Friday, 31 January 2020
Thursday, 30 January 2020
অল চিকি লিপিতে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে লেখা হলো। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সম্ভবত এটিই প্রথম

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সম্ভবত এই প্রথম গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে অলচিকি হরফ লেখা হলো। এই জেলায় এর আগে আর কোথাও সরকারের এমন কাজ লক্ষ্য করা যায় নি। কেননা মাতৃভাষায় শিক্ষার দাবি তে ও সরকারি কার্যালয় গুলিতে অলচিকি হরফে লেখার দাবিতে আদিবাসী সংগঠন কে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সান্তালি ভাষা অলচিকি লিপিতে শিক্ষার সঠিক পরিকাঠামো তৈরীর জন্য। তারই সঙ্গে সংগঠনগুলির দীর্ঘদিনের দাবি বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় ও হসপিটাল স্কুল কলেজ গুলিতে অল চিকি হরফে লিখতে হবে।
এ নিয়ে গত ২১ শে ডিসেম্বর ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল এর পক্ষ থেকে আদ্রা রেলওয়ে ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনগুলিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।এদিন সংগঠনের পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দেওয়া হয় যে সমস্ত রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের সময়সূচী সাঁওতালি ভাষায় ঘোষণা ও অলচিকি হরফ স্টেশনে লিখতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জায়গায় সরকারি কার্যালয় গুলিতে অল চিকি হরফে ইতিমধ্যে লেখা হয়ে গেছে। কোথাও স্কুল-কলেজে, কোথাও ব্লক কার্যালয়ে আবার কোথাও পঞ্চায়েত কার্যালয় গুলিতে অলচিকি হরফ লেখা হয়েছে।
এমনি দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ২নং ব্লকের (গোয়ালতোড়) পিংবনি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে অলচিকি হরফ লেখা হয়েছে। সম্ভবত পশ্চিম মেদিনীপুরে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে এই প্রথম অল চিকি হরফে লেখা হলো। এতে এলাকার স্থানীয় আদিবাসী সাঁওতাল অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মানুষ খুবই খুশি হয়েছে। কেননা তারা জানায় নিজের মাতৃভাষা অলচিকি হরফ সরকারি কার্যালয় গুলিতে লেখা হচ্ছে। এতে করে তারা খুব সহজে অলচিকি হরফে লেখা পড়তে ও বুঝতে পারছে। তারা এটাও জানায় যে সমস্ত সরকারি অফিস গুলিতে দিকে দিকে অল চিকি জানা কর্মী নিয়োগ হক।
Wednesday, 29 January 2020
তপশিলী উপজাতি কোটায় চাকরি পেয়ে সমাজের বাইরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ
Bank থেকে ঋণ নিয়ে শোধ না করে অন্য যায়গায় আনন্দ করার জন্য টাকা খরচ করলে আপনি নিশ্চয় অপরাধী হবেন, তাহলে Scheduled Tribe (ST) বা তপশিলী উপজাতি কোটায় চাকরি পেয়ে সমাজের বাইরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে আপনি কি অপরাধী নন? সংরক্ষণের সুযোগ আদতে সমাজের তরফে ST সমাজের মানুষজনকে ঋণ| যদি কোন ST তালিকাভূক্ত মানুষ লেখাপড়া ও চাকরি পাবার ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুযোগ নিয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার পর সমাজের ঋণ শোধ না করেন, তাহলে সে কি অপরাধী নয়? নিজের বিবেক কে একবার প্রশ্ন করুন|
ঠিক আছে বিবাহ বিষয়টি যদি ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা মানা হয় এবং একজন সংরক্ষণের সুযোগ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠিত ST তালিকাভূক্ত মানুষ non-ST মানুষকে বিবাহ করলেন, তাহলে সেই ব্যাক্তি কিভাবে সমাজের ঋণ শোধ করবেন কেও জানাবেন|
আজ হোক বা কাল, আগামী দিনে নিশ্চিত ভাবে এই আইন তৈরী হবে যে বা যারা Scheduled Tribe (ST) বা তপশিলী উপজাতি কোটায় চাকরি পেয়ে সমাজের বাইরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন, তাদের জেলবন্দি করা হবে ও কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে| ঠিক যেরকম Bank থেকে ঋণ নিয়ে শোধ না করে যারা পালিয়ে যায়, তাদের জেলবন্দি করে শাস্তি দেবার আইন আছে Indian Penal Code (IPC) এ|
ঠিক আছে বিবাহ বিষয়টি যদি ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা মানা হয় এবং একজন সংরক্ষণের সুযোগ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠিত ST তালিকাভূক্ত মানুষ non-ST মানুষকে বিবাহ করলেন, তাহলে সেই ব্যাক্তি কিভাবে সমাজের ঋণ শোধ করবেন কেও জানাবেন|
আজ হোক বা কাল, আগামী দিনে নিশ্চিত ভাবে এই আইন তৈরী হবে যে বা যারা Scheduled Tribe (ST) বা তপশিলী উপজাতি কোটায় চাকরি পেয়ে সমাজের বাইরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন, তাদের জেলবন্দি করা হবে ও কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে| ঠিক যেরকম Bank থেকে ঋণ নিয়ে শোধ না করে যারা পালিয়ে যায়, তাদের জেলবন্দি করে শাস্তি দেবার আইন আছে Indian Penal Code (IPC) এ|

Sunday, 26 January 2020
CHARAN HANSDAH BEST VIDEO COLLECTION
E Juri Gate (Full Song)|Charan Hansdah|Rilamala Mandi|Ranjit Kr.Tudu|
Mone Renag Mondir Re || Album - Jhom Jhom || New Santali Album 2019
Ama Inja Mone Dare Nadi Leka | Album - Ama Inja Mone Topol Akana | New Santali Album 2018
DULAR POHA (FULL VIDEO) | Ft. Charan, Poyrani
JHOM JHOM 2 (FULL VIDEO) | NEW SANTALI VIDEO 2019 | Dushasan Mahato, Vishu Mardi | Ft. Charan, Puja
MONE BAHA RE AM GE/AMA INJA DULAR /NEW SANTALI MORDEN HD VIDEO SONG
New Santali album 2018 | NISHA NISHA | SATHI & CHARAN |
CHOL KURI (Full Video) || Album - E Chhori Na
Sajaw Enam (New Santali Album - SANGINJ DISOM PERA )
Danda Hilaw Tege Sangat || New Santali Album - Ama Rupge Jhalkaw Hiju Kan
JIWI JALA RE - AAM BANG TE(FULL VIDEO) | New Santali album 2018 | CHARAN & SHALINI
Ninda Chando | Album - Chhemek Chhemek | New Santali Album 2018 |
Saturday, 25 January 2020
Friday, 17 January 2020
২২_২৩শে_জানুয়ারি_বৌজাল_স্মরণ_মেলায়_দেশবিদেশের_গুণীজন_আগমনে_নক্ষত্র_সমাবেশ_হতে_চলেছে_সিউড়ি।
সাঁওতাল আদিবাসীরা চিরকাল স্বাধীনচেতা।মৌর্য, গুপ্ত,পাল বা সেনযুগে তাঁরা স্বাধীন ছিলেন এমনকি পাঠান বা মুঘলদের সময়েও তাঁদের স্বাধীন বিচরণ ব্যাহত হয়নি।বিভূতিভূষণের আরণ্যকে আমরা সাঁওতাল রাজা দোবরু পান্নাকে দেখেছি।সাঁওতালরা তাঁকে এবং তাঁর বংশধরদের রাজা মানলেও সেখানেও নিয়মিতভাবে খাজনা দেওয়ার প্রথা ছিল না। ছিল রাজাকে শ্রদ্ধার উপহার দেওয়ার রেওয়াজ।স্মরণাতীত কাল থেকে পাঠান মুঘল যুগ পর্যন্ত এমনকি ইংরেজ শাসনের প্রথম দিকেও সাঁওতালদের খাওয়াপরার অভাব ছিল না।প্রয়োজন হলেই বনজঙ্গল পরিস্কার করে তাঁরা কৃষিজমি তৈরি করে নিতেন।এছাড়া বনজঙ্গলে নানারকম ফলমূল ও শিকারও পাওয়া যেত। কিন্তু বেনিয়া ব্রিটিশ কোম্পানির সামন্ততান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় আদিবাসী সাঁওতালরা শোষনের শিকার হয়ে পড়েন।কোম্পানির লোকজন সাঁওতালদের কাছে খাজনা দাবি করে বসে।খাজনা আদায়ের নামে সহজ সরল শান্তিপ্রিয় মানুষগুলোর উপর অমানুষিক অত্যাচার শুরু করে।সাঁওতালরা কোনদিনই ইংরেজ শাসনকে ভাল চোখে দেখেননি।প্রথম যে মানুষটি ব্রিটিশ শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন তাঁর নাম বাবা তিলকা মাঁঝি(মুর্মু)। তিলকা মুর্মুর নেতৃত্বে ১৭৮৪ সালে সাঁওতালরা প্রথম ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন।একবছর ধরে তাঁরা কোম্পানির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালান। শেষপর্যন্ত তিলকা ধরা পড়েন।ইংরেজ বাহিনী তিলকা মাঁঝিকে ভাগলপুরে ধরে এনে তাঁকে পৈশাচিক ভাবে হত্যা করে।শহীদ তিলকার কথা ইতিহাসে সেভাবে লেখা হয়নি,লেখা হয়নি ১৮৫৫ সালের সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রকৃত ইতিহাস। প্রকৃত ইতিহাস লেখা হলে সাঁওতাল বিদ্রোহকে ঐতিহাসিকরা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বলতে দ্বিধাবোধ করতেন না।
তিলকা মাঝির পর ১৮৫৫ সালের ৩০শে জুন বর্তমান ঝাড়খণ্ডের বারহেট থানার ভগ্নাডিহি গ্রামে আর একবার বিদ্রোহের দামামা বেজে ওঠে।অত্যাচারী জমিদার, মহাজন আর অসাধু ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার মানুষ সিদো-কানহুর নেতৃত্বে ইংরেজদের সামন্ততান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম চালান।হাজার হাজার সাঁওতাল বিদ্রোহীর প্রচণ্ড আঘাতে সেদিন দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী ইংরেজ বাহিনী বারবার পরাজয়ের মুখে পড়ে।শেষপর্যন্ত ইংরেজ রাজশক্তির কাছে সাঁওতালরা পরাজিত হয় বটে কিন্তু যে সাহস তাঁরা দেখিয়েছিলেন তার কোনো তুলনা হয় না।সিদো-কানহুর নেতৃত্বে এই সংগ্রাম যেভাবে সাঁওতাল পরগনা,বীরভূম, বর্ধমান,মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল তার পিছনে ছিল অনেক সাঁওতাল যুবকের অবদান। ইতিহাসের পাতায় সেসব বীর সন্তানদের কথা লেখা নেই।১৯৭৬ সালে ডঃ ধীরেন্দ্রনাথ বাস্কে যদি 'সাঁওতাল গণসংগ্রামের ইতিহাস ' না লিখতেন তবে হয়তো আমরা সিদো- কানহু-চাঁদ-ভৈরবকে বা তাঁদের আন্দোলনকে এভাবে জানতে পারতাম না।আজও যেমন অনক বীর সাঁওতালদের কথা আমরা জানি না।বৌজাল সরেনও তেমনি একজন সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়ক।ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার কালহাজোড় গ্রামের সন্তান। সিদো-কানহুর ডাকে সাড়া দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহাজন,সুদখোর, আর অত্যাচারী জমিদারদের বিরুদ্ধে। অত্যাচারী,চরিত্রহীন,সুদখোর রূপসিং তামুলীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি তাকে হত্যা করেন।এই বৌজাল সরেন ছিলেন একজন শিল্পিও।অসাধারণ বাঁশি বাজাতে পারতেন।বাজাতে পারতেন বেহালা। যাঁর বাশির সুরে মোহিত হয়ে পড়তো হাজার হাজার মানুষ সেই মানুষটি তামুলী হত্যার দায়ে ইংরেজ বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন।তাঁকে কালহাজোড় থেকে সিউড়ি জেলে নিয়ো আসা হয়।ঠিক সেইসময় বৌজাল বা বাজাল সরেনের রত্নগর্ভা মা বাজালকে জিজ্ঞেস করলেন -
"তকয় হুকুমতে বাজাল,তকয় বলেতে.."
সেই হৃদয়বিদারক গানের বাংলা তর্জমা করলে মোটামুটি এরকম দাঁড়ায় -
"কার হুকুমে বাজাল তুমি রূপসিং তামুলিকে হত্যা করলে"?
বাজালের উত্তর ছিল-" সিদোর হুকুমে মাগো কানহুর কথাতে"।
মা জিজ্ঞেস করলেন-" তোমার হাতে শিকল পায়ে বেড়ি বাজাল তুমি যাচ্ছ জেলখানায়।
বাজালের নির্ভীক উত্তর -" শিকল নয় মাগো এ আমার হাতের বাঁশি, বেড়ি নয় মাগো এ আমার পায়ের নূপুর, জেলখানায় নয় মা,আমি যাচ্ছি সিউড়ি বড়বাগানের মেলা দেখতে"।
কী অসম্ভব সাহাস ছিল বীরবান্টা বৌজালের।সেই কথা সেই গানের সুরের কথা ইতিহাসের পাতায় না থাকলেও আছে হাজার হাজার সাঁওতালের হৃদয়ে।মুখে মুখে সে গান আজ বহুল প্রচলিত এবং প্রচারিত।
সিউড়ি জেলখানাতে যাওয়ার পর বাজালের কী হয়েছিল সে নিয়ে মতান্তরের শেষ নেই।কেউ বলেন তাঁকে কালাপানিতে নির্বাসনে পাঠানো হয় কেউ বলেন তাঁর বাঁশির সুরে মোহিত হয়ে জেলার সাহেব তাঁকে নিয়ে লণ্ডনে চলে যান।কেউ বলেন জেলার সাহেবের স্ত্রীর বা কন্যার অনুরোধে বাজালকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁরা বাজালের বাঁশিতে মুগ্ধ হয়েছিলেন।তাঁরা শিল্পীর কদর বুঝতেন।তবে সবটাই কিংবদন্তী। আসলে বাজালের জেল পরবর্তী জীবনের সঠিক বিবরণ কেউ দিতে পারেননি।বাজাল যেন নেতাজী সুভাষ। সুভাষকে নিয়ে যেমন আলোচনার শেষ নেই,সাঁওতাল সমাজেও তেমনি বাজালকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই।সুভাষের মতোই একটা কথা বলা যায়-" বাজাল ঘরে ফিরে নাই"। সুভাষের মতো বাজালও ব্রিটিশ বিরোধী বীর নায়ক।তিনি মিথ হয়ে থেকে যাবেন এলাকার প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে।
"তকয় হুকুমতে বাজাল,তকয় বলেতে.."
সেই হৃদয়বিদারক গানের বাংলা তর্জমা করলে মোটামুটি এরকম দাঁড়ায় -
"কার হুকুমে বাজাল তুমি রূপসিং তামুলিকে হত্যা করলে"?
বাজালের উত্তর ছিল-" সিদোর হুকুমে মাগো কানহুর কথাতে"।
মা জিজ্ঞেস করলেন-" তোমার হাতে শিকল পায়ে বেড়ি বাজাল তুমি যাচ্ছ জেলখানায়।
বাজালের নির্ভীক উত্তর -" শিকল নয় মাগো এ আমার হাতের বাঁশি, বেড়ি নয় মাগো এ আমার পায়ের নূপুর, জেলখানায় নয় মা,আমি যাচ্ছি সিউড়ি বড়বাগানের মেলা দেখতে"।
কী অসম্ভব সাহাস ছিল বীরবান্টা বৌজালের।সেই কথা সেই গানের সুরের কথা ইতিহাসের পাতায় না থাকলেও আছে হাজার হাজার সাঁওতালের হৃদয়ে।মুখে মুখে সে গান আজ বহুল প্রচলিত এবং প্রচারিত।
সিউড়ি জেলখানাতে যাওয়ার পর বাজালের কী হয়েছিল সে নিয়ে মতান্তরের শেষ নেই।কেউ বলেন তাঁকে কালাপানিতে নির্বাসনে পাঠানো হয় কেউ বলেন তাঁর বাঁশির সুরে মোহিত হয়ে জেলার সাহেব তাঁকে নিয়ে লণ্ডনে চলে যান।কেউ বলেন জেলার সাহেবের স্ত্রীর বা কন্যার অনুরোধে বাজালকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁরা বাজালের বাঁশিতে মুগ্ধ হয়েছিলেন।তাঁরা শিল্পীর কদর বুঝতেন।তবে সবটাই কিংবদন্তী। আসলে বাজালের জেল পরবর্তী জীবনের সঠিক বিবরণ কেউ দিতে পারেননি।বাজাল যেন নেতাজী সুভাষ। সুভাষকে নিয়ে যেমন আলোচনার শেষ নেই,সাঁওতাল সমাজেও তেমনি বাজালকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই।সুভাষের মতোই একটা কথা বলা যায়-" বাজাল ঘরে ফিরে নাই"। সুভাষের মতো বাজালও ব্রিটিশ বিরোধী বীর নায়ক।তিনি মিথ হয়ে থেকে যাবেন এলাকার প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে।
বীরবান্টা বৌজালকে ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি দিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার।বৌজাল সরেনের জীবনকথা সাধারণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বীরভূমের সিউড়ির আব্দারপুরের আদিবাসী সুসার গাঁওতার সদস্যরা এক বিরাট মেলার আয়োজন করেছেন।মেলাটি ২২ এবং ২৩ শে জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সিউড়ি আব্দারপুর ফুটবল ময়দানে। অনুষ্ঠানটির সার্বিক সাফল্যের জন্য দেশবিদেশের গুনীজনরা আসছেন সেই অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করবেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সমাজসেবী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মাননীয় রবিন সরেন মহাশয়।বিশেষ অতিথি হিসাবে থাকছেন নেপালের বিশিষ্ট গুনীজনরা।উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক সারদা প্রসাদ কিস্কু,তেতরে পত্রিকার সম্পাদক মহাদেব হাঁসদা,সিলি পত্রিকার সম্পাদক কলেন্দ্রনাথ মাণ্ডী,সার সাগুন পত্রিকার সম্পাদক মলিন্দ হাঁসদা,থাকছেন আসেকার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সুবোধ হাঁসদা।এছাড়াও থাকছেন ডাঃ সুরজিত সিং হাঁসদা,গোড্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা হোলিকা মারাণ্ডি সহ বিশিষ্ট অধ্যাপক,কবিসাহিত্যিক, পত্রপত্রিকার সম্পাদক এবং বিভিন্ন কলেজ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীরা।দুদিনই বেলা বারোটার পর শুরু হবে গুনীজনদের সম্বর্ধনা এবং তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য। বিকাল পর্যন্ত চলবে সেমিনার। বিকালের দিকে থাকছে বিভিন্ন নৃত্যদলের নৃত্য পরিবেশন। সন্ধ্যা ছ'টার পর বৌজাল সরেন এবং হুলের নায়কদের স্মরণে নাটক।রাত্রী আটটার পর সংগীতের অনুষ্ঠান। সংগীত পরিবেশন করবেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী কল্পনা হাঁসদা,রথীন কিস্কু,কেরানী হেমব্রোম, স্টিফেন টুডু প্রমুখ।
বিশদে জানতে যোগাযোগ করতে পারেন আয়োজন কমিটির সম্পাদক চন্দ্রমোহন মুর্মুর সাথে।আরেকজনের কথা না বললে লেখাটি অসম্পূর্ন থেকে যাবে তিনি পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী গাঁওতার সম্পাদক রবীন সরেন।এই সাহিত্যানুরাগী সমাজসেবী মানুষটি সুসার গাঁওতার এই আয়োজনের একজন অন্যতম সহযোগী।
বীরবান্টা বৌজালের কথা বিশদভাবে জানতে চলুন ২২ আর ২৩ জানুয়ারী সিউড়ি আব্দারপুর থেকে ঘুরে আসি।আসছেনতো? সুসার গাঁওতার সদস্যরা কিন্তু আপনার অপেক্ষায় থাকবেন ।
বিশদে জানতে যোগাযোগ করতে পারেন আয়োজন কমিটির সম্পাদক চন্দ্রমোহন মুর্মুর সাথে।আরেকজনের কথা না বললে লেখাটি অসম্পূর্ন থেকে যাবে তিনি পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী গাঁওতার সম্পাদক রবীন সরেন।এই সাহিত্যানুরাগী সমাজসেবী মানুষটি সুসার গাঁওতার এই আয়োজনের একজন অন্যতম সহযোগী।
বীরবান্টা বৌজালের কথা বিশদভাবে জানতে চলুন ২২ আর ২৩ জানুয়ারী সিউড়ি আব্দারপুর থেকে ঘুরে আসি।আসছেনতো? সুসার গাঁওতার সদস্যরা কিন্তু আপনার অপেক্ষায় থাকবেন ।

Subscribe to:
Posts (Atom)
বীরভূম জেলার সিউড়িতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাজাল এর নামে মেলা
বীরভূম জেলার সিউড়ির বড়বাগানের আব্দারপুর ফুটবল ময়দানে আয়োজিত হতে চলেছে ‘বীরবান্টা বাজাল মেলা-২০১৯’। ১৯শে জানুয়ারি এই মেলা আয়োজিত...

-
বিশ্বজুড়ে ক্রমশ বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে পুরুলিয়াতেও। COVID-19 প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে কার্যত...
-
জিতুর রক্তে রাঙা সাঁওতাল-রাজের গড় আদিনা মসজিদ চন্দ্রশেখর সিধো-কানু-র বিদ্রোহ ‘দামিনে কোহ’-র অনেক পরে মালদার বুকে জ্বলে উঠেছিল সাঁওতাল...
-
সোহরায় আদিবাসী জনগোষ্ঠি সাঁওতালদের প্রধান উৎসব সহরায়। সহরায় উৎসব হয়ে থাকে কার্তিক মাসে। তাই সাঁওতালি বর্ষপুঞ্জিতে ...
-
সদ্য সমাপ্ত সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করে নজির গড়লেন কেরলের ওয়ানারের বছর বাইশের যুবতী শ্রীধন্যা সুরেশ। কেরল থেকে প্রথম আদিবাসী মহিলা ...
-
হাতি লেকান সারি সহরায়.. সেটের আকান দাই না... দেসে দাই না, দেসে দাই না.. আতাং দারাম মেম ৷ দেসে দাই না,লটা দাঃ...