SANTHALDISHOM(সানতাল দিশোম): আদিবাসী উন্নয়ন ও আত্মপরিচয়।

Saturday 4 August 2018

আদিবাসী উন্নয়ন ও আত্মপরিচয়।

লিখেছেন – এদেলশাঙ্কা হাঁসদা।
পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলে উদ্ভূত অদ্ভুত এক রাজনৈতিক সমীকরণ যা শাসকদল সহ কম বেশী যারা এই সব বিষয়ে মাথা ঘামান সকলেই বুঝতে পারছেন। খেরওয়াল সমাজে এই নিয়ে এক আলোড়ন চলছে। এই আলোড়নটা দরকার। বদ্ধ পুকুরের জল যেমন এক স্থানে থেকে পচে যায়, আগাছায় ভরে যায়, পাঁক জমে, তেমনেই মনে হয় যে কোনো সমাজ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কারণে তার নিজের দ্বারা সৃষ্টি গন্ডির মধ্য আবদ্ধ হয়ে থেকে থাকলেও তার মধ্যেও পঙ্কিলতার সৃষ্টি হয়। যদিও আমরা খেরওয়াল সমাজ তথা সাঁওতাল সমাজ কে বা সাঁওতালি ভাষাভাষী মানুষ দের এই ভাবে ভাবতে পারি না। কারণ গ্রামাঞ্চল ছেড়ে ছোট বড় নানান শহরে এখন অনেক সাঁওতালি ভাষাভাষী মানুষের বসবাস গড়ে উঠেছে যা একটা উন্নয়নের মাপকাঠি। পরিসংখ্যান ভিত্তিতে যদিও এর কোনো নথি নেই, যা এখন খুব দরকার। এর ফলে বলা যায় সাঁওতাল তথা খেরওয়াল সমাজ বরাবর পঙ্কিলতার মধ্যে আবদ্ধ থেকেছে বা নতূন কোনো ধারণা কে গ্রহন করেনি বা গ্লোবালাইজেশন এর প্রভাব এর উপর পড়ে নি তা কিন্তু নয়। কিন্তু এই আন্তর্জাতিকতার ঢেউয়ের মধ্যেও এতদিন খেরওয়াল সমাজ নিজেদের বৈশিষ্ট্য পরিচিতি আত্মপরিচয় কে এখনো পর্যন্ত বিলিয়ে দেয় নি, ভূলে যায় নি। কিন্তু ভারতবর্ষ যত বেশি আধুনিকতার দিকে যাচ্ছে, উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত দেশে হবার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে তত বেশি খেরওয়াল আত্মপরিচয় সংকুচিত হয়ে আসছে। সাঁওতাল আত্মপরিচয় ধীরে ধীরে বিলীয়মান। আজ শহরবাসী খেরওয়াল সাঁওতাল তার সত্তা কে ভুলে “মূল স্রোতে” মিশে যাবার পথে। সেই সুত্রে ধরে বরাবর, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিনবঙ্গে খেরওয়ালদের মধ্যে দুটি বিষয় সব সময় পরস্পরের বিপরীতে অবস্থান করেছে। এক উন্নয়ন, দুই আত্মপরিচয়।
স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উন্নয়নের যে রুপরেখা তা খেরওয়ালদের পরিচয় কে স্বীকার করে নয়, অস্বীকার করে। খেরওয়াল বৈশিষ্ট্য কে বজায় রেখে নয়, দলন করে অবজ্ঞা করে। ফলে উন্নয়নের যজ্ঞে সামিল হয়েও নিজেদের শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হবার সম্ভাবনা প্রবল ছিলো, যা এখন বাস্তবে দেখা দিচ্ছে। সেই কারনেই এই লেখাটি পর্যন্ত বাংলায় লিখতে হচ্ছে। যেখনে এটি সাঁওতালিতে লেখার কথা। কারন পশ্চিমবঙ্গের শহরাঞ্চলে নতুন প্রজন্মের সাঁওতালি যুবক যুবতীরা বর্তমানে সাঁওতালি ভাষার থেকেও বাংলা ভাষাতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। শহরাঞ্চলে অ-খেরওয়ালী জাতিয়তাবাদ এতো বেশি প্রকট যে খেরওয়াল জনগোষ্ঠী তাদের আত্মপরিচয়কেই হারিয়ে যেতে বসেছে। নিজের মাতৃভাষা আজ সাঁওতালি থেকে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া হয়েছে। ফলে নিজেদের আত্মপরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকার মতো মানসিক দৃড়তা হারিয়ে ফেলছে খেরওয়াল জনগোষ্ঠী। নিজেই এখন নিজের আসল পরিচয় কে ভয় পায়। যার ফলে খেরওয়াল আজ পরিচয়হীন।
সত্যি কথা বলতে খেরওয়াল তথা সাঁওতালরা “নিজের দেশ” এর সুযোগ সুবিধা ও মাহাত্ম্য এখনো বুঝতে পারে নি। নিজের “ভাষাভিত্তিক রাজ্যের” মর্ম খেরওয়াল সাঁওতাল বুঝতে এখনো পারেনি। অবশ্য ইতিহাস বলে যে, পশ্চিমবঙ্গে যখন ঝাড়খণ্ডী ভাবধারার আন্দোলন চলেছে ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠনের মাধ্যমে নিজস্ব সাংস্কৃতিক ও ভাষিক সত্বা কে পরিপূর্ণতার সঙ্গে বিকশিত করার জন্য; সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল CPI(M) এই ঝাড়খণ্ডী আন্দোলনের ঘোর বিরোধীতা করে। এবং এ কথা মনে রাখা দরকার CPI(M) সমর্থিত সাঁওতালরা তখন কিন্তু বেশ সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন। এই কথা পশ্চিমবঙ্গে বসে আমাদের বার বার স্মরণ করা উচিত। নিজেদের আত্মসমালোচনা করা উচিত। আজ আমরা কেন সেই সব মানুষদের কুম্ভীরাশ্রু দেখে বিগলিত হব? তারাই আজ এই ঝাড়খণ্ডী জাতিয়তাবাদী ভাবাবেগে তাদের রাজনৈতিক রুটি সেঁকতে ব্যস্ত।
পশ্চিমবঙ্গে খেরওয়াল সাঁওতালদের বর্তমানে যা পরিস্থিতি, এটি হবারেই ছিলো। যে জাতি নিজের স্বজাতির রাজ্যর মর্ম না বুঝে উন্নয়নের নেশায় লাল ঝান্ডা ধরে স্বজাতির বিরোধীতা করেছে সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ব এত সহজে হবে কি করে??
খেরওয়াল সাঁওতালদের ওপর বাঙালি হেজিমনিক প্রভাব যা এখন আরো বেশি মাত্রায় প্রকট হয়ে উঠছে তা ছিল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। বাম শাসন আমলে এই বিষয় গুলিকে দাবিয়ে রাখা হতো কারন তারা ছিলো অনেক চতুর ও এই সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রকাশের ঘোরতর বিরোধী। এখন তা ক্রমশ প্রকাশ্যে। কারন বর্তমান শাসক দল খেরওয়াল আদিবাসীদের সেই ভাবে Manipulation করতে পারে নি। অবাকের বিষয় এটাই যে দক্ষিণবঙ্গের সংস্কৃতি কখনোই বাঙ্গালী সংস্কৃতি নয়। এবং তা বুঝেও খেরওয়াল সাঁওতালদের তখন বুর্জোয়া প্রলেতারিয়েত এর গোলোক ধাঁধায় ঘুরিয়ে তাদের আত্মপরিচয়কেই অস্বীকার করা হয়েছে। তার ফল এখন ভুগতে হচ্ছে সাঁওতালদের।
আর ভুগতে হবেই। “কারণ বাংলায় যারা শাসন করেন (কংগ্রেস, বাম, বা তৃণমূল) তারা সাঁওতাল ও সাঁওতালি ভাষা কে করুণার চোখে দেখেন। যখন সাঁওতালি ভাষা সংবিধানের অষ্টম তফশিলে অন্তর্ভুক্ত হল তখন বামপন্থীরা জোরে জোরে প্রচার করলেন যে তাঁরা এই অন্তর্ভুক্তির পক্ষে লোকসভায় সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সাঁওতাল-মুন্ডারি-কুরুখ ভাষার প্রসারে তাঁদের ভূমিকা কতটুকু? একসময় তো তাঁরা দাবি করতেন যে তাঁরা ‘অলচিকি ভাষা’ কে স্বীকৃতি দিয়েছেন”(রাজনীতির এক জীবন: সন্তোষ রাণা) কিন্তু এখন তো আমরা বুঝতে পারছি যে তা ছিলো সম্পূর্ণ এক ভাঁওতাবাজি। এখনো একই ট্রাডিশন চলছে। শাসকের পরিবর্তন হয় কিন্তু শোষণের পরিবর্তন হয় না।
তাই সংবিধান স্বীকৃত ভাষা হওয়া সত্বেও সাঁওতালি ভাষার বিকাশ নেই। সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা নেই। এবং তা পাবার জন্য এখনো SI, DI অফিস ঘেরাও করতে হয়, তালা লাগাতে হয়। বর্তমানে মাঝি পারগানা মহল এই সমস্ত ঘেরাও কর্মসূচি গ্রহণ করেন। কিন্তু মহল থেকেও এই সমস্যার প্রকৃত প্রতিকার সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো ধারনা পাওয়া যায় না। আন্দোলনের রুপরেখা কি হবে, নির্দিষ্ট লক্ষ্য কি তা এখনো পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাছে ধোঁয়াশা পূর্ণ। এই মূহুর্তে সব থকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন খেরওয়াল সাঁওতাল কি ভাবছে তার ভবিষ্যত নিয়ে?? উন্নয়নের পাশাপাশি আত্মপরিচয় কি তারা বজায় রাখতে পারবে? উন্নয়নের ধরণ ও রুপরেখা কি হলে খেরওয়াল সাঁওতালদের আত্মপরিচয় জীবিত থাকবে??
সংরক্ষণের ললিপপ নিয়ে তারা উন্নতি করে সাঁওতালি ভাষা কৃষ্টি নিজের আত্মপরিচয় ভুলে শহুরে বাঙালি-সাঁওতাল এ পরিনত হবে না কি তারা তাদের ভাষাভিত্তিক সাংস্কৃতিক সত্তা কে বজায় রেখে নিজের আত্মপরিচয় বাঁচানোর জন্য লড়াই করবে?? প্রথম সম্ভাবনা টি ইতিমধ্যেই অনেকটাই সফল। কারন আজ সাঁওতাল নব্য প্রজন্ম তার সাঁওতালি ভাষা ভুলে যাচ্ছে। ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলা সংস্কৃতির আগ্রাসনে আজ তামাম সাঁওতাল বাঙালি হবার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে। যা সাঁওতালি ভাষা ও জাতির ক্ষেত্রে এক অভিশাপ বয়ে নিয়ে আসছে। এবং এই কাজ যাতে আরো সহজ হয় তাই Tribal ও Non- Tribal দের মধ্যে বিবাহ হলে সরকার থেকে ভর্তুকি টাকা দেবার ব্যবস্থা আছে। অর্থাৎ জাতিগত সত্তা কে মিশিয়ে দেবার প্রচেষ্টা আছে, ভাষিক বৈশিষ্ট্য কে দমন ও দলন করে চলা হচ্ছে কিন্তু এই সাঁওতালি ভাষা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। সামান্য প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতেও না। আর সাঁওতালি ভাষা পড়ানোর ক্ষেত্রে এতো আঞ্চলিকতা কেন?? বাংলা ভাষায় পড়ানো সমস্ত খেরওয়াল সাঁওতাল অঞ্চলে চলতে পারে কিন্তু সাঁওতালি ভাষায় পড়ানো পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতে পারে না। শুধু মাত্র সাঁওতাল অধ্যুষিত অঞ্চলেই পড়ানো হবে কেন? এ থেকে বোঝা যায় বর্তমান শাসক দল তো শুধু মাত্র তার পূর্বসূরির পদাঙ্ক অনুসরণ করছে।
এই চলমান বাস্তবতা কবে বুঝবে শিক্ষিত সাঁওতাল সম্প্রদায়?? এই বিচ্ছিন্নতা সুপ্ত আছে গভীর গোপনে। সাঁওতালি জাতিসত্তা ভুলতে বসা, ভাষা ভুলতে বসা, সংস্কৃতি ভুলতে বসা সেই সব সাঁওতালগণ, সচেতন হও। এগিয়ে আসুন। জাতিয়তাবাদের জন্ম হয় নিজের মাতৃভাষা থেকে। সংস্কৃতি থেকে। আত্মপরিচয় হীন মানুষের উন্নয়ন হলেও তার অস্তিত্ব বিপন্ন হয়। উন্নয়নের ডঙ্কা বাজিয়ে CPI(M) একবার সাঁওতালদের আত্মপরিচয়ের অধিকার কে ধ্বংস করেছে এখনো সেই একি লাইনে শাসকদল চলেছে।
পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান শাসক দল খেরওয়াল আদিবাসীদের প্রতি একটি স্টিরোটাইপ ধারণা পোষন করে চলেছে যা বামপন্থী আমলের তৈরী করা। সাঁওতাল মানেই 2 টাকা কেজি চাল খেয়ে বেঁচে থাকা মানুষ, সাঁওতাল মানেই পূব খাটা (নামাল খাটা) সস্তা লেবার। সাঁওতাল মানেই “মহুলিয়া ভাকু খাইয়ে” পড়ে থাকা মানুষ। এদের ভাষা সংস্কৃতি ও জাতিয়তাবাদের কোনো মূল্য নেই। যদিও নাম মাত্র ভাষা স্বীকৃতি বর্তমান সরকারেরই দেন কিন্তু তার প্রয়োগ বিশ বাঁও জলে।
খেরওয়াল সাঁওতাল জাতীয়তাবাদ ধ্বংসের মূলে আমরা সাঁওতালরাই আগে থেকেই আগে আগে। আবার বলি, এই প্রবণতার শুরু সেই বামফ্রন্ট আমলে। কারণ,”1986 সালে যখন দক্ষিণ বিহার, পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চল, উড়িষ্যার কয়েকটি জেলা এবং মধ্যপ্রদেশের কিছু জেলা নিয়ে পৃথক ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠনের আন্দোলন শুরু হয়, তখন পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ক্ষমতায় আসীন বামপন্থীরা বিশেষত CPI(M) তীব্রভাবে বিরোধীতা করে। তারা এই আন্দোলনকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে নিন্দা করে। যে এলাকাগুলি নিয়ে এই ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠনের আন্দোলন চলছিল সেই আদিবাসী প্রধান এলাকাগুলিতে ছিল একটি সাধারণ সংস্কৃতি যা বাংলা, বিহার উড়িষ্যা বা মধ্যপ্রদেশের সংস্কৃতি থেকে আলাদা। পৃথক রাজ্য গঠিত হলেই যে ওই পশ্চাদপদ এলাকার সব সমস্যা সমাধান হয়ে যেত তা নয়, কিন্তু ভারতের গণতন্ত্রের প্রসারের জন্য এই পদক্ষেপ কাঙ্খিত ছিল। যে কারণে 1958 সালে বাঙালিরা বাংলা-বিহার সংযুক্তিকরণের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন, সেই একি কারণে ঝাড়খণ্ড সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের মানুষেরা আলাদা রাজ্য চাইছিলেন।”(রাজনীতির এক জীবন: সন্তোষ রাণা)
ঝাড়খণ্ডী মানসিকতা, ঝাড়খণ্ডী ভাবধারাই একমাত্র পথ যা খেরওয়াল সাঁওতালদের উন্নয়ন ও অস্তিত্ব দুটোকেই বজায় রাখতে পারবে। এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে ঝাড়খণ্ডী ভাবধারা কি? এককথায় ঝাড়খণ্ডী ভাবধারা হলো নিজের আত্মপরিচয়ের বহিঃপ্রকাশ। ঝাড়খণ্ডী ভাবধারা হলো ঝাড়খণ্ডী জাতিয়তাবাদ। খেরওয়াল সাঁওতাল জাতীয়তাবাদ। জাহের থানে বঙ্গা বুরু প্রার্থনাকারী জাতির জাতীয়তাবাদ। যা আজ পশ্চিমবঙ্গে বিলীন।
সুতরাং খেরওয়াল সাঁওতাল ভাবো এখন। কি করবে? মাতৃভাষায় শিক্ষা যে মুখের মোয়া নয় এবং সেই পূরানো আপ্ত বাক্য “Land less culture does not survive” তা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন তো ?? শরশয্যায় শায়িত খেরওয়াল সাঁওতালের পশ্চিমবঙ্গে ভবিষ্যত কি, কেউ জানেনা।
তাই এখন দাবাং ঝাড়খণ্ডী ভাবধারার আন্দোলন না হলে খেরওয়াল সাঁওতালদের আত্মপরিচয় বিস্তৃতির অতলে তলিয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান জেলার মতো জঙ্গলমহলেও সাঁওতাল হারিয়ে যাবে। সেই সময় প্রায় আগত। কারণ খেরওয়াল সাঁওতালদের পাশাপাশি বসবাসরত অপর একটি জনগোষ্ঠী তফশিলি উপজাতির পরিচয় পেতে হন্যে হয়ে আছে এবং তা যদি সফল হয় তাহলে সাঁওতাল জাতি কে খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজার মতো খুঁজতে হবে।
ডিসক্লেমার: লেখকের মতামত সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত।

No comments:

Post a Comment

বীরভূম জেলার সিউড়িতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাজাল এর নামে মেলা

 বীরভূম জেলার সিউড়ির বড়বাগানের আব্দারপুর ফুটবল ময়দানে আয়োজিত হতে চলেছে ‘বীরবান্টা বাজাল মেলা-২০১৯’। ১৯শে জানুয়ারি এই মেলা আয়োজিত...