SANTHALDISHOM(সানতাল দিশোম): হুদুরদুর্গার কাহিনীর বাস্তবতা সন্ধানে ইদানিং কতিপয় মতুয়া কু-বুদ্ধিজীবী

Monday, 1 October 2018

হুদুরদুর্গার কাহিনীর বাস্তবতা সন্ধানে ইদানিং কতিপয় মতুয়া কু-বুদ্ধিজীবী

Image may contain: one or more people, people standing, plant and outdoor
হুদুরদুর্গার কাহিনীর বাস্তবতা সন্ধানে
- সমীর কুমার মন্ডল
ইদানিং কতিপয় মতুয়া কু-বুদ্ধিজীবী দাবী করে হুদুরদুর্গা অর্থ্যাৎ উপজাতীয় গল্পের রাজা মহিষ নাকি হিন্দু পুরাণ সমূহে বর্ণিত সেই মহিষাসুর এবং মা দূর্গা নাকি উপজাতীয় গল্প অনুসারে এক ছলনাময়ী দেবী! যা বাস্তবে নিতান্তই একটি ভ্রান্ত ধারণা ছাড়া আর কিছু নয়।
তবুও এইসব মতুয়া কু-বুদ্ধিজীবী নিজেকে হাইলাইট করার জন্য এই ভ্রান্ত ধারণার অগ্নিকুণ্ডে তেলের ছিটা মারার মতো কাজ করে এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের সাথে বাকি হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরী করার জন্য এই হুদুরদুর্গার কাহিনীকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার।
আসুন এবার এক এক করে সত্যের দাঁড়িপাল্লাতে ওজন করে দেখে নিই এইসব কু-বুদ্ধিজীবীর প্রচার করা মন্তব্য গুলোতে কত ভাগ সত্য ও কত ভাগ মিথ্যা আছে।
[কু-বুদ্ধিজীবীর মন্তব্য]
দেবী নামে কোন এক গৌরবর্ণা নারী তাঁদের রাজাকে বন্দী করে নিয়ে গেছে গোপন ডেরায় অথবা তাকে ছলনার আশ্রয় নিয়ে হত্যা করেছে। দুর্গা সাঁওতাল ভাষায় পুংলিঙ্গ। এর স্ত্রীলিঙ্গ শব্দটি দূর্গী। সাঁওতালী লোকসাহিত্যে উল্লেখ রয়েছে যে তাঁদের রাজা দুর্গার কণ্ঠস্বর ছিল বজ্রের(হুদুড়) মত। তিনি পরাক্রান্ত বীর।
[বিশ্লেষণ]
মন্তব্যটি অনেকটি দাদু দিদিমাদের শোনানো গল্পের ন্যায় যেখানে হঠাৎ করে এক রাজার কীর্তি শোনানো হয়। রাজা কি ভাবে জন্ম নিলো? কি ভাবে বড় হল? ইত্যাদি কোনো প্রসঙ্গই থাকে না সেখানে। যেখানে বক্তা শুধু বলে যাবে এবং শ্রোতা শুধু শুনে যাবে, যুক্তি প্রমাণের কোনো প্রসঙ্গই থাকে না সেখানে।
এখানে যে সাঁওতালী লোকসাহিত্যের কথা বলা হয়েছে সেটা কত বছরের প্রাচীন? সেটার ব্যাপারে উক্ত মতুয়া কু-বুদ্ধিজীবী কোনো স্পস্ট প্রমাণের প্রসঙ্গ উল্লেখই করলো না!
বাস্তবে এই সাঁওতালী লোকসাহিত্যটি আধুনিক সময় কালে রচিত হয়েছে, এছাড়াও কোনো প্রাচীন সাহিত্যকার কে উক্ত বিষয় নিয়ে কিছু বর্ণনা করতে শোনা যায়নি এবং সুপ্রাচীন উপজাতীয় ভাষাই প্রাপ্ত লিপি গুলো থেকে এই হুদুরদুর্গা বা মহিষাসুরের কাহিনীর কোনো বর্ণনাও পাওয়া যায় না। কাজেই এই লোকসাহিত্যটি আধুনিক সময়কালে রচিত হয়েছে। এছাড়া কাহিনীর উক্ত রাজাটিও একটি সাহিত্যিক কাল্পনিক চরিত্র ছাড়া আর কিছুই নয়! কারণ কোনো মানুষের কন্ঠস্বর মেঘের মধ্যে গর্জন করা বজ্রের সম পরিমাণ প্রাবল্যতা বিশিষ্ট হয় না।
[কু-বুদ্ধিজীবীর মন্তব্য]
আর্য সেনাপতি ইন্দ্র চাইচম্পাগড় আক্রমণ করে হুদূর দুর্গার হাতে পর্যুদস্ত হয়। পরপর সাতবার আক্রমণ করে পরাজিত হওয়ার পরে ইন্দ্র বুঝতে পারেন যে সরাসরি যুদ্ধে হুদুড়দুর্গাকে পরাজিত করা সম্ভব নয়। তাই ছলনা এবং কৌশলের আশ্রয় নেন ইন্দ্র।
[বিশ্লেষণ]
প্রথমত, এই চাইচম্পাগড় ভারতের কোন প্রান্তে? এবং কত শতাব্দীর উল্লেখিত স্থান? সেটার সাপেক্ষে স্পস্ট প্রমাণ দেখিয়ে দেক উক্ত কু-বুদ্ধিজীবী মহাশয়।
দ্বিতীয়ত, ইন্দ্র কোনো আর্য সেনাপতি নয়! ঋক, সাম, যর্জু ও অথর্ব্বেদে উল্লেখিত মন্ত্রে ইন্দ্র শব্দের একাধিক প্রায়োগিক অর্থ আছে। তাই বেদে বর্ণিত ইন্দ্র কোথাও বৃষ্টি বর্ষণের নিয়ামক, কোথাও মানুষের ইন্দ্রিয়, কোথাও রাজ ধর্ম পালনকারী রাজা, কোথাও পরব্রহ্মের একটি গুণবাচক নাম। কিন্তু কোথাও উল্লেখ নেই ইন্দ্র প্রায়োগিক অর্থে একজন "আর্য সেনাপতি"। কাজেই ইন্দ্র কে আর্য সেনাপতি বানানোর আগে উক্ত কু-বুদ্ধিজীবী মহাশয় আগে প্রমাণ দেখিয়ে দেক বেদ সংহিতা থেকে যেখানে ইন্দ্র কে একজন আর্য সেনাপতি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তৃতীয়ত, উক্ত কু-বুদ্ধিজীবী মহাশয় আগে একটি সু-প্রাচীন উপজাতীয় শিলালিপি বা পত্রলিপি থেকে এই হুদুরদুর্গা বা মহিষাসুর কাহিনীটি উল্লেখ আছে কি না দেখিয়ে দেক, তারপর মা দূর্গার উপর কুৎসা আরোপ করবে।
[কু-বুদ্ধিজীবীর মন্তব্য]
হুদুড়ের রণকৌশলের মধ্যে কোন দুর্বলতা আছে কিনা এই খোঁজ শুরু করেন ইন্দ্র। ইন্দ্র জানতে পারেন যে অসুর নিয়ম অনুসারে এ দেশের রাজারা আশ্রিতের সাথে, শিশুর সাথে, দিবাবসানে, রাত্রে এবং নারীর সঙ্গে যুদ্ধ করেন না। সুযোগ পেয়ে যান ইন্দ্র। তিনি লাবণ্যময়ী বারাঙ্গনা “দেবী”কে উপঢৌকন হিসেবে হুদূরদুর্গার কাছে প্রেরণ করেন। এক মহিষী থাকতে দ্বিতীয় নারীকে গ্রহণ করা যায় না এই অসুরনীতি মেনে দেবীকে প্রত্যাখ্যান করেন হুদূরদুর্গা। ইন্দ্র এবার নিজেই সন্ধির প্রস্তাব দেন। ঠিক হয় বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে তাঁরা বৈরিতা দূর করবেন। বিশ্বাস অর্জনের জন্য দেবীর সাথে হুদুড়দুর্গার বিয়ের প্রস্তাব দেন ইন্দ্র। হুদুড়দুর্গা আবার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ইন্দ্র জানান যে হুদুড়দুর্গা দেবীকে প্রত্যাখ্যান করলে লোকে তার পৌরুষ নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। উপায়ান্তর না ভেবে হুদূড়দুর্গা দেবীকে বিয়ে করতে রাজি হন।
[বিশ্লেষণ]
আমি আগেই বলেছি উক্ত চরিত্র গুলি সৃষ্টি হয়েছে আধুনিক উপজাতীয় সাহিত্যের দৃষ্টিকোণে, কাজেই উক্ত কাহিনীকার নিজের মতো করে ইন্দ্রের চরিত্র টিকে সাজিয়েছেন, যার সাথে ২০০০ থেকে ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ ঋগ্বেদে বর্ণিত ইন্দ্রের সাথে কোনো মিল নেই!
এছাড়া কাহিনীকার এখানে ধরা পড়ে গেলো অসুরের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে। আনুমানিক ৪০০ খ্রীস্টাব্দে রচিত অমরকোষের ১.১.২৩ অনুসারে অসুর = অ + সুর, সুর বলতে বোঝানো হয়েছে দেব স্বভাবকে অর্থ্যাৎ দেব স্বভাবের বিপরীত যার চরিত্র সেই হল অসুর।
এখন এই দেব স্বভাব কি? ও অসুর স্বভাব কি? তা দেখে নিতে পারেন গীতার নিম্নলিখিত এই নিবন্ধটি থেকে :-
(দৈবিক ও আসুরিক ব্যাক্তিকে চেনার উপায় কি ?)
আশা করি গীতাটা উক্ত মতুয়া কু-বুদ্ধিজীবী নিশ্চয় মানেন? কারণ উনাদের প্রাণ প্রিয় জনক - ঠাকুর হরিচাঁদ তো আর গীতার বিরোধীতা করেন নাই! উলটে প্রশংসা করেছিলেন।
তাহলে অসুর স্বভাবের বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেলো অসুর স্বভাবের ব্যাক্তি না কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা করে, না শিশু নারী আশ্রিতার বিচার করে যুদ্ধ করে, আর সবচেয়ে বড় চরিত্র হল ভোগবাদী স্বভাবের।
তবে এখান থেকে এটা পরিস্কার হচ্ছে হুদুরদুর্গার কাহিনীর রচয়িতার (অবশ্যয় আধুনিক যুগের) চরিত্রিক দিক দিয়ে ছিলেন অসুর স্বভাবের। তাই মহিষাসুর কে একজন আদর্শ রাজা হিসাবে জাহির করলেও, নিজের অজান্তেই নিজের আসুরিক স্বভাবকে প্রচ্ছন্ন ভাবে মহিষাসুরের উপর আরোপ করে ফেলেছেন তার সাহিত্যের কয়েকটি জাইগাতে, নিম্নরূপ :-
১. "তিনি লাবণ্যময়ী বারাঙ্গনা দেবী কে উপঢৌকন হিসেবে হুদূরদুর্গার কাছে প্রেরণ করেন" → উপহার হিসাবে নারী, নারী সম্ভোগী চরিত্রের প্রচ্ছন্ন প্রকাশ।
২. "ইন্দ্র জানান যে হুদুড়দুর্গা দেবীকে প্রত্যাখ্যান করলে লোকে তার পৌরুষ নিয়ে প্রশ্ন তুলবে" → পুরুষত্ব হল বিবাহ করতে ভয় না পাওয়া, যৌনসংগমী চরিত্রের প্রচ্ছন্ন প্রকাশ।
৩. "একমাত্র রাতের বেলায় ঘুমাতে যাবার আগে হুদুড়দুর্গা শস্ত্র খুলে রাখেন এবং তার দুর্ধর্ষ রক্ষীরা কাছে থাকে না" → দূর্বল মূহর্ত হল রাত্রে বিছানাতে, গভীর ঘুমে আসক্তির প্রচ্ছন্ন প্রকাশ।
৪. "তাকে কামাসক্ত করে সুরাসক্ত করে মহাঘোরের মধ্যেই হত্যা করতে হবে। আদিবাসীদের বিশ্বাস নবমীর রাতেই দেবী নিজে আকন্ঠ সুরাপান করে এবং হুদুড়দুর্গাকে সুরাসক্ত অচৈতন্য করে" → মদে আসক্ত, নারী সম্ভোগে আসক্তির প্রচ্ছন্ন প্রকাশ।
তাহলে রচয়িতার উক্ত প্রচ্ছন্ন মনোভাব থেকে কি প্রমাণ হচ্ছে?
তিনি কোন স্বভাবে আসক্ত?
এছাড়াও রচয়িতার উদ্দেশ্য ছিলো হিন্দু সমাজ থেকে উপজাতীয় গোষ্ঠীকে আলাদা করে রাখা, তাই নিজস্ব ব্যাক্তিগত হিন্দু বিরোধী মনোভাব পোষণ করার জন্য উনি উক্ত হুদুরদুর্গার কাহিনীকে উপজাতীয় সমাজে প্রচলিত করেছেন।
এখানে উক্ত মতুয়া কু-বুদ্ধিজীবী হিন্দু গ্রন্থাকারদের উপর দোষ আরোপ করতে পারবে না, কারণ এই উপজাতীয় আধুনিক গ্রন্থাকারদের দ্বারা বর্ণিত মহিষাসুরের কাহিনীর বহু আগেই হিন্দু গ্রন্থকাররা মহিষাসুর কে একজন আসুরিক স্বভাবে আসক্তকারী হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
[কু-বুদ্ধিজীবীর মন্তব্য]
ইন্দ্রের আসল উদ্দেশ্য ছিল দেবীর মাধ্যমে হুদুড়দুর্গার দুর্বল মুহূর্তগুলির খোঁজ নেওয়া এবং সেই সুযোগে তাকে হত্যা করা। দেবীর মাধ্যমেই ইন্দ্র জানতে পারেন যে একমাত্র রাতের বেলায় ঘুমাতে যাবার আগে হুদুড়দুর্গা শস্ত্র খুলে রাখেন এবং তার দুর্ধর্ষ রক্ষীরা কাছে থাকে না। বিয়ে করার অষ্টম দিনে হুদূড়দুর্গাকে হত্যা করার কৌশল ঠিক করে নিলেন ইন্দ্র। তিনি দেবীকে জানালেন যে নবমীর রাতেই হুদূড়কে হত্যা করতে হবে। তাকে কামাসক্ত করে সুরাসক্ত করে মহাঘোরের মধ্যেই হত্যা করতে হবে। আদিবাসীদের বিশ্বাস নবমীর রাতেই দেবী নিজে আকন্ঠ সুরাপান করে এবং হুদুড়দুর্গাকে সুরাসক্ত অচৈতন্য করে তার বুকে খঞ্জর বসিয়ে দেয় এবং পরেরদিন ভোর রাতে তার দেহকে ইন্দ্রের শিবিরে নিয়ে আসে। হুদুড়দুর্গাকে হত্যা করার ফলে তার নাম হয় “দেবীদুর্গা”
[বিশ্লেষণ]
আগেই উক্ত কু-বুদ্ধিজীবী উল্লেখ করেছিলো "দুর্গা সাঁওতাল ভাষায় পুংলিঙ্গ" তো এখানে দেবী নামক এক স্ত্রীলিঙ্গ বাচক শব্দের সাথে পুংলিঙ্গ বাচক শব্দ কে যুক্ত করে, স্ত্রীলিঙ্গ বাচক নাম হিসাবে দেখাচ্ছে কেনো?
তাহলে সাঁওতাল ভাষা অনুসারে দেবীদূর্গা শব্দটি দিয়ে না কোনো নারী কে বোঝানো হচ্ছে, না কোনো পুরুষকে বোঝানো হচ্ছে!! উক্ত মতুয়া কু-বুদ্ধিজীবীর জোচ্চুরি তো এখানেই ধরা পড়ছে।
এছাড়া ৪০০-৬০০ খ্রীষ্টাব্দের দেবীমাহাত্ম্যম এর বর্ণনা অনুসারে অষ্টমী তিথিতে মহিষাসুর বধ হয়, তাই মহিষাসুরের বধের প্রতিক স্বরূপ ছাগ বলিটাও অষ্টমীতেই দেওয়া হয়। কিন্তু উক্ত মতুয়া কু-বুদ্ধিজীবী এখানে বলছে যে নবমীতে হুদুড়দুর্গা বধ হয়েছে? তাহলে যদি প্রাচীন তথ্যগত মিলই না দেখাতে পারে তবে কিসের ভিত্তিতে দাবী করে উপজাতীয় কাহিনীর হুদুড়দুর্গাই হল হিন্দু পুরাণের মহিষাসুর এবং উপজাতীয় দেবীই হল দেবীমাহাত্ম্যমের মা দূর্গা?
[কু-বুদ্ধিজীবীর মন্তব্য]
দুর্গা কে? এই নিয়ে লোকসাহিত্যে নানা কাহিনী রয়েছে। একটি কাহিনীতে পাওয়া যায় যে, ইন্দ্র মহিষাসুরের কাছে পরাজিত হয়ে পারস্যের বিখ্যাত বারাঙ্গনা অ্যানির সাহায্য গ্রহণ করেন। বারাঙ্গনা অ্যানি মহিষাসুরকে কামাসক্ত করে অচৈতন্য অবস্থায় তাকে হত্যা করেন।
আর একটি উপ কথায় পাওয়া যায় এই নারী ছিলেন ইন্দ্রের নিজের বোন দেবী। অন্যদিকে ভীল আদিবাসীরা দাবী করেন দুর্গা তাদের মেয়ে। দেবতারা তাকে শিবিরে নিয়ে গিয়ে মহিষাসুরকে হত্যা করার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়। দেবীর আর এক নাম চণ্ডী। হাঁড়ি সম্প্রদায়ের দাবী চণ্ডী তাঁদের মেয়ে। দেবতারা তাকে দিয়ে তাঁদেরই রাজাকে হত্যা করে।
সাঁওতালরা দাঁসায় গানের মধ্য দিয়েই প্রকাশ করেন যে হুদুড়দুর্গা বা মহিষাসুরকে অন্যায় ভাবে হত্যা করে ইন্দ্র চাইচম্পাগড় থেকে আদিবাসীদের বিতাড়িত করেন। তাই আজও বুক চাপড়ে ও হায়রে-ও হায়রে আওয়াজ করে ভুয়াং নাচের মাধ্যমে আদিবাসীরা তাঁদের রাজাকে খুঁজে বেড়ায়। বরাঙ্গনা দেবী দূর্গার হাতে হুদুরদুর্গার বা মহিষাসুরের হত্যার কাহিনী এভাবেই লোকায়ত হয়ে আছে আদিবাসীদের মধ্যে।
আদিবাসীদের এই লোকসাহিত্যের অনেকটাই সমর্থন পাওয়া যায় নানা পুরাণ কাহিনীতে। শব্দকল্পদ্রুম অনুসারে, “দোর্গং নাশয়তি যা নিত্যং সা দুর্গা”। অর্থাৎ দুর্গা নামক অসুরকে বধ করেন তিনিই নিত্য দুর্গা নামে অভিহিতা হলেন।দেবীপুরানে যে ঘোড়াসুরের বর্ণনা পাওয়া যায় তা হুদুড়দুর্গাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
[বিশ্লেষণ]
উক্ত অংশ দেখে এটা বোঝা যাচ্ছে মা দূর্গার পরিচয় নিয়ে উক্ত মতুয়া কু-বুদ্ধিজীবী বিতর্কের মধ্যে জড়িয়ে আছেন, তাই এক এক আদিবাসী ও উপজাতিরা ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেন উনি সেটি নিজেই উল্লেখ করেছে। তাহলে এখান থেকে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে উপজাতীয় কাহিনীতে বর্ণনাকারী ছলনাময়ী নারী কে হিন্দুদের আরাধ্য মা দূর্গা বলাটি একটি আন্দাজে ঢ়িল ছোঁড়া ব্যাতিত অন্য কিছু নয়!
এছাড়া এখানে যে মতুয়া কু-বুদ্ধিজীবী উল্লেখ করেছেন - "হুদুড়দুর্গা বা মহিষাসুরকে অন্যায় ভাবে হত্যা করে ইন্দ্র চাইচম্পাগড় থেকে আদিবাসীদের বিতাড়িত করেন" এর প্রমাণ কি তারা কোনো ঋগ্বেদের সমতুল্য খ্রীস্টপূর্ব প্রাচীন আদিবাসী বা উপজাতীয় লিপি থেকে দেখাতে পারবে?
লেখকের হিন্দুশাস্ত্র সম্পর্কে সিকিভাগও জ্ঞান নাই তাই ইন্দ্রের উপর উক্ত আরোপ এনেছে, বৈদিক সাহিত্যে ইন্দ্র হল একটি বৈদিক আধ্যাত্মিক প্রায়োগিক অর্থ বা গুণ সমূহের প্রতিক - যা দিয়ে বৃষ্টির নিয়ামক, একজন আদর্শ রাজা, মানুষের ইন্দ্রিয়, পরব্রহ্ম, রক্ষকর্তা, যাজ্ঞিক ইত্যাদি কে বুঝানো হয় এবং পুরাণে ইন্দ্রের মাধ্যমে - রাজা, ঋষি, বীর পুরুষ, দেবত্ব, মনুষ্য প্রবৃত্তি, রজঃ গুণ প্রভৃতির আধ্যাত্ম ও দার্শনিক উপমা হিসাবে বোঝানো হয়।
এরপর প্রসঙ্গ তুলেছেন শব্দকল্পদ্রুমের! যা রাধাকান্ত দেব (১৭৮৩-১৮৬৭) দ্বারা সংকলিত একটি সংস্কৃত অভিধান, এখানে যে “দোর্গং নাশয়তি যা নিত্যং সা দুর্গা” বলা হয়েছে তার উৎস হল দেবীমাহাত্ম্যমের ৭/২৮/৭৪-৮০। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে দূর্গম নামক অসুরকে বধ করেই আদিশক্তি নিত্য দুর্গা নামে অভিহিতা হলেছিলেন।
এই দূর্গম অসুর সম্পর্কে দেবীভাগবতের ৭/২৮/৪-১০ তে বলা হয়ে সে ছিলো রাক্ষস রাজ হিরণ্যাক্ষের বংশভূত এক অসুর, চারিত্রিক দিক দিয়ে ছিলো অতিব নিষ্ঠুর প্রকৃতির এবং যজ্ঞের হবি সমগ্রহ চুরি করাই ছিলো তার জীবিকা। এবার উক্ত কু-বুদ্ধিজীবী নিজেই বিচার করুক দূর্গম কাদের দৃষ্টিকোণে একজন আদর্শ রাজা হবে?
এছাড়া এখানে কু-বুদ্ধিজীবী মহাশয় যে দাবী করেছে "দেবীপুরানে ঘোড়াসুরের বর্ণনা নিয়ে" তা নিছক তাদের কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়! কারণ ঘোড়াসুরের আরেক নাম হল "কেশী" যে শ্রীকৃষ্ণের হাতে বধ হয়েছে, যার বর্ণনা দেবীপুরাণ নয় বরং বিষ্ণু পুরাণ, ভাগবত পুরাণ ও হরিবংশ প্রভৃতি জাইগাতে আছে। যেহেতু কেশী নামটা লিখলে কু-বুদ্ধিজীবীর জোচ্চুরি অনেকে ধরে ফেলবে তাই বিকল্প হিসাবে ঘোড়াসুর লিখেছে। এছাড়া তারা যে ছবিটি কে তাদের পোস্টে এড করে মহান হুদুড়দুর্গা বা মহিষাসুর বলে চালাচ্ছে
বাস্তবে সেটি হল কৃষ্ণের কেশী বধের একটি পাথরের মূর্তি, যা আনুমানিক গুপ্ত যুগের এবং বর্তমানে যা মেট্রোপলিটান মিউসিয়াম অফ আর্টে রেখে দেওয়া হয়েছে।
[কু-বুদ্ধিজীবীর মন্তব্য]
'সার্বনি' নামে অষ্টম মনুর মন্বন্তরের সময় যখন পুরন্দর দেবতাদের ইন্দ্র হয়েছিলেন (মার্কন্ডেয় পুরান 80 অঃ) সেই সময় রম্ভাসুরের পুত্র ' ঘোরাসুর' কুশদীপের অধিপতি ছিলেন। সেই ঘোরাসুরই মহিষাসুর নামে খ্যাত (দেবীপুরান- 1ম অঃ)। তিনি নিজে বাহুবলে জম্বুদ্বীপ, ক্রোঞ্চদ্বীপ, শাল্মদ্বীপ, পুস্করদ্বীপ, মানসদ্বীপ (স্বর্গ) ও নাগরাজ (পাতাল) জয় করে সপ্তদীপ ও সপ্তসমুদ্রের অধিপতি ছিলেন। তিনি যেমন ছিলেন বলবান, বীর্যবান, বুদ্ধিমান, ও সর্ব্ববিদ্যায় পারদর্শি তেমনি ছিলেন ধর্মপরায়ন, সংযমী, বিলাসহীন, ন্যায়নিষ্ঠ ও মানবতাবাদের আদর্শে প্রজাহিতৈষী। প্রজাগন শ্রদ্ধার সঙ্গে তার নাম বুকের মধ্যে খোদাই করে রাখত (দেবি পুরান -2 ও 16 তম অঃ)। পরস্ত্রী কে তিনি সর্বদা কন্যা ও মাতা হিসেবে বিবেচনা করতেন (দেবিপুরান ষোড়ষ অধ্যায় শ্লোক নং 2-12) । তার মতো সর্বগুন সম্পন্ন মহান রাজা মহাভারত, রামায়ন এমনকি অনান্য পুরাণ কাহিনীগুলিতেও দ্বিতীয় কোনো রাজার পরিচয় পাওয়া যায় নি। কেবলাত্র রাজা হরিশচন্দ্রের মধ্যে কিঞ্চিৎ এই গুন থাকলেও হরিশচন্দ্রের তুলনায় তিনি বহুগুনে শ্রেষ্ঠ ছিলেন।
[বিশ্লেষণ]
কু-বুদ্ধিজীবী মহাশয় এখানে এসে জোচ্চুরির সব সীমা অতিক্রম করে গেছেন। এখানে তিনি বলছেন রম্ভ অসুরের পুত্র নাকি ঘোড়াসুর (কেশী)! মহিষাসুর থাকলে হয়তো এটা শুনে উনার পশ্চাৎদেশে গুঁতোতেন।
তবে এখানেই শেষ নয়, উনি যে দেবীপুরাণ ও মার্কন্ডেয় পুরাণের রেফারেন্স গুলি প্রদান করেছেন তার সাথে মূল দেবীপুরাণ বা মার্কন্ডেয় পুরাণের কোনো মিল নেই, নিম্নরূপ :-
* সার্বনি' নামে অষ্টম মনুর মন্বন্তরের সময় যখন পুরন্দর দেবতাদের ইন্দ্র হয়েছিলেন (মার্কন্ডেয় পুরান 80 অঃ)
→ অর্ধসত্য কথা! উক্ত অংশে কি বলা হয়েছে নিজেই দেখুন :- (লিংক এ দেখুন)
* সেই সময় রম্ভাসুরের পুত্র ' ঘোরাসুর' কুশদীপের অধিপতি ছিলেন। সেই ঘোরাসুরই মহিষাসুর নামে খ্যাত (দেবীপুরান- 1ম অঃ)।
→ পুরো মিথ্যা কথা! দেবীপুরাণের প্রথম অধ্যায় উক্ত মন্তব্যের বিন্দুমাত্র অংশ নেই, এই অধ্যায়ে দেবীপুরাণের ভূমিকা, পুরাণের তাৎপর্য, পুরাণের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণনা করেছে। সবচেয়ে মজার বিষয় এখানে ঘোড়াসুর নাম পর্যন্ত নেই! এরজন্য বোধয় কু-বুদ্ধিজীবী মহাশয় রেফারেন্সে অধ্যায় নং লিখে ছেড়ে দিয়েছে। স্কন্ধ নং, অধ্যায় নং, শ্লোক নং আর ভয়ে উল্লেখ করেন নাই।
* তিনি নিজে বাহুবলে জম্বুদ্বীপ, ক্রোঞ্চদ্বীপ, শাল্মদ্বীপ, পুস্করদ্বীপ, মানসদ্বীপ (স্বর্গ) ও নাগরাজ (পাতাল) জয় করে সপ্তদীপ ও সপ্তসমুদ্রের অধিপতি ছিলেন। তিনি যেমন ছিলেন বলবান, বীর্যবান, বুদ্ধিমান, ও সর্ব্ববিদ্যায় পারদর্শি তেমনি ছিলেন ধর্মপরায়ন, সংযমী, বিলাসহীন, ন্যায়নিষ্ঠ ও মানবতাবাদের আদর্শে প্রজাহিতৈষী। প্রজাগন শ্রদ্ধার সঙ্গে তার নাম বুকের মধ্যে খোদাই করে রাখত (দেবি পুরান -2 ও 16 তম অঃ)।
→ আবার জোচ্চুরি! দেবী পুরাণের রেফারেন্স স্কন্ধ, অধ্যায় ও শ্লোক আকারে হয়, কিন্তু লেখক এখানে শুধু অধ্যায় বলে ছেড়ে দিলেন কিন্তু ওই অধ্যায়টি কত স্কন্ধের তার স্পস্ট আর করলেন না এবং শ্লোক নং টাও উল্লেখ করলেন না।বাস্তবে কু-বুদ্ধিজীবীরা উক্ত মন্তব্যটি নিজেই লিখেছেন এবং পুরাণের নাম ও অধ্যায় লিখে সেটাকে পৌরাণিক বলে চালিয়ে দিচ্ছেন।
* পরস্ত্রী কে তিনি সর্বদা কন্যা ও মাতা হিসেবে বিবেচনা করতেন (দেবিপুরান ষোড়ষ অধ্যায় শ্লোক নং 2-12) । তার মতো সর্বগুন সম্পন্ন মহান রাজা মহাভারত, রামায়ন এমনকি অনান্য পুরাণ কাহিনীগুলিতেও দ্বিতীয় কোনো রাজার পরিচয় পাওয়া যায় নি। কেবলাত্র রাজা হরিশচন্দ্রের মধ্যে কিঞ্চিৎ এই গুন থাকলেও হরিশচন্দ্রের তুলনায় তিনি বহুগুনে শ্রেষ্ঠ ছিলেন।
→ "চোরের মায়ের বড় গলা" বাগধারাটির প্রয়োগ কোথাও দেখেছেন? না দেখলে এখানে দেখে নেন।
প্রথমে, কু-বুদ্ধিজীবীরা নিজে মনগড়া মন্তব্য লিখে সেটাকে পৌরাণিক মন্তব্য বলে চালিয়ে দিলেন। এরপরে পাবলিক কে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যা রেফারেন্স গুলো যোগ করলেন, এখানেই শেষ নয় - দেবীপুরাণের যে ১ম, ২য় ও ১৬নং অধ্যায় কে রেফারেন্স হিসাবে দিয়েছেন তার অধ্যায় ভিত্তিক বিষয় বস্তু পরস্পর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
বস্তুত লেখক এই দেবীপুরাণ ও মার্কন্ডেয় পুরাণ আদৌও দেখেছে কি না সন্দেহ আছে। উক্ত লেখক আবার এর মধ্যে আবার রাজা হরিশচন্দ্র কে টেনে আনলেন! কু-বুদ্ধিজীবী লেখক হয়তো জানেন না পৌরাণিক গ্রন্থ শুধু নয়, খ্রীস্টপূর্বাব্দ প্রাচীন বৈদিক ব্রাহ্মণ গ্রন্থ সমূহে রাজা হরিশচন্দ্রকে একজন ন্যায়বান ও দানবীর রাজা হিসাবে মর্যাদা প্রদান করেছে, সেই তুলনায় খ্রীস্টপূর্বাব্দ প্রাচীন কোনো উপজাতীয় শিলালিপি বা পত্রলিপিতে এই হুদুড়দুর্গা, ঘোড়াসুর বা মহিষাসুরের নামটিরও উল্লেখ নেই।
[কু-বুদ্ধিজীবীর মন্তব্য]
কোন সর্বগুণ সম্পন্না, কল্যাণময়ী নারীকে যেমন মহিষী বা মহিয়সী উপাধী দেওয়া হয় তেমনি শ্রেষ্ঠ পুরুষ হিসেবে ঘোড়াসুরকে মহিষ , মহিয়ষ তথা (মহিষ+ অসুর ) মহিষাসুর উপাধি তে ভূষিত করা হয়েছিল। পরবর্তী কালের পুরাণগুলিতে বিশেষ করে ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, বৃহদ্ধর্ম পুরাণ এবং ইদানীং কালের মহিষাসুর মর্দিনীতে মহিষাসুরকে মহিষের গর্ভজাত অথবা মহিষেররূপী এক মায়াবী এবং দুরাচারী অসুর হিসেবে দেখানো হয়। মূলত দুর্গা শক্তির নামে এক ব্রাহ্মন্যবাদী, সাম্রাজ্যবাদী এবং ভোগবাদী সংস্কৃতির বিস্তার ঘটানোর জন্যই জনকল্যাণকারী, মঙ্গলময় আদিকৌম সংস্কৃতির মহান রাজা হুদুড় দুর্গা, ঘোড়াসুর বা মহিষাসুরকে 'অশুভ শক্তি'র প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
[বিশ্লেষণ]
সেইভাবে যদি কু-বুদ্ধিজীবী লেখকের দৃষ্টিকোণে বিচার করি তো পাবো ইংরেজি fool এবং বাংলা ফুল একই জিনিস!
মহিষী বা মহিয়সী (স্ত্রীলিঙ্গ) বলতে বোঝানো হয় রাজপত্নী হিসাবে অভিষিক্তা নারী বা রাজ কন্যা কে এবং এই মহিষীর পুংলিঙ্গ টি হল "মহিষ" যা দিয়ে বোঝানো হই কোনো রাজা কে, সেখানে মহিষাসুর = মহিষ + অসুর অর্থ্যাৎ যিনি অসুরদের রাজা (লেখকের দৃষ্টি সাপেক্ষে বিচারে)।
এছাড়া আমি আগেই বলেছি আনুমানিক ৪০০ খ্রীস্টাব্দে রচিত অমরকোষের ১.১.২৩ অনুসারে অসুর = অ + সুর, সুর বলতে বোঝানো হয়েছে দেব স্বভাবকে অর্থ্যাৎ দেব স্বভাবের বিপরীত যার চরিত্র সেই হল অসুর।
এখন এই অসুর স্বভাব কি রকম? তা দেখে নেন গীতা থেকে
:- (দৈবিক ও আসুরিক ব্যাক্তিকে চেনার উপায় কি ?)
কাজেই সহজ ভাষাই বলতে গেলে মহিষাসুর হল - ভোগবাদী, অধার্মিক, অশুচি, কদাচারী, জোচ্চোরী ইত্যাদি গুণবাদীদের রাজা। তাই মহিষাসুর হিন্দু পৌরাণিক দৃষ্টিকোণে পশুত্ব ও অসুরত্ব উভয় গুণের অধিকারী, এর জন্য পুরাণে উল্লেখ করা হয়েছে মহিষাসুরের জন্ম হয়েছে মহিষ (পশু) ও অসুরের মিলনের ফলে, তার নাম পুরাণকারেরা রেখেছেন মহিষাসুর।
বাকি থাকে ঘোড়াসুর বা কেশীর কথা তবে সে কোনো ভাবেই মহিষাসুর নয়। পৌরাণিক ঘটনা গুলোর সাপেক্ষে কেশীর আর্বিভাব হয়েছে মহিষাসুরের মৃত্যুর বহু পরে।
শেষে লাইনে উক্ত লেখক আবার সনাতন ধর্ম নিয়ে ঘেউ ঘেউ করেছে অনেকটা "চোরের মায়ের বড় গলার" মতো ব্যাপার।
এখানে যে মা দূর্গা কে নিয়ে উক্ত কু-বুদ্ধিজীবী এতো ঘেউ ঘেউ করেছেন, হিন্দুদের দৃষ্টিকোণে সেই মা দূর্গা কে? এবং কি? দেখে নিতে পারেন নিম্নলিখিত নিবন্ধ থেকে :-
(দূর্গাতত্ত্ব)
সবশেষে উপজাতীয় ও মতুয়া ভাই ও বোনেদের বলবো এইসব ভণ্ড বুদ্ধিজীবীদের কথাই কর্ণপাত করে অহেতুক সাধারণ হিন্দুদের সাথে বিবাদে জড়াবেন না। এইসব ভণ্ডদের কাজই হল ব্রিটিশদের divided and rule এর নীতির মতো কাজ করে এক বিশেষ গোষ্ঠীদের কাছে celebrity হওয়ার এবং পলিটিকাল ফাইদা লুটা।
আর সত্য কে স্বীকার করতে শিখুন আধুনিক উপজাতীয় লোকসাহিত্যের মহিষাসুরের ও হিন্দু পৌরাণিক শাস্ত্রের মহিষাসুর কোনো ভাবেই এক নয়! এবং মা দূর্গা না কোনো ছলনাময়ী নারী!
লিংক :-[হুদুরদুর্গার কাহিনীর বাস্তবতা সন্ধানে] is good,have a look at it!

No comments:

Post a Comment

বীরভূম জেলার সিউড়িতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বাজাল এর নামে মেলা

 বীরভূম জেলার সিউড়ির বড়বাগানের আব্দারপুর ফুটবল ময়দানে আয়োজিত হতে চলেছে ‘বীরবান্টা বাজাল মেলা-২০১৯’। ১৯শে জানুয়ারি এই মেলা আয়োজিত...