SANTHALDISHOM(সানতাল দিশোম): আদিবাসীরা প্রতিরোধের রাস্তায় --- আতঙ্কে !!

Thursday 29 March 2018

আদিবাসীরা প্রতিরোধের রাস্তায় --- আতঙ্কে !!

আদিবাসীদের অশিক্ষিত, অঞ্জতা ও সরলতার সুযোগ নিয়ে অহরহ চলছে প্রতারণা, বঞ্চনা সহ গণধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা। আদিবাসীরা সর্বত্র ই সহজ প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সকল ক্ষেত্রেইঅতি সহজেই ব্যবহার হয়ে উঠছে রাজনীতি করার সহজ উপকরণ আদিবাসী সাঁওতাল নরনারী। রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, শীত, গ্রীষ্ম উপেক্ষা করে রাজনৈতিক জমায়েতে  ভিড় বাড়ানোর হয় ও আদিবাসীদের প্রোজেক্ট করে অর্থ লোপাটের করার নিয়মিত কর্ম পরিকল্পনা। আদিবাসী সাঁওতাল রাত মনোরঞ্জনের বস্তুত পরিনত হচ্ছে দিন দিন। কোন সময়, কখনও নাচ দেখিয়ে, কখনও তাদের  শরীর  ভোগ করে, কখনো সেটা গণ পর্যায়ে পৌঁছায়। প্রতিনিয়ত শত শত ঘটনার মধ্যে দুয়েকটা দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডীর দেহাবান্দের ঘটনার বহিঃপ্রকাশ হয়। সেটাও প্রশাসনিক কায়দা বা কৌশলে ধামাচাপা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়। আদিবাসী সাঁওতাল অধিকাংশ সময়েই বিচার পায় না। প্রতিবাদ, প্রতিরোধের চেষ্টা করা করলে রাজনৈতিক প্রশাসনিক ভাবে ছিন্ন ভিন্ন করা হয়। হুমকি দেওয়া হয়। প্রলোভন দেখান হয়। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বিপথগামী করা হয় আন্দোলন থেকে। অপবাদ দিয়ে, অন্যায়  ভাবে তাঁকেই শাস্তি দেওয়া হয়। আতঙ্কিত আদিবাসী জনগোষ্ঠী। বিশেষত সাঁওতাল জাতি। সাঁওতালি মাধ্যমের পঠন পাঠন প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতা। শুধুই প্রতিশ্রুতি। বাস্তব কোথাও লক্ষ্য করা যায় নি। আতঙ্কে আদিবাসী রা অস্তিত্ব বিপন্ন আভাস। আদিবাসী সাঁওতালদের আক্রমণ, গণধর্ষণ সন্ত্রাসের পর্যায়ে পৌঁছেছে। সাঁওতাল নারী ধর্ষিত হলে সুশীল সমাজের নজরে আসে না। বরং রাজনৈতিক বক্তব্যের সংযোজন হয়। অন্যদের আদিবাসী সংরক্ষণের তালিকাভুক্ত প্রক্রিয়ায় দিশাহারা। আদিবাসী সংরক্ষিতদের সরকারি সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতে না পেতেই অ-আদিবাসীদের আদিবাসী তালিকাভুক্ত করার বর্তমান সরকারের অতি আগ্রহ আদিবাসীদের আরো সন্ত্রস্ত করে তুলছে। যাদের জন্য সরকারি সহযোগিতা, উদ্যোগ, প্রচেষ্টা সেটা কিছু না বুঝেই শুধু রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি তৎপরতা নয় কি? যারা বিগত  সময়ে বার বার নিজেদের ক্ষত্রিয় হিন্দু বলে বার বার দাবি করেছে, যাদের নিজস্ব নেই, যারা মূলস্রাতে হারিয়ে গেছে। যারা শিক্ষা দিক্ষায়, অর্থনীতিতে রাজনীতিতে সাধারণের সঙ্গে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, তারা কি করে আদিবাসী তালিকাভুক্ত হয়। আর এটা সকলে বুঝলেও রাজনীতির ফায়দা তোলার জন্য সরকার রাজনীতি করে যাচ্ছে। আর আদিবাসীরা আতঙ্কে । আর আতঙ্ক থেকে নিস্তার  জন্য বিকল্প পথ খোঁজার চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টা শুরু হয়েছে সকলের মনে আবার সাংগঠনিক ভাবেও। বঞ্চনার প্রতিরোধ করবে সামাজিক ভাবেও। আদিবাসী এলাকায় প্রতিবাদী মিছিলে হেঁটেছে, জেলা শহর ছেড়ে রাজধানী তে পৌঁছেছে। প্রতিবাদের শ্লোগান ধ্বনি হচ্ছে। ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে মূল আদিবাসীরা। বৃহত্তর ও চরম পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য। উত্তর থেকে দক্ষিণ আওয়াজ উচ্ছেদ। হুংকার----হুঁশিয়ারি!!

No comments:

Post a Comment

বীরভূম জেলার সিউড়িতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাজাল এর নামে মেলা

 বীরভূম জেলার সিউড়ির বড়বাগানের আব্দারপুর ফুটবল ময়দানে আয়োজিত হতে চলেছে ‘বীরবান্টা বাজাল মেলা-২০১৯’। ১৯শে জানুয়ারি এই মেলা আয়োজিত...