সংরক্ষণ নিয়ে সাধারণত যে আলোচনা হয়, সেটা Scheduled Cast (SC), Scheduled Tribe (ST) দের সংরক্ষণ নিয়ে। তারপরে আসে OBC দের সংরক্ষণ নিয়ে। এই সংরক্ষণ তিন প্রকার । (১) শিক্ষায় সংরক্ষণ (২) চাকরীতে সংরক্ষণ এবং (৩) নির্বাচনে সংরক্ষণ|
Scheduled Cast (SC), Scheduled Tribe (ST) এবং Other Backward class (OBC)| সংবিধানে SC দের সংরক্ষণ 15.% ST দের 7.50% এদের জন সংখ্যা হিসাবে এই সংরক্ষণ নির্ধারিত হয়েছিল। পরে OBC দের জনসংখ্যা 52% হওয়া সত্বেও 27% সংরক্ষণ কেন্দ্রীয় সরকারী হিসাবে নির্ধারিত হয়েছে । রাজ্য সরকারী হিসাবে এই % আরো কম। এক এক রাজ্যে একক রকম । এই তিন বর্ণের মোট সংরক্ষণ 49.5%. এদের মধ্যে ধর্ম পরিবর্তিদের অর্থাৎ যারা এই তিন বর্গ থেকে ধর্মান্তরিত হয়েছে তাদের জনসংখ্যা 10.5% মত । মোট জনসংখ্যা হচ্ছে (৭.৫+১৫+৫২+১০.৫) 85%| এই 85% জনগণের অধিকার 50% সংরক্ষণে। যদিও সংবিধানে এই কথা উল্যেখ নেই যে সংরক্ষণ 50% এর উর্ধে হতে পারবে না । দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে 69% সংরক্ষণ আছে। আর সেখানকার প্রগতি ভারতবর্ষের অন্য যেকোন রাজ্যের থেকে অনেক বেশী ।
যে কথা বলছিলাম- 85% ভারতের জনসংখ্যার জন্য সংরক্ষণ 50% আর বাকি 15% লোকের জন্য অলিখিত সংরক্ষণ 50%| এর পরে আরো আছেন| 85% এর জন্য যে 50% সংরক্ষণ নির্ধারিত , তারা পায় বা পেয়ে থাকে বা ভোগ করে এই 50% এর অর্ধেকের ও কম । যেটা কম, সেটাও ভোগ করে ঐ 15% লোকেরা। এই 15% লোক কারা ? এরা ব্রাহ্মণ, ক্ষৈত্র এবং বৈশ্য। যাদের জনসংখ্যা যথাক্রমে 3.5%, 4.50%, 7% (এই % প্রায় এরকম )। এবার দেখুন এই তিন শ্রেণির লোকেরা 15% হয়েও 50% এর অধিক সুবিধা ভোগ করছে । কিন্তু এদের এতেও শান্তি নেই, তাই প্রতিনিয়ত SC, ST, OBCদের প্রতি বিষ নিক্ষেপ করে চলেছে । তাদের কথা হচ্ছে সংরক্ষণের জন্য দেশ পিছিয়ে পড়ছে । আপনারা একটু ভাবুন তো সত্যি সত্যি দেশ কাদের জন্য পিছিয়ে পড়ছে ? সেটা আপনারা কখনও ভাববেন না। প্রকৃত পক্ষে কারা সংরক্ষণের সিংহ ভাগ কারা ভোগ করছে দেখুন এই লিংকে।http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx…
যে কথা বলছিলাম- 85% ভারতের জনসংখ্যার জন্য সংরক্ষণ 50% আর বাকি 15% লোকের জন্য অলিখিত সংরক্ষণ 50%| এর পরে আরো আছেন| 85% এর জন্য যে 50% সংরক্ষণ নির্ধারিত , তারা পায় বা পেয়ে থাকে বা ভোগ করে এই 50% এর অর্ধেকের ও কম । যেটা কম, সেটাও ভোগ করে ঐ 15% লোকেরা। এই 15% লোক কারা ? এরা ব্রাহ্মণ, ক্ষৈত্র এবং বৈশ্য। যাদের জনসংখ্যা যথাক্রমে 3.5%, 4.50%, 7% (এই % প্রায় এরকম )। এবার দেখুন এই তিন শ্রেণির লোকেরা 15% হয়েও 50% এর অধিক সুবিধা ভোগ করছে । কিন্তু এদের এতেও শান্তি নেই, তাই প্রতিনিয়ত SC, ST, OBCদের প্রতি বিষ নিক্ষেপ করে চলেছে । তাদের কথা হচ্ছে সংরক্ষণের জন্য দেশ পিছিয়ে পড়ছে । আপনারা একটু ভাবুন তো সত্যি সত্যি দেশ কাদের জন্য পিছিয়ে পড়ছে ? সেটা আপনারা কখনও ভাববেন না। প্রকৃত পক্ষে কারা সংরক্ষণের সিংহ ভাগ কারা ভোগ করছে দেখুন এই লিংকে।http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx…
এই পিছিয়া পড়া শ্রেণির লোকদের তো মানুষ বলে মনে করা হয় না। তাইতো তাদের SC- 1500, ST -700, OBC- 4743 জাতিতে বিভক্ত করা হয়েছে| জাতি হয় পশুদের মধ্যে। মনুবাদীরা এই SC, ST, OBC দের পশুর স্তরে নামিয়ে দিয়েছেন। তথাকথিত স্বাধীনতার পর শাসন ভার কাদের হাতে চলছে ? প্রশাসনে কয়জন SC, ST, OBC আছে ? তবুও যতো দোষ নন্দ ঘোষ ? কথায় কথায় বলা হয় সংরক্ষণ আর্থিকতার উপর হওয়া দরকার । কিন্তু সংবিধানে সংরক্ষন তো আর্থিকতার উপর ভিত্তিকরে নির্ধারিত হয়নি। সংরক্ষণ নির্ধারিত হয়েছে সামাজিক বৈষম্যের আধারে। আর সেই বৈষম্য করেন উচ্চবর্ণ মনুবাদীরা| কিন্তু সেকথা কেউ মনের ভুলেও উচ্চারণ করেন না কেন ?
একবার দেখে নেওয়া যাক এই সংরক্ষণের আধার কি ? তার আগে দেখি কাদের SC বলা হয়।
বহু শিক্ষিত লোক আছেন, যাঁরা Scheduled Caste কথাটার মর্মই বোঝেন না, এমনকি যারা চাকরিজীবি তারাও এর প্রকৃত অর্থ জানেন না। SC নামে কোন জাতি নেই। কতকগুলি জাতির সমষ্টি হচ্ছে SC . S-Scheduled, যার অর্থ অনুসূচী ।এখানে ‘অনু’ মানে ক্রমাঙ্ক এবং ‘সূচী’ মানে তালিকা। অর্থাৎ সূচী বা ক্রমবদ্ধ অর্থাৎ ধারাবাহিক তালিকাভুক্ত জাতি ।
বহু শিক্ষিত লোক আছেন, যাঁরা Scheduled Caste কথাটার মর্মই বোঝেন না, এমনকি যারা চাকরিজীবি তারাও এর প্রকৃত অর্থ জানেন না। SC নামে কোন জাতি নেই। কতকগুলি জাতির সমষ্টি হচ্ছে SC . S-Scheduled, যার অর্থ অনুসূচী ।এখানে ‘অনু’ মানে ক্রমাঙ্ক এবং ‘সূচী’ মানে তালিকা। অর্থাৎ সূচী বা ক্রমবদ্ধ অর্থাৎ ধারাবাহিক তালিকাভুক্ত জাতি ।
কোন জাতিকে SC -এর তালিকাভুক্ত করার জন্যে তিনটি শর্ত আছে ।
(১) শিক্ষাগতভাবে অনগ্রসরতা, (২) সামাজিকভাবে অনগ্রসরতা, ও (৩) এদের সঙ্গে অস্পৃশ্যতামূলক আচরণ ।
(১) শিক্ষাগতভাবে অনগ্রসরতা, (২) সামাজিকভাবে অনগ্রসরতা, ও (৩) এদের সঙ্গে অস্পৃশ্যতামূলক আচরণ ।
ST- দের জন্যেও এরূপ তিনটি শর্ত আছে । (১) শিক্ষাগতভাবে অনগ্রসরতা, (২) সামাজিকভাবে অনগ্রসরতা, ও (৩) যাদের মধ্যে আদিম জীবন-যাত্রার বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় ।
আর OBC -দের ক্ষেত্রেও তিনটি শর্ত আছে । (১) শিক্ষাগতভাবে অনগ্রসরতা, (২) সামাজিকভাবে অনগ্রসরতা, ও (৩)SC/ST নয়, অথচ অনগ্রসর ।
সংবিধানে যে তিন প্রকার মূল সংরক্ষণের উল্লেখ আছে , সেখান শিক্ষা ও চাকরির সংরক্ষণের কোন নির্ধারিত সময় সীমার উল্লেখ নেই । আর নির্বাচনে সংরক্ষণ ছিল দশ বছরের জন্য। কিন্তু প্রতি দশ বছর পরে পরবর্তি দশ বছরের জন্য নির্বাচনের সংরক্ষণ কে বাড়িয়ে দেওয়া হয় । কেন ? এই দশ বছরের জন্য বাড়ানোর জন্য কি কোন SC, ST রা কোন প্রকার আন্দোলন করেছে ? তবে কেন ? আর কেন বাড়াতে হবে তার জন্য সংসদে কি কোন চর্চা হয় ? কেন হয় না ? কারণ চর্চা হলে দেখা যেত নির্বাচনের সংরক্ষণের ফলে SC, ST রা কোন প্রকার উপকার পাচ্ছে না। সেটা পাচ্ছে বাকি শ্রেণির লোকেরা। SC, STদের মধ্যে থেকে যারা নির্বাচনে জয়ী হন , তারা পার্টির প্রতিনিধি রূপে কাজ করনে। তাঁর সমাজের নয়। যদি কেউ ভুল করে ও তাঁর সমাজের সমাজের কথা উল্লেখ করেন তবে তাঁকে জাত-পাত, সাম্প্রদায়িক বলে 'কুচে' মাছের চাল ছাড়ানোর মতো ছাল ছাড়ানো হয় মিডিয়ার মাধ্যমে। ফলে এরাঁ মনের ভুলে ও তাঁর সমাজের নাম নিতে সাহস পান না। গোলামিতে আনন্দ উপভোগ করে। তাই যে নির্বাচনে সংরক্ষণের বৃদ্ধি এটা উচ্চ শ্রেণির সুবিধার জন্যই। এখানে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে যে , যখন এই নির্বাচনের সংরক্ষণ পরবর্তি দশ বছরের জন্য বাড়ানো হয়, তখন মিডিয়া প্রচার করে SC, ST দের জন্য শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রের সংরক্ষণ দশ বছরের জন্য বাড়ানো হোল। এটা শুনে SC, ST দের বাকিরা গালি দিতে শুরু করে। যে গালি দেওয়ানোর কাজ ইচ্ছা করে করানো হয়। কারণ যাকে নীচ্ করে রাখা হয় তাকে গালি দিতে নীচ্ করে রাখার লোকদের মজা হয় । তাহলে এবার বলুন তো কে প্রকৃত সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করছে ? এই 85% লোকেরা 50% নিয়ে, নাকি 15% লোকেরা 50% নিয়ে ?
(মূল লেখাটি লিখেছন জগদীশচন্দ্র রায়, কিছু অংশ সম্পাদনা করা হয়েছে|)
(মূল লেখাটি লিখেছন জগদীশচন্দ্র রায়, কিছু অংশ সম্পাদনা করা হয়েছে|)
No comments:
Post a Comment