা যে, সেই আর্যদের ভারত আগমন কাল থেকে আরম্ভ করে বর্তমান যুগে আজ অবধি তাঁদের উপর নানান বঞ্চনা, শোষণ, পীড়ন চলছেই। মধ্যবর্তী সময়কাল যদি আমরা পর্যালোচনা করি। তাহলে দেখতে পাবো কত জাতি দ্বারাই না শোষণ, পীড়ন, অত্যাচারিত হয়েছে। যেমন মোঘল, তুর্কি, শক, হুন, পাঠান, পর্তুগীজ, ওলন্দাজ, ফরাসি, ব্রিটিশ ইংরেজ ইত্যাদি। এতো জাতির বঞ্চনা, গঞ্জনা, শোষণ, পীড়ন সত্ত্বেও তাঁরা  তাঁদের কৃষ্টি, কালচার গুলিকে এখনও ধরে রাখতে পেরেছে। এই আদিবাসী সাঁওতাল সম্পর্কে ভারতীয় অ-আদিবাসী জনমানসে একটি বদ্ধমূল ধারণা রাস্তার পাশে মাইল স্টোন পাথরের ন্যায় প্রোথিত আছে যে, আদিবাসী সাঁওতালরা অসভ্য, বর্বর ও নিকৃষ্ট জাতি।
পৃথিবীর সৃষ্টিতেই আমরা পৃথিবীর বর্তমান রূপ পাইনি। বহু বিবর্তনের ফলে কয়েক হাজার কোটি বছর পরে পৃথিবীর এই বর্তমান রূপ আমরা পেয়েছি। তেমনি পৃথিবীতে জীবজগৎ ও প্রাণীজগৎ একদিনে উদ্ভব হয়নি। বহু কোটি বছরের বিবর্তনের ফলে জলজ এককোষী প্রাণী থেকে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে বহু কোষী প্রাণীতে রূপান্তর ঘটেছে। বাইলোজিক্যাল বৈজ্ঞানিক মতে পৃথিবীতে পক্ষীকূল আবির্ভূত হবার পর জীব শ্রেষ্ঠ মনুষ্যকূলের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় আদিবাসী সাঁওতালদের মাইথোলজি (সিরজন বিন্তী) মতে হাঁস -হাঁসলি (হাঁসের পুং, স্ত্রী) থেকেই আদি মানব -মানবী পিলচু-পেলচা (পিলচু হাড়াম, পিলচু বুড়ি) সৃষ্টি হয়েছেন। পরবর্তীকালে পর্যায়ক্রমে মানবজাতির বৃদ্ধি ঘটেছে। এই জীবজগৎ ও প্রাণীজগৎ সৃষ্টির বৈজ্ঞানিক মতের সঙ্গে আদিবাসী সাঁওতালদের সিরজন বিন্তী -র (সৃষ্টির ইতিহাস) মিল লক্ষণীয়। তাহলে ভারতীয় আদিবাসী সাঁওতালরা অসভ্য, বর্বর, নিকৃষ্ট না…….. উৎকৃষ্ট আপনারাই ভাবুন?
পৃথিবীর বিখ্যাত দার্শনিক কোপারনিকাস ও বিজ্ঞানী গ্যালিলিও -র মতবাদকে (সূর্য স্থির, পৃথিবীর সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে পশ্চিম থেকে পূর্বে) এক সময় ক্ষমতাবলে ও বাহুবলে খর্ব করার চেষ্টা হলেও বর্তমানে বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে ও প্রমাণ সাপেক্ষে তাহাই সঠিক প্রমানিত। আদিবাসী সাঁওতাল সমাজে এই তথ্য বহু যুগ আগে থেকেই প্রমানিত। তাঁদের সমাজের নানা গান, ধর্মীয় কার্যকলাপ ও সাংস্কৃতিক কার্যকলাপ লক্ষ্য করলেই তা বোঝা যায়। যেমন পূজা অর্চনার ‘খন্ড করণ’ প্রক্রিয়া ও নাচের সময় দলবদ্ধ পরিক্রমা পদ্ধতি থেকে তা সহজেই বোঝা যায়। এই দুটি ক্ষেত্রেই পশ্চিম থেকে পূর্বে ক্রিয়াকলাপ আবর্তিত হয়। তাহলে ভারতীয় আদিবাসী সাঁওতালরা অসভ্য, বর্বর, নিকৃষ্ট না…….. উৎকৃষ্ট আপনারাই ভাবুন?
পৃথিবীর প্রখ্যাত ঐতিহাসিক W. W. hunter তাঁর বই ‘The Annuals of Rural Bengal ‘ – এ বলেছেন ‘Aryan roots in Santhali’ এবং বিভিন্ন ভাষাবিদদের মত অনুযায়ী সংস্কৃত ভাষা থেকে যে সমস্ত ভারতীয় ভাষাগুলি সৃষ্টি হয়েছে তাতে সাঁওতালি ভাষার শব্দ 60% বিদ্যমান ও ঐ ভাষাগুলির নিজস্ব শব্দ 40% বিদ্যমান। তাহলে ভারতীয় আদিবাসী সাঁওতালরা অসভ্য, বর্বর, নিকৃষ্ট না……. উৎকৃষ্ট আপনারাই ভাবুন?

ভারতীয় আদিবাসী সাঁওতালরা ১২টি শাখা বা অংশে বিভক্ত। যেমন হাঁসদা, মান্ডী, কিস্কু, মুরমু, হেমব্রম, সরেন, টুডু, বেসরা, বাস্কে, পাউরিয়া, চঁড়ে, বেদেয়া। আবার এই ভাগগুলির প্রত্যেকটি ১২টি উপঅংশে  বিভক্ত। তাঁদের সমাজে এখনও প্রচলিত ও সত্য যে কিস্কুরা হচ্ছেন  রাপাজ (রাজবংশ) বংশধর, সরেনরা হচ্ছেন সিপাহী (সৈনিক) বংশধর, মান্ডীরা হচ্ছেন কিঁষাড় (ধনী) বংশধর, টুডুরা হচ্ছেন রুসিকা (নাচ গান বিশারদ) বংশধর, মুরমুরা হচ্ছেন ঠাকুর (পুরোহিত) বংশধর। তেমনি এঁদের প্রত্যেকের নিজ নিজ গাঢ় (সাম্রাজ্য, দূর্গ, অঞ্চল, এলাকা) ছিল। যেমন চাঁই গাড়, চম্পা গাড়, কঁয়ডা গাড়, বাদোলী গাড়, খাইরী গাড় ইত্যাদি। তাহলে আদিবাসী সাঁওতালরা অসভ্য , বর্বর, নিকৃষ্ট না……. উৎকৃষ্ট আপনারাই ভাবুন?

ভারতীয় আদিবাসী সাঁওতাল সমাজে বহু বছর আগে থেকেই গণতন্ত্র বা লোকতন্ত্র ব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত আছে। এই গনতন্ত্র বা লোকতন্ত্র (মাঝি আরি) ব্যবস্থার মাধ্যমেই তাঁদের সমাজ পরিচালিত হয়। মাঝি আরি বা মোড়ল ব্যবস্থায় কয়েকটি ধাপ বা শ্রেণীবিন্যাস আছে। যেমন ১) মাঝি, ২) জগ মাঝি, ৩) গডেৎ, ৪) নায়কে ও ৫) পারানিক। তাঁদের সমাজের সমস্ত রকমের কাজকর্ম এই মাঝি ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। একটি নবজাতক শিশুর জন্ম গ্রহণ পরবর্তী কাজকর্ম থেকে শুরু করে কোন বিবাহ যোগ্য /যোগ্যা যুবক-যুবতীর বিবাহ  কর্মাদি, কোন মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী কাজকর্ম সব কিছুই। বিচারবিভাগীয় ক্ষেত্রেও তাঁদের সমাজে সুনির্দিষ্ট বিচার ব্যবস্থা পদ্ধতি বিদ্যমান। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন মহান ব্যক্তিত্ব আদিবাসী সমাজের আইকন জয়পাল সিং মুন্ডার কথা। আমরা হয়তো অনেকেই জানি না  এই মহান ব্যক্তির অবদানের কথা। আমাদের ভারতীয় সংবিধান রচনাকারী যে কমিটি ছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন আরও এক মহান আদিবাসী ব্যক্তিত্ব ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর জী। সেই কমিটির একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি জয়পাল সিং মুন্ডা। তাঁর বিখ্যাত উক্তিটি তুলে ধরলাম ‘আব হাম আদিবাসীয়ো কো লোকতন্ত্র কা পাঠ নাহী পড়া সাকতে, কিউকী লোকতন্ত্র হামারে ইঁহা সাদিয়ো সে মজুদ হেঁ’। তাহলে আদিবাসী সাঁওতালরা অসভ্য ,বর্বর ,নিকৃষ্ট না……..উৎকৃষ্ট আপনারাই ভাবুন?
আদিবাসী সাঁওতাল সমাজের অতিথি আপ্যায়ন পদ্ধতি আপনারা লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন পদ্ধতিটির অভিনবত্ব, এটীও বহু প্রাচীন। বাড়ীতে কোন অতিথির আগমন ঘটলে প্রথমেই তাকে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। পরক্ষণেই জলপূর্ণ ঘটি (কাঁসা পিতলের) তার সামনে উপবেশন করা হয়। তারপর গড জহার (সন্মান জ্ঞাপন পদ্ধতি) প্রদান করা হয়। পরে আগত অতিথির কাছ থেকে ভাল -মন্দের কুশল বিনিময় করা হয়। এছাড়াও আদিবাসী সমাজে কোন শুভ কাজ আরম্ভ করার আগে শুভ প্রতীক হিসাবে জলপূর্ণ ঘটির মধ্যে কয়েকটি আমপাতা যুক্ত আম ডাল রাখা হয়। এতে শুভ কাজের ব্যাঘাত ঘটবে না বলে তাঁদের সমাজের বিশ্বাস। তাহলে ভারতীয় আদিবাসী সাঁওতালরা অসভ্য, বর্বর, নিকৃষ্ট না…….. উৎকৃষ্ট আপনারাই ভাবুন?
পরিশেষে বলব, একটি জাতি অসভ্য, বর্বর ও নিকৃষ্ট-র মাপার মাপকাঠির একক কি আছে বা কি হতে পারে, আমার জানা নেই। আপনাদের জানা থাকলে দয়া করে জানাবেন। যে জাতির সম্প্রদায়ের, সমাজের ঐতিহ্য এতো সুপ্রাচীন ও দৃষ্টিভঙ্গি এতো বিজ্ঞানসম্মত। সেই জাতি, সম্প্রদায়, সমাজের মানুষদের কি অসভ্য, বর্বর, নিকৃষ্ট বলা যায় একটু ভাববেন???
— বিশ্বনাথ হেমব্রম
কল্যাণী, নদীয়া
তথ্য সূত্রঃ– সাঁওতাল গীতি পূরাণ/সিরজন। বিন্তী/জমসিম বিন্তী/জাহের বঙ্গা সান্তাড়  ক/The Annuals of Rural Bengal /বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন পুস্তক /সাঁওতাল সমাজের রীতি-নীতি।

সাঁওতালি সাহিত্যের ইতিহাসে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও প্রকাশকাল


পত্রিকা ও প্রকাশকাল

♦প্রতিষ্ঠা পর্বের পত্র-পত্রিকাঃ—
১) হড় হপন রেন পেড়া—প্রকাশকাল-১৮৯০
২) ঢারওয়াঃ —প্রকাশকাল-১৮৯০
৩) পেড়াহড় —প্রকাশকাল-১৯২২
♦তিরিশ দশকের পত্র পত্রিকাঃ
এই দশকে নতুন কোন পত্রিকার প্রকাশ ঘটেনি।
♦চল্লিশ দশককের পত্র পত্রিকাঃ
৪) মারশাল তাবোন —প্রকাশকাল-১৯৪৬
৫) হড় সম্বাদ —প্রকাশকাল-১৯৪৭
♦পঞ্চাশ দশকের পত্র পত্রিকাঃ
৬) যুগ আরশাল —প্রকাশকাল-১৯৫৪-৫৫
৭) গালমারাও —প্রকাশকাল-১৯৫৬
৮) আহলা —প্রকাশকাল-১৯৫৬
৯) খেরওয়াল আড়াং —প্রকাশকাল-১৯৫৭
১০) আড়াং —প্রকাশকাল-১৯৫৯
১১) মোলোঃ —প্রকাশকাল-জানা যায়নি
♦ষাট দশকের পত্র পত্রিকাঃ
১২) হারিয়াড় সাকাম —প্রকাশকাল-১৯৬৩
১৩) সাগেন সাকাম —প্রকাশকাল-১৯৬৪
১৪) সার সাদলে —প্রকাশকাল-১৯৬৬
১৫) পছিম বাংলা —প্রকাশকাল-১৯৬৬
১৬) এভেন —প্রকাশকাল-১৯৬৮
১৭) যুগ জারপা —প্রকাশকাল-১৯৬৭-৬৮
১৮) সার সাগুন —প্রকাশকাল-১৯৬৯
♦সত্তর দশকের পত্র পত্রিকাঃ
১৯) দেবন তিঙ্গুন —প্রকাশকাল-১৯৭০
২০) ঝারণা —প্রকাশকাল-১৯৭০
২১) সমাজবাণী —প্রকাশকাল-১৯৭১
২২) আয়ুরিচ —প্রকাশকাল-১৯৭১
২৩) যুগ সিরিজল —প্রকাশকাল-১৯৭১
২৪) সুসার ডাহার —প্রকাশকাল-১৯৭২
২৫) হাঁস হাসিল —প্রকাশকাল-১৯৭৪
২৬) ভঁজ্ দিয়াড়া —প্রকাশকাল-১৯৭৪-৭৫
২৭) তেতরে —প্রকাশকাল-১৯৭৬
২৮) লাংতিতি —প্রকাশকাল-১৯৭৭
২৯) খেরওয়াল জারপা —প্রকাশকাল-১৯৭৭
৩০) সাকওয়া —প্রকাশকাল-১৯৭৭
৩১) জিরিহিরি —প্রকাশকাল-১৯৭৮
৩২) তাপান দাঃ —প্রকাশকাল-১৯৭৮
৩৩) জানটাঃ —প্রকাশকাল-১৯৭৮
৩৪) উমুল —প্রকাশকাল-১৯৭৮
৩৫) চিরগাল —প্রকাশকাল-১৯৭৯
৩৬) হিহিড়ি পিপিড়ি —প্রকাশকাল-১৯৭৯
৩৭) বির সেঁগেল —প্রকাশকাল-১৯৭৯
৩৮) টুআর —প্রকাশকাল-১৯৭৯
৩৯) আবোয়াঃ কুরুমুটু —প্রকাশকাল-১৯৭৯
♦আশি দশকের পত্র পত্রিকাঃ
৪০) লাউড়িয়া —প্রকাশকাল-১৯৮০
৪১) মোলোঃ ইপিল —প্রকাশকাল-১৯৮০
৪২) জাং তিরিয়ো —প্রকাশকাল-১৯৭৯-৮০
৪৩) যুগ খন যুগ —প্রকাশকাল-১৯৮০
৪৪) সোপোতোঃ —প্রকাশকাল-১৯৮০
৪৫) গোডেৎ —প্রকাশকাল-১৯৮০
৪৬) দরবার —প্রকাশকাল-১৯৮০
৪৭) পোঁডগডা —প্রকাশকাল-১৯৮১
৪৮) পটম কিয়া —প্রকাশকাল-১৯৮১
৪৯) চায়চাম্পা —প্রকাশকাল-১৯৮১
৫০) গোডেৎ —প্রকাশকাল-১৯৮১
৫১) গোগো মারিয়া —প্রকাশকাল-১৯৮১
৫২) বির আড়াং —প্রকাশকাল-১৯৮১
৫৩) রাইলা গিদি —প্রকাশকাল-১৯৮১
৫৪) সিলি —প্রকাশকাল-১৯৮১
৫৫) আরতাগম —প্রকাশকাল-১৯৮১
৫৬) পিয়ো —প্রকাশকাল-১৯৮১
৫৭) একিন —প্রকাশকাল-১৯৮১
৫৮) ভঁজ তারাস —প্রকাশকাল-১৯৮১-৮২
৫৯) জিউয়ি ঝারণা —প্রকাশকাল-১৯৮১-৮২
৬০) হুদিশ —প্রকাশকাল-১৯৮২
৬১) সিঁগার সাকওয়া —প্রকাশকাল-১৯৮২
৬২) সাঁওতা সঁধায়নি —প্রকাশকাল-১৯৮২
৬৩) রফা —প্রকাশকাল-১৯৮২
৬৪) সাঁড়েশ তারাস —প্রকাশকাল-১৯৮২
৬৫) কুহু —প্রকাশকাল-১৯৮৩
৬৬) ভঁজ পরায়নী —প্রকাশকাল-১৯৮৩
৬৭) সাগেন সাঁওতা —প্রকাশকাল-১৯৮৩
৬৮) মিদঃ আড়াং —প্রকাশকাল-১৯৮৩
৬৯) কাপুরমুলি —প্রকাশকাল-১৯৮৩
৭০) গালাং গুলাছি —প্রকাশকাল-১৯৮৩
৭১) হড় সমাজ —প্রকাশকাল-১৯৮৪
৭২) গিরু —প্রকাশকাল-১৯৮৪
৭৩) শারজম মহল —প্রকাশকাল-১৯৮৪
৭৪) খেরওয়াল আড়াং —প্রকাশকাল-১৯৮৪
৭৫) রিমিল —প্রকাশকাল-১৯৮৪
৭৬) যুগ আড়াং —প্রকাশকাল-১৯৮৪
৭৭) হিরাবাতি —প্রকাশকাল-১৯৮৪-৮৫
৭৮) খেরওয়াল ডাহার —প্রকাশকাল-১৯৮৫
৭৯) রায়বার —প্রকাশকাল-১৯৮৫
৮০) সমাজ সুসার —প্রকাশকাল-১৯৮৬
৮১) সমাজ সাঁদেশ —প্রকাশকাল-১৯৮৬
৮২) ফাগুন কোয়েল —প্রকাশকাল-১৯৮৭
৮৩) কিয়া সিঁদুর —প্রকাশকাল-১৯৮৭
৮৪) হড় —প্রকাশকাল-১৯৮৭
৮৫) লিটা —প্রকাশকাল-১৯৮৭
৮৬) মেৎ —প্রকাশকাল-১৯৮৭
৮৭) খেরওয়াল মহল —প্রকাশকাল-১৯৮৭
৮৮) রুসিকা আড়াং —প্রকাশকাল-১৯৮৭
৮৯) উমুল —প্রকাশকাল-১৯৮৭
৯০) কম সাকাম —প্রকাশকাল-১৯৮৮
৯১) আরশাল —প্রকাশকাল-১৯৮৮
৯২) নাহাঃ —প্রকাশকাল-১৯৮৮
৯৩) আহলা —প্রকাশকাল-১৯৮৮
৯৪) যুআন —প্রকাশকাল-১৯৮৮
৯৫) এভেন আড়াং —প্রকাশকাল-১৯৮৮
৯৬) সবরনাখা —প্রকাশকাল-১৯৮৮
৯৭) সারি সারজম —প্রকাশকাল-১৯৮৮
৯৮) বিঁদি সুতাম —প্রকাশকাল-১৯৮৮
৯৯) সিরিম কারাম —প্রকাশকাল-১৯৮৮
১০০)ভঁজ সাকওয়া —প্রকাশকাল-১৯৮৮
১০১)কিঞঝির কোয়েল —প্রকাশকাল-১৯৮৮
১০২)জুমিদ দাড়ে —প্রকাশকাল-১৯৮৮
১০৩)হড় আড়াং —প্রকাশকাল-১৯৮৯
১০৪)তোওয়া দারে —প্রকাশকাল-১৯৮৯
১০৫)সার সাগুন —প্রকাশকাল-১৯৮৯
১০৬)সাঁওতা আরসি —প্রকাশকাল-১৯৮৯
১০৭)জিয়ন ঝারণা —প্রকাশকাল-১৯৮৯-৯০
১০৮)ভঁজ হিরা —প্রকাশকাল-১৯৮৯-৯০
১০৯)লাহান্তি —প্রকাশকাল-১৯৮৯
♦নব্বই দশকের পত্র পত্রিকাঃ
১১০)মানওয়া আড়াং —প্রকাশকাল-১৯৯০
১১১)উৎনাস —প্রকাশকাল-১৯৯০
১১২)তিরিয়ো —প্রকাশকাল-১৯৯০
১১৩)উরলাও —প্রকাশকাল-১৯৯০
১১৪)মিরু —প্রকাশকাল-১৯৯০
১১৫)নাওয়া লাউড়িয়া —প্রকাশকাল-১৯৯০
১১৬)জিয়াড় ঝারণা —প্রকাশকাল-১৯৯০
১১৭)সাগুন সারজম সাকাম —প্রকাশকাল-১৯৯১
১১৮)ভুনচাল —প্রকাশকাল-১৯৯১
১১৯)তাড়ওয়ারি —প্রকাশকাল-১৯৯১
১২০)আঙ্গিভার —প্রকাশকাল-১৯৯১
১২১)জাহের গাড় —প্রকাশকাল-১৯৯১
১২২)টাটওয়াস —প্রকাশকাল-১৯৯১
১২৩)বাইশাখ কুনামি —প্রকাশকাল-১৯৯১
১২৪)পরায়নী সাড়বাহা —প্রকাশকাল-১৯৯১
১২৫)খেরওয়াল —প্রকাশকাল-১৯৯১
১২৬)হড় হপন —প্রকাশকাল-১৯৯১
১২৭)রেঁগলেৎ —প্রকাশকাল-১৯৯১
১২৮)শিকারিয়া —প্রকাশকাল-১৯৯২
১২৯)খন্দরন্দ —প্রকাশকাল-১৯৯২
১৩০)রালি —প্রকাশকাল-১৯৯২
১৩১)আহলা —প্রকাশকাল-১৯৯২
১৩২)এভেন সাকওয়া —প্রকাশকাল-১৯৯৩
১৩৩)ইপিল —প্রকাশকাল-১৯৯৩
১৩৪)মুরুম পাঁজা —প্রকাশকাল-১৯৯৩
১৩৫)কলম —প্রকাশকাল-১৯৯৪-৯৫
১৩৬)চিঠি সাকাম —প্রকাশকাল-১৯৯৫
১৩৭)নাওয়া বাতি —প্রকাশকাল-১৯৯৫
১৩৮)দুপুলাড় —প্রকাশকাল-১৯৯৫
১৩৯)চাচো —প্রকাশকাল-১৯৯৫
১৪০)দিশম সাকাম —প্রকাশকাল-১৯৯৬
১৪১)মারশাল বাতি —প্রকাশকাল-১৯৯৬
১৪২)সাঁওতা পরায়নী —প্রকাশকাল-১৯৯৬
১৪৩)সনেগড় —প্রকাশকাল-১৯৯৭
১৪৪)তুলাজখা —প্রকাশকাল-১৯৯৭
১৪৫)মারশাল ডাহার —প্রকাশকাল-১৯৯৮
১৪৬)গারচিতার —প্রকাশকাল-১৯৯৯
১৪৭)জিউয়ি —প্রকাশকাল-১৯৯৯
♦একবিংশ শতাব্দীর পত্র পত্রিকাঃ
১৪৮)তারাস —প্রকাশকাল-২০০০(মতান্তরে ১৯৯৯)
১৪৯)সান্তাড় গিরা —প্রকাশকাল-২০০০
১৫০)হেঁদে আরসি —প্রকাশকাল-২০০০ ১৫১)রাহি —প্রকাশকাল-২০০০
১৫২)দিশা —প্রকাশকাল-২০০১
১৫৩)তেরাং —প্রকাশকাল-২০০১
১৫৪)অবসর —প্রকাশকাল-২০০১
১৫৫)চমকরচ —প্রকাশকাল-২০০১(মতান্তরে-১৯৯৪)
১৫৬)সার সাগুন —প্রকাশকাল-২০০২
১৫৭)আসেকা চ্যানেল —প্রকাশকাল-২০০২
১৫৮)হুলসাই —প্রকাশকাল-২০০২
১৫৯)পহা —প্রকাশকাল-২০০২
১৬০)খেরওয়াল গোডেৎ —প্রকাশকাল-২০০২
১৬১)খেরওয়াড় —প্রকাশকাল-২০০২
১৬২)তপল —প্রকাশকাল-২০০৩
১৬৩)উমুল —প্রকাশকাল-২০০৩
১৬৪)চিরগাল চির —প্রকাশকাল-২০০৩
১৬৫)সাঁঘারিয়া —প্রকাশকাল-২০০৩
১৬৬)মার্শাল তারাস —প্রকাশকাল-২০০৩
১৬৭)বাকজুনু —প্রকাশকাল-২০০৪
১৬৮)তারসে —প্রকাশকাল-২০০৪
১৬৯)মার্শাল —প্রকাশকাল-২০০৪
১৭০)সিমরাঃ —প্রকাশকাল-২০০৪
১৭১)সিরজন —প্রকাশকাল-২০০৪
১৭২)নাওয়া ইপিল —প্রকাশকাল-২০০৪
১৭৩)আহলা —প্রকাশকাল-২০০৫
১৭৪)সাগেন সাঁওতা —প্রকাশকাল-২০০৫
১৭৫)জিয়ন ঝারণা —প্রকাশকাল-২০০৫
১৭৬)আকিল —প্রকাশকাল-২০০৫
১৭৭)খেরওয়াল জাহের —প্রকাশকাল-২০০৬
১৭৮)জাহের দারে —প্রকাশকাল-২০০৬

সূত্রঃ সাঁওতালি সাহিত্যের ইতিহাস

আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষাবর্ষ

আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষাবর্ষ

সাঁওতালি প্রাথমিক শিক্ষা, সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্র শেখানোর নিরলস প্রচেষ্টা

এই সংস্থা সাঁওতালি প্রাথমিক শিক্ষা, সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্র শেখানোর এক নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এভেন তারাস প্রতিবেদনঃ সাঁওতালি ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি ভারতের প্রাচীন ও অন‍্যতম। বলা হয়– ‘The Santali is the base language of the world’. বিভিন্ন সংগঠন এর প্রসারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এরকমই একটি সংগঠন ‘খেরওয়ালগাড় একাডেমী এন্ড ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন’। এই সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া সান্তালি মিউজিক একাডেমী’র অন্তর্গত বাঁকুড়ার রাঢ় একাডেমীতে কেশরা রেলগেটের নিকট সাঁওতালি প্রাথমিক শিক্ষা, সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্র শিক্ষার এক নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই প্রতিষ্ঠানের সদস্য নির্মল মান্ডি জানালেন— ‘সাঁওতাল ছেলে মেয়েরা সাঁওতালি ভাষা জানলেও সাঁওতালি ভাষার লিপি অলচিকি, সাঁওতালি গান ও বাজনা শেখার সুযোগ পাচ্ছে না। এই প্রতিষ্ঠান তাদের এই সুযোগের ব‍্যবস্থা করে দিচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানে যেকোনো বয়েসের ব‍্যক্তি ভর্তি হয়ে শিক্ষা অর্জন করতে পারে’।

বীরভূম জেলার সিউড়িতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাজাল এর নামে মেলা

 বীরভূম জেলার সিউড়ির বড়বাগানের আব্দারপুর ফুটবল ময়দানে আয়োজিত হতে চলেছে ‘বীরবান্টা বাজাল মেলা-২০১৯’। ১৯শে জানুয়ারি এই মেলা আয়োজিত...